চুলের যত্নে পাঁচটি কার্যকরী টিপস

কথায় বলে নারীর সৌন্দর্য চুলে। কিন্তু৷ বর্তমান যুগে চুল পরা,ঝড়ে যাওয়া,আগা ফেঁটে যাওয়া খুবই কমন একটি বিষয়। ১৮-৩০ বছরের মানুষরা এ সমস্যায় ভোগে বেশি। পরিপূর্ণ যত্নের অভাবে সাধারণত চুলের সমস্যা দেখা দেয়।এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে আমরা কত কিছুই করি কিন্তু আসলে কি করতে হবে সেটাই হয়ত অনেকে জানি না। আবার অনেকে টাকা খরচ করলে চুলের যত্নে পার্লারে যায় যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল যা সবার পক্ষে সম্ভব না। আবার পার্লারের স্থায়ী নিশ্চয়তাও নাই। তাই সবচেয়ে ভালো উপায় হলো প্রাকৃতিক ভাবে চুলের যত্ন নেয়া।

তাহলে আসুন জেনে নিই চুলের যত্নে ঘরোয়া ৫টি প্রাকৃতিক টিপস :

১.তেল মালিশ: আমাদের দাদি নানিরা সবসময় বলে চুলের খাদ্য হলো তেল।আপনি দিনের পর দিন একইভাবে চুলে পানি,স্যাম্পু দিয়ে যাচ্ছেন কখনো খেয়াল করে দেখেছেন এতে চুলের কতটা ক্ষতি হয়?তাই সপ্তাহে অন্তত দুইদিন এবং সম্ভব না হলে একদিন অবশ্যই চুলে তেল মালিশ করতে হবে।ব্যবহৃত তেল অবশ্যই প্রাকৃতিক হতে হবে। আর তেল ডাবল বয়েল করে নিলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। যেমন: চুলায় একটি পাত্রে পানি বসিয়ে বাটিতে প্রাকৃতিক নারিকেল কিংবা অলিভ ওয়েল নিয়ে পাত্রের গরম পানির মধ্যে দিয়ে বয়েল করে নামিয়ে কুসুম গরম হয়ে এলে মাথায় মালিশ করবেন।সবচেয়ে ভালো হয় তেল আগের দিন দিয়ে পরের দিন ধুয়ে ফেললে।

২.চুল বেঁধে রাখা: দরকার না লাগলে চুল ছেড়ে দিয়ে রাখবেন না। খোলা চুলে ধুলাবালি, ময়লা পরে বেশি।তাই বাইরে গেলে চুল বেঁধে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। এছাড়া গোসলের পর চুল ভালোভাবে শুকিয়ে খোপা বা বেঁধে রাখবেন।

৩.প্রাকৃতিক রস: আদা, রসুন কিংবা পেঁয়াজের রস চুলের জন্য খুবই উপকারী। এগুলোর রস চুল পরা বন্ধে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। তাই যেকোন একটি রস(পেঁয়াজের রস বেশি উপকারী) নিয়ে মাথার চামড়ায় মালিশ করুন। ৩/৪ ঘন্টা প্প্র চুল ধুয়ে ফেলবেন।

৪.মেথি,ডিম আমলকির প্যাক: মেথি চুলের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। আবার ডিমে থাকা প্রোটিন চুলকে শক্ত করতে সাহায্য করে।মেথি, আমলকী ৫/৬ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে বেটে নিতে হবে।এরপর সেখানে ডিম মিশিয়ে চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিয়ে ঘন্টাখানেক পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে চুল সফট, সিল্কি হয় এবং চুল পরা বন্ধ হয়।

৫.সঠিক পদ্ধতিতে চ মোছা: আমাদের প্রচলিত একটা ভুল ধারণা হলো  গোসলের পর তোয়ালে দিয়ে চুল ভালোভাবে মুছতে হবে।ভুলেও একাজ করবেন না। এটি চুলের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।এতে চুল ভেঙে যায়।তাই পানি মোছার ক্ষেত্রে চুলে তোয়ালে চেপে পানি বের করে নিবেন। এরপর বাড়তি পানি চিরুনি দিয়ে ঝড়িয়ে নিবেন।

<

এই গেলো চুলের যত্নে উপকারী পাঁচটি টিপস। তাছাড়া চুলের যত্নে লেবুর রসও ব্যবহার করা যায়। আর চুলকে সতেজ রাখতে ঠিকমতো মাছ,মাংস, ডিম এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এছাড়া চুল পড়ে যাওয়ার কারণ হলো অতিরিক্ত টেনশন। সবসময় টেনশন মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।

আজ এ পর্যন্তই। অন্য একদিন আবার অন্যান্য টিপস নিয়ে হাজির হব ইনশাআল্লাহ।

 

Related Posts

6 Comments

মন্তব্য করুন