চাকরি পাওয়া কি আসলেই সোনার হরিণ

বর্তমান সময়ে চাকরির বাজারে হাহাকার কথাটি সকলের মুখে প্রায় শুনা যায়। চাকরি পাওয়া বর্তমানে সোনার হরিণ হয়ে দাড়িয়েছে। চাকরি পাওয়া যেকোনো যুদ্ধ জয় করার থেকে কোন অংশে কম নয়।

প্রতি বছর লাখো লাখো তরুণ প্রজন্ম শুধুমাত্র একটি চাকরি পাওয়ার জন্য হাহাকার করে। কত তরুন যে শুধুমাত্র একটি চাকরি পাওয়ার জন্য আত্নহত্যার পথ বেছে নিয়েছে তার কোন ইওত্তা নেই। প্রতি বছর শুধুমাত্র একটি চাকরির অভাবে অনেক তরুন হতাশায়  ভুগে নিজেকে শেষ করে দিচ্ছে তার হিসাব জানা  নাই।

বাবা মা অনেক আশা করে তার সন্তানকে সুশিক্ষা দান করেন এই ভেবে এই সন্তান তার খেয়াল রাখবে।পরবর্তীতে এই সন্তান তার লাঠি হয়ে দাড়াবে। শুধুমাত্র একটি চাকরি পাওয়ার অভাবে সকল স্বপ্নের ইতি ঘটে।

আমাদের দেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এই দেশে তাই চাকরির বাজার খুবই সীমিত। প্রতি বছর লাখো লাখো তরুন পড়ালেখা শেষ করে চাকরির বাজারে নেমে পড়ে শুধু এই ভেবে যদি চাকরিটা পেয়ে যায়।

কিন্তু আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি আসলে সমস্যাটা কোথায়? কেনইবা আমরা চাকরি পাচ্ছিনা? ভালো গ্রেড থাকার পরও কেন চাকরি পাচ্ছিনা আমরা?কথাটি খুবই সহজ।সঠিক যোগ্যতার অভাব।

আমরা আসলেই চাকরি না পেয়ে নিজেদের শিক্ষা ব্যাবস্থা,চাকরি বাজার সবশেষে সরকারকে দোষারোপ করি।কখনো কি ভেবে দেখেছি আসলে দায়টা কার?শুধু বাকিদের উপর দোষ দেয়ার মাঝে নিজেদের সফলতা ভাবি।

আসলে আমরা নিজেদের অযোগ্যতা দেখিনা। শুধুমাত্র ভাল সিজিপিএ পেলে হবে না। বরং একটা চাকরি পাওয়ার জন্য নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।যোগ্যতা ছাড়া কখনোই কোন ভাল চাকরি পাওয়া যায়না।প্রতিবছর হাজার হাজার সিভি রিজেক্ট করা হয় শুধুমাত্র যোগ্যতার অভাবে।

যুগে যুগে কালে কালে গুনিদের কদর সকল জায়গায় সমাদৃত। মনে রাখবেন আপনি যদি যোগ্য এবং পরিশ্রমী হন কেউ আপনার চাকরি পাওয়া আটকানোর সাধ্য কারোর নেই।    তাই চাকরি পাবার আগে অবশ্যই নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলুন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ টি বছর গতানুগতিক শিক্ষার পাশাপাশি নিজের মধ্যে কিছু স্কিল অর্জন করার চেষ্টা করুন।দেখবেন পড়াশোনা শেষ করার পর আপনাকে চাকরির পিছনে ঘুরতে হবেনা।চাকরি আপনাকে ঠিক খুজে নিবে।

Related Posts