চাকরি আপনার পিছনে দৌড়াবে! আপনি চাকরির পিছনে দৌড়াবেন না!

আমাদের এই ছোট্ট জীবনে চাকরি নামক এই নামটি আমার শোনিনি এমন লোক বোধহয় নেই। এটি বর্তমানে আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় কমন শব্দ। পত্রিকার হেডলাইন। সব জায়গায় একই মিছিল। জব চাই ?জবাব চাই! ঘুরে ঘুরে উত্তরটা সেই একই আসে। চারিদিকে চাকরি নামক প্যারা টি এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। আমরা সবাই চাকরি চাই। চাকরি চাই এমন লোকের দলের সংখ্যাই বেশি। চাকরি করতে চাই না এমন লোক বোধহয় খুব কমই আছে।

এখন প্রশ্নটা হচ্ছে কেন আপনি চাকরি করবেন? উত্তরটা ঘুরে ফিরে সেই একই, কারণ আপনাকে অর্থনৈতিক মুক্তি লাভ করতে হবে। আমাদের দেশের ছেলে কিংবা মেয়ে সকলেরই লেখাপড়া শেষ করে একটিমাত্র ইচ্ছা থাকে আর তা হল একটি চাকরি। এই চাকরি নামক উপাদান টা আমাদের শরীরের রক্তের সাথে মিশে গেছে। যখন পৃথিবীতে মানুষ জ্ঞান অর্জন করছে গোলামী থেকে বাঁচার জন্য। সেখানে আমাদের সিলেবাস গুলো চাকরির খাতায় বন্দি। আমরা জ্ঞান অর্জন করি চাকরির জন্য। আমরা জ্ঞান অর্জন করি অন্যের গোলামী করার জন্য। কথাগুলো শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সবচেয়ে বড় বাস্তবতা।

লেখাপড়া শেষ করেছেন কিন্তু আপনি চাকরি করতে চান না এমন লোকের সংখ্যা নেহাত কম। ছোটবেলাতেই আমাদের সিলেবাসের ঢুকিয়ে দেওয়া হয় লেখাপড়া শেষ করতে হবে এবং একটি ভাল মানের চাকরি নিতে হবে। এই দুটি লাইন আমরা কখনোই ভুলে যাই না।আমাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য শুধুমাত্র একটি চাকরি। সেজন্যই হয়তো লোকে কথার কথা বলে চাকরি নাকি সোনার হরিণ। আমি কিংবা আপনি সেই সোনার হরিণ এর পিছনে ছুটছি। সোনার হরিণ টি ধরতে পারবো কিনা সেটা জানিনা। শুধু ছুটে চলছি তাকে ধরার জন্য।

কিছু কিছু মানুষ হয়তো তার জীবনের শেষ চেষ্টা দিয়ে সোনার হরিণ তাকে ধরতে পেরেছে।আবার অনেকেই আছেন যারা এখনও সোনার হরিণের পিছনে দৌড়াচ্ছে ন। এখানে একটি কথাই পরিষ্কার সেটি হচ্ছে আমরা সবাই চাকরি করে ইনকাম করতে চাই। অর্থাৎ অন্যের গোলামী করার মাঝেই আমরা আমাদের রিজিকের সন্ধানে ব্যস্ত। এটা ছাড়া আমাদের অন্য কোন পথ আমরা ভাবতেই পারি না। কারণটা একটাই সেই ছোটবেলা থেকেই মনের ভিতর সেই দুটো লাইন গেঁথে আছে। সেই গোলকধাঁধা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাই না।

এখন ধরে নেওয়া যাক আপনাকে চাকরী করতেই হবে? এখন আপনি সেই চাকরিটি কিভাবে খুজে পাবেন/কি করলে আপনাকে চাকরির পিছনে দৌড়াতে হবে না/বিস্তারিত জানতে কষ্ট করে লেখা টি পুরোপুরি পড়ুন/কিছু না কিছু হলেও আপনার উপকারে আসবে।

আপনি কেন চাকরি করবেন:-। আপনি চাকরি করবেন কিছু উপার্জন করার লক্ষ্য নিয়ে। যেখান থেকে আপনি মাস শেষে কিছু বেতন পাবেন। সেটি দিয়ে আপনি হয়তো আপনার সংসার চালাবে ন। বাস আপনার উদ্দেশ্য কিন্তু এতোটুকুই। সমাজে কিছুটা হলেও স্বীকৃতি পাবেন। বাবা মাকে খুশি করতে পারবেন। দুবেলা দুমুঠো ডাল ভাত আপনি হয়তো খেতে পারবেন ।

চাকরি কিভাবে খুজে পাবেন:- আমরা নানান ভাবে চাকরি খুঁজে থাকে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে, অথবা কোন সংবাদপত্রে/অথবা কারো কাছ থেকে জেনে/কারো রেফারেন্সে/আবার হয়তো কখনো কখনো বন্ধু-বান্ধবদের মাধ্যমে/বর্তমান সময়ে অনলাইনে অনেক বিজ্ঞপ্তি দেওয়া থাকে সেখান থেকেও আপনি চাকরি খুঁজে নিতে পারেন। খুব বেশি সম্ভব হলে জব সার্কুলার দেয় এমন অনেক সাইট বাংলাদেশ আছে সেখান থেকেও আপনি আপনার মনের মত চাকরি খুঁজে নিতে পারেন। বর্তমানে অনলাইনে চাকরির বিজ্ঞপ্তি গুলো অনেক হাইপ্রোফাইল ভিউ হয়ে থাকে।

আপনি চাকরি পান না পান সেটা তাদের দেখার বিষয় নয়। তাদের কথা হচ্ছে আপনি এমবি খরচ করে তাদের সাইটে ঘোরাঘুরি করেন। ইনফরমেশন গুলো দেখেন এবং সেখান থেকে আপনি আবেদন করেন। কিংবা আপনি আবেদন না করলেও তাদের কোনো যায় আসে না। কারণ আপনি চাকরি খুঁজছেন আর তারা ভিউ হিসেবে ইনকাম করে নিচ্ছে। আপনার চাকরি খোঁজার বাহানায় আপনি তাদেরকে ব্যবসা করার একটি সুযোগ দিচ্ছেন। বিষয়টি বড়ই জটিল। অল্প কথায় বুঝতে পারবেন না। হয়তো এখান থেকেই অনেকের উপকার হচ্ছে। কিছুটা হলেও তো আপনি আপনার জুতোর তলার চামড়াটা  বাঁচাতে পারছেন।

কি কি থাকলে আপনি সহজে চাকরি পাবেন:-চাকরি পাবার প্রথম এবং প্রধান শর্ত হল আপনাকে সেই চাকরির যোগ্য হতে হবে। তারা যে যোগ্যতা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে দিয়েছিল তার বিস্তারিত ডকুমেন্ট আপনার কাছে থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি শুধুমাত্র আবেদন করতে পারবেন। তারপর তারা আপনার কাছ থেকে সেই জব বিষয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা চাইবে। যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই। আর যদি অভিজ্ঞতা না থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার আবেদন না করাই ভালো। প্রতিযোগিতার এ-বিশ্বে আপনাকে টিকে থাকতে হলে অন্যের চেয়ে বেশি এবং এডভান্স যোগ্যতা আপনার থাকতে হবে। তবেই সেই কাঙ্খিত চাকরিতে আপনি পেয়ে যাবেন।

চাকরি আপনার পেছনে দৌড়াবে

এখন বন্ধুরা একটু খেয়াল করুন যখন কোন নিয়োগদাতা কোন কর্মী খোঁজেন তখন তিনি অবশ্যই দক্ষ কর্মী বেছে নিবেন/বিষয়টি কিন্তু খুব স্বাভাবিক/সুতরাং আপনাকে যেই জব পেতে আপনি ইন্টারভিউ দিচ্ছেন সেই জব সম্পর্কে পূর্ব অভিজ্ঞতা অবশ্যই থাকতে হবে/বর্তমান সময়ে খুব কম লোকই দেখা যায় অভিজ্ঞতা ছাড়া নিয়োগ পেয়েছেন/তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু কিছু কোম্পানিগুলো নতুনদের সুযোগ দিয়ে থাকে/তবে সেক্ষেত্রে তারা মানি ক্যাপাচিটি রাখে/অর্থাৎ যে কাজ আপনি করছেন সেই যোগ্যতা আপনি বেতন পাবেন না/তুলনামূলক কম পাবেন/তবে চাকরিটি আপনার হবে/এখন এখান থেকে ঘাবড়ানোর কিছু নেই আপনি জয়েন করতে পারলেন/কিছুদিন চাকরি করার পর আপনি দেখবেন আপনার অভিজ্ঞতা অর্জন হয়ে গেছে।ঠিক তখন আপনি সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অন্য একটি কোম্পানিতে ভালো পজিশনে চাকরি পেয়ে যাবেন। এটি বর্তমান সময়ে চাকরি পাবার একটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস।

একটু খেয়াল করবেন আমি আপনি সবাই কিন্তু ভালো জিনিসটি চাই। আপনি যখন অন্য এক জায়গা থেকে কাজ করে আসবেন তখন কিন্তু আপনি একজন দক্ষ এম প্লেয়ার। আপনি তখন সে কাজটি সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন। সুতরাং আপনি সেই চাকরির বাজারে টিকে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক।তাই চাকরির বেতনের কথা চিন্তা না করে এমন সুযোগ যদি কখনো আসে সেটি হাতছাড়া করবেন না।দেখবেন আপনার এই ছোটো টিপসটি একদিন আপনাকে আপনার মনের মত জবটি পাইয়ে দিয়েছে। আপনি হয়তো তপনের মূল্যটা বুঝতে পারবেন। আরো অনেক কিছু আপনাকে জানতে হবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে স্মার্ট হতে হবে। তবে আপনি আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। আমি নিচে কিছু কিছু যোগ্যতার পয়েন্ট দিয়ে দিচ্ছি একটু খেয়াল করবেন ।আপনি এখান থেকে কিছু না হলেও কিছু খুঁজে পাবেন। চাকরির বাজারে আপনাকে এগিয়ে রাখতে হলে নিম্নে বর্ণিত এক্সট্রাঅরডিনারি কিছু থাকতে হবে। তবে আপনি সেই সোনার হরিণ tk. ধরতে পারবেন।

কি কি যোগ্যতা আপনার থাকতে হবে:-নিম্নে ধাপে ধাপে দেখতে থাকুন।

  • আপনাকে প্রচুর পরিমাণ রিচার্জ করতে হবে।
  • বিভিন্ন অনলাইন এবং অফলাইন এর সাথে যুক্ত থাকতে হবে
  • ইন্টারনেট সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা থাকতে হবে। আজকাল অফিশিয়াল অনেক কাজ-কর্ম ইন্টারনেট ভিত্তিক।
  • প্রচুর পরিমাণ অধ্যবসায় করতে হবে। অধ্যাবসায় কোন বিকল্প নেই।
  • প্রতিদিন নিউজ পেপার গুলো খুব ভালোভাবে পড়ে নিন। নিউজপেপার গুলোতে অনেক তথ্য দেওয়া থাকে।
  • প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দেওয়া বিশেষ করে ভালো যে ওয়েবসাইট গুলো আছে, সেখান থেকে চাকরি বিভাগের যে টিপস গুলো থাকে সেগুলো ফলো করুন। আর ভালো কিছু টিপস পেতে ভালো কিছু ব্লগিং ওয়েবসাইট অথবা নিউজ পোর্টাল ওয়েবসাইট গুলোতে যুক্ত থাকুন।
  • প্রতিদিন নিজেকে আপডেট রাখুন। পড়াশোনা এটি কমন বিষয় এটি সবারই থাকতে হবে।
  • কম্পিউটারে খুব ভালো করে সবকিছু মনিটরিং করতে শিখুন
  • সম্ভব হলে কম্পিউটার সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখুন
  • বর্তমান সময়ের মার্কেটপ্লেসগুলোর সম্পর্কে আপডেট থাকুন।
  • প্রচুর পরিমাণে বই পড়ে বই পড়েন। বর্তমানে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় সেখান থেকে পড়ুন।
  • মনে রাখবেন আপনি যত বেশি পড়বেন তত বেশি জানবেন। আর এই বৈশিষ্ট্যগুলো আপনাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবে।
  • খবর দেখুন এবং খবর শুনুন।
  • সব সময় নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • সম্ভব হলে ধর্ম বিষয়ে কিছুটা সচেতন হোন। কারণ অনেক কোম্পানিগুলো সৎ লোক খুঁজে থাকেন।
  • সব সময় নতুন নতুন আইডিয়া নিতে থাকুন।
  • ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে হবে। বর্তমান যুগ অনলাইনের । এখানে আপনাকে আপডেট থাকা ছাড়া কোন উপায় নেই।
  • সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন।কারণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং ঝকঝকে চেহারাই আপনাকে তরুণ হিসেবে প্রমাণিত করবে। আর মানুষ আগে দেখে চেহারা তারপরে দেখে যোগ্যতা।
  • যতটা সম্ভব লাইফ স্কিল ডেভেলপ সম্পর্কে জেনে নিন।
  • সমালোচনা থেকে দূরে থাকুন
  • সব সময় পজিটিভ চিন্তা করুন
  • মনকে স্থির রাখুন চাকরিটা আপনাকে পেতেই হবে এমন কোন কথা নেই। কারণ যোগ্যতা থাকলে আপনার কোন জায়গায় না কোন জায়গায় চাকরি হবেই। সুতরাং ঘাবরাবেন না।
  • ধূমপান পরিত্যাগ করুন সব সময় হাসিখুশি থাকুন।
  • সম্ভব হলে মাঝে মাঝে মেডিটেশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। প্রতিদিন কিছুটা সময় হলেও মেডিটেশন করুন। এটা আপনার মনকে চাঙ্গা রাখবে এবং আপনাকে সব সময় পজিটিভ রাখবে।
  • বেশি রাত্রি করে ঘুমাবেন না তাহলে আপনার মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দিবে। নিজেকে ইনোসেন্ট হিসেবে মানুষের সামনে উপস্থাপন করবেন না।
  •  

উপরোক্ত গুণাবলীগুলো যদি আপনি অর্জন করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার সফলতা আপনার হাতের কাছে ধরা দিবে। আপনাকে চাকরি খুঁজতে হবে না চাকরি নামক জিনিসটা আপনার পিছনে ঘুরাঘুরি করবে। আপনি সব সময় মার্কেটে নিজেকে এগিয়ে রাখবেন। যা আপনার লক্ষ্য পূরণে 100% সহায়তা করবে। মনে রাখবেন এই দুনিয়াটা দুর্বল মানুষের জন্য নয় সব সময় নিজেকে সবল রাখুন। পজিটিভ চিন্তা ভাবনাই আপনাকে আপনার স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করবে। কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণে কোন বাধাই আর বাধা মনে হবে না। আপনি হয়ে উঠবেন ব্যক্তিত্বশীল হয়ে উঠবেন সাবলীল এবং পেয়ে যাবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত সেই সোনার হরিণ। তাই যারা চাকরির পেছনে ঘোরে তারা চাকরির পেছনে না ঘুরে চাকরিকে আপনাদের পিছনে ঘোরানো। দেখবেন আপনি চাকরির পিছনে দৌড়াচ্ছেন না চাকরি নামক জিনিসটি আপনার পিছনে দৌড়াচ্ছে।

আজ এই পর্যন্তই অন্য কোনদিন অন্য কোন টিপস দিব।অবশ্যই আপনি যখন কোনো ভালোমানের ওয়েবসাইটকে ফলো করবেন, তখন সেখানে চাকরি নামক বিভাগকে আছে কিনা দেখে নিবেন। তবে grathor.com এখানে আপনি সবকিছু পাবেন। সম্ভব হলে সাইটের লিংক এজে এখানে জয়েন করে থাকতে পারেন। নতুন নতুন আইডিয়া এবং নতুন নতুন ধরনের সাথে পরিচিত হতে পারবেন। আপনার জ্ঞানের দরজা কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে।নিত্য নতুন জিনিস গুলো সম্পর্কে আপনার ধারণা লাভ হয়ে গেলে আপনি দেখবেন আপনার অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমাদের সাথেই থাকুন ,grathor.com সব সময় আপনার পাশে আছে।এখান থেকে প্রতিনিয়ত আপনি চাকরি নামক বিভাগের বিভিন্ন টিপস পেয়ে যাবেন। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

Related Posts

28 Comments

মন্তব্য করুন