ঘুমের মধ্যে বোবায় ধরে ? দেখে নিন কেন:

ঘুমের মধ্যে বোবায় ধরে ? দেখে নিন কেন:

কেমন আছেন আপনারা? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সামনে তুলে দেবে এমন একটি বিষয় যেটি সবারই চেনা বোবায় ধরার নামে।বোবায় ধরার লক্ষণ হলো ঘুমের মধ্যে হঠাৎ শরীর অবশ হয়ে যাওয়া এরপর কোন নারাচাড়া না করে এবং এক পর্যায়ে মনে হয় শরীর উপর কে যেন ভর করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এ সমস্যাকে বলা হয়েছে স্লিপ প্যারালাইসিস ।
এই স্লিপ প্যারালাইসিস হলো গভীর ঘুম ও জাগরণের মাঝে মাঝে একটা স্নায়ুজনিত সমস্যা।
ঘুমের ওই পর্যায়টিকে বলা হয় পিড আই মুভমেন্ট-রেম। রেম হল ঘুমের এমন একটি পর্যায় যখন মস্তিষ্ক খুব  বেশি পরিমাণে সক্রিয় থাকে । কিন্তু সে সময় শরীরের কোন পেশী কোন কাজ করেনা। এ কারণে এসময় মস্তিষ্ক সচল থাকলেও শরীরকে অবশ মনে হয়।

বোবায় ধরার সম্ভাব্য কারণসমূহ :

1. বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বোবায় ধরার নির্দিষ্ট কোনও বয়স হয় না যে কোন বয়সের মানুষের এই সমস্যাটি হতে পারে।
2. বিশেষজ্ঞদের মতে বোবায় ধরার মূল কারণ হলো পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব কম যাওয়া।
3. নিয়মিত যারা ধূমপান অথবা মদ্যপান করে তাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে।
3. হয় পরিবারের অন্য কারো যদি এই সমস্যাটি হয়ে থাকে অর্থাৎ স্লিপ প্যারালাইসিস হয়ে থাকে তবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের এই সমস্যাটি হতে পারে।
5. সোশ্যাল অ্যাঙ্কজাইটি বা প্যানিক ডিসঅর্ডার বা বাইপোলার ডিজঅর্ডারের মতো মানসিক সমস্যা থাকলে।

কিভাবে বুঝবেন যে কাউকে বোবায় ধরেছে:
1. যদি কাউকে বোবায় ধরে তবে সে অনেক বড় বড় নিশ্বাস নিবে। এবং এমনভাবে নিঃশ্বাস নেবেন যেন মনে হবে তার বুকের ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়েছে।
2, চোখ না খুলে শব্দ করবে অথবা চোখ খুলতে অনেক কষ্ট হবে।
3. এই সময় ভীষণ রকম ভয় ধরে যায় এবং শরীর অসম্ভব পরিমানে ঘামতে থাকে।
4. এছাড়াও এই সমস্যাটি বেশ খানিকক্ষণ ধরে দীর্ঘায়িত হয় এবং এ সমস্যাটি কেটে যাওয়ার পর আর আগের মত স্বাভাবিক হয়ে যায়।

এই রোগের সমাধান কি?
স্লিপ প্যারালাইসিস আসলে তেমন কোন বড় ধরনের রোগ নয়। এটি নিজ থেকেই ভালো হয়ে যায়। সমুদ্র চিকিৎসকদের পরামর্শ মত কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ।যেমন:

1. পরিমাণ মতো ঘুমানো। রাতে অন্তত 8 ঘণ্টা গভীর ভাবে ঘুম যাওয়ার চেষ্টা করা।
2. প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম যাওয়ার চেষ্টা করে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এমনকি ছুটির দিনেও এই  নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
3, ঘুমোতে যাওয়ার আগে কোন ধরনের ভারী খাবার না খাওয়া উচিত, সেই সাথে কোনো ধরনের ধূমপান অথবা মদ্যপান অথবা চা কফি ইত্যাদি পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকা
4, নিয়মিত শরীরচর্চা করা এতে ঘুম অত্যন্ত ভালো হয়
5, ঘুম যাওয়ার সময় হাতের কাছে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং টিভি দেখা থেকে বিরত থাকুন।

<

Related Posts

12 Comments

মন্তব্য করুন