চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং কোনটি আপনার জন্য ভালো হবে।

আশা করি সবাই ভালো আছেন।সবার মনেই একটা প্রশ্ন থাকে যে পড়াশোনা শেষে সে কি করবে চাকরি নাকি ফ্রিল্যান্সিং নাকি ব্যবসা।এক্ষেত্রে ব্যবসাতে যেহেতু টাকার প্রয়োজন হয় এবং ব্যবসা করে সবাই লাভবান হয় না।তাই অনেকেই ব্যবসা করার ইচ্ছে থাকে না।সবার নজর থাকে চাকরি এবং ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে। চলুন আজকে আমি এই দুইটি ব্যাপার আপনার কাছে পরিষ্কার করে দেই।

সবথেকে ভালো হয় ফ্রিল্যান্সিংটাকে পার্টটাইম নিয়ে চাকরিটাকে ও চালিয়ে যাওয়া।তাহলে দুই দিক দিয়েই ভালো হয়।আর যদি দুইটা একসাথে চালানো আপনার সম্ভব না হয় তাহলে আপনি কি করবেন?

আমি আপনাকে বলবো ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ শিখা এবং কাজ পাওয়া দুইটা সম্পুর্ন করতে ১ বছরের মত সময় লাগতে পারে।তাই আপনি স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং করা শুরু করে দিন।ফ্রিল্যান্সিং করতে যদি আপনার ভালো লাগে এবং ইনকাম ও ভালো হয় তাহকে পড়াশোনার পাশাপাশি এটি চালিয়ে যান।তাহকে পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম ও হচ্ছে আপনার।

যদি এখন আপনার পড়াশোনা শেষ হয়ে আসে মানে চাকরির সময় চলে আসে তাহলে আপনি ভালো চাকরির খুজ করুন যদি ভালো চাকরি না পান এবং এমন চাকরি পান যার ইনকাম অনেকটা কম তাহলে আপনি চাইলে ফুলটাইম ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।মানে চাকরি না ও করতে পারেন।

কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং পেশাটা মানুষকে ঠিক করে বুঝানো যায় না।আমরা যদি কোনো জায়গায় যাই তাহলে আমাদের৷ পেশার কথা জিজ্ঞেস করলে আমরা কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করি বললে অনেকেই ঠিক এটা বুঝতে পারে না।আর কেও কেও বুঝতে পারলে ও আমরা এটা বলে আত্নতৃপ্তি পাই না।

কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং থেকেও ভালো টাকা ইনকাম করা যায়।আর আপনি যেই বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করেন তা নিয়ে ও বাংলাদেশে চাকরি রয়েছে।যেমন;আপনি একজন ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকলে সেটার চাকরি রয়েছে।যদি একজন ওয়েব ডেভেলপার হয়ে থাকেন সেটার চাকরি ও আছে।আর চাকরির নুন্যতম বেতন ২০ হাজার থেকে শুরু করে আপনার স্ক্রিল অনুযায়ী ১ লক্ষ টাকা ও হতে পারে।তাই এইক্ষেত্রে আপনার পেশার পাশাপাশি চাকরিটা ভালো লাগবে।

আশা করি আমি বুঝাতে পেরেছি কোনটা করলে আপনার জন্য ভালো হবে।আর সবথেকে ভালো হয় আপনি যেইটা নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করছেন ঠিক সেই পেশায় চাকরি করা।এখন থেকেই আপনি আপনার জীবনে সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু করে দিতে পারেন।ভালো থাকবেন সবাই,ধন্যবাদ।

 

Related Posts