জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পরিবার পরিকল্পনা

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? ভালো আছেন তো? আশা করি শীতের এই তিক্ত সময়েও আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই করি সব সময়। আজ আমি নতুন আরো একটি টপিক নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।

আজকের পোষ্টির বিষয়– জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পরিবার পরিকল্পনা কত প্রয়োজনীয়। হ্যাঁ বন্ধুরা আপনি নিশ্চয় হয়তো আপনার চারিপাশে দেখে থাকবেন যে, অনেকের পরিবারে চার থেকে পাঁচ পাঁচটি শিশুর জন্ম দিয়েছে তার বাবা মা। হয়তো–বা আমাদের মাঝেই কারো কারো পরিবার এ বিষয়টি দেখা যায়। কিন্তু এভাবে অপরিকল্পিত শিশুর জন্ম দিয়ে আমরা কি রকম  সমস্যা ফেস করি। নিচে আমি এ নিয়ে বিস্তারিত লিখেছি।

আশা করছি grathor.com এর সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণের এ পোষ্টটি পড়ে কিছুটা হলেও নিজেদের উপকার আসবে।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পরিবার পরিকল্পনা

 

 

আপনি হয়তো জানেন, দ্রুত বর্ধমান বিশ্বে যেখানে বিপুল হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ জনসংখ্যার দিক দিয়ে নবম। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশসহ ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট ও বিশ্বের প্রায় সকল উন্নয়নশীল দেশও আজ তাদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছে। তাই সমগ্র পৃথিবীতে প্রতিটি দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম জোরদার করে একে আয়ত্তে আনার প্রচেষ্টা করে চলেছে।

<

তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে উদ্ভূত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারলেই আমরা পরিবার পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তাও সহজেই বুঝতে পারব। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে যেসব সমস্যা সৃষ্টি হয় যেমনঃ খাদ্যের অভাব বা অপ্রতুলতা, বস্ত্রের অপর্যাপ্ততা, উপযুক্ত বাসস্থানের অভাব, সুচিকিৎসার অভাব, শিক্ষার অভাব, অর্থনৈতিক বিপর্যস্ততা, বেকারত্ব বৃদ্ধি পাওয়াসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলতার সৃষ্টি।

সুতরাং নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি একটি দেশের প্রেক্ষাপটে তার কি কি প্রভাব ফেলে।

তাই উপরোক্ত সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা একটি দেশের কত অত্যাবশ্যকীয়  ও গুরুত্বপূর্ণ। যদি এক কথায় বলতে চাই, তাহলে বলতে হয় যে– মানব জাতিকে টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

তবে এক্ষেত্রে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে যা দরকার তা হলো প্রতিটি দেশের উচিত বিভিন্ন উপায়ে পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে সুষ্ঠভাবে সকলকে অবগত করা। কেননা একটি পরিবারই জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

তাই আমি আপনাদেরও বলি যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নিজে সচেষ্ট থাকুন এবং অন্যদেরও সচেষ্ট করুন।

আজকে এ পর্যন্তই।

ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করুন। সামনে নতুন এক টপিক নিয়ে যেন আবার আপনাদের সামনে ফিরে আসতে পারি তার জন্য দোয়া রাখবেন।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

Related Posts