জেনে নিন কম্পিউটার হার্ডওয়ারের পরিচর্যার সংক্ষিপ্ত টিপস-এন্ড-ট্রিকস।

আসসালামুয়ালাইকুম, কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে এমন একটি পোস্ট শেয়ার করতে চলেছি। যেখানে আপনারা জানতে পারবেন কম্পিউটার হার্ডওয়ার এর পরিচর্যা সম্পর্কে কিছু টিপস।যা আপনার কম্পিউটারের সকল হার্ডওয়ার গুলোকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে কেন সে সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

কম্পিউটারের হার্ডওয়ার পরিচর্চা বলতে সাধারণত, মনিটর, কিবোর্ড, মাউস, প্রিন্টার প্রভৃতি যন্ত্রপাতির পরিচর্চা কে বোঝায় নিচে এদের পরিচর্যর আলোচনা করা হলো:

মনিটর: মনিটরের মধ্যে অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশের সংযোগ রয়েছে। বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ, শব্দ নিয়ন্ত্রণ, ছবি নিয়ন্ত্রণ, বার্তা প্রেরণ ও গ্রহণ এর জন্য আই সি ও অন্যান্য যন্ত্র রয়েছে। এগুলো সহজে নষ্ট হয় না। বৈদ্যুতিক আঘাত বা অন্যান্য কোন প্রকার আঘাতজনিত কারণে এগুলোর ক্ষতিসাধন হয় এবং নষ্ট হয়ে যায়।

মনিটর পরিচর্যা:

১. মনিটর ধুলাবালি থেকে রক্ষার জন্য প্রতি 6 মাস পরপর মনিটরের অংশগুলো কভার খুলে ব্লোয়ার মেশিন দিয়ে ধুলাবালি পরিষ্কার করতে হবে।

২. মনিটরের বিদ্যুৎ সুইচ অফ করে পরিষ্কার করতে হবে।

৩. মনিটর ক্লিনিং লিকুইড দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

৪. মনিটর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।

এবারে আসা যাক কিবোর্ডে কম্পিউটারে আমরা সাধারণত কিবোর্ড এর মাধ্যমে লেখালেখির কাজ সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ পরিচালনা করে থাকি। কিবোর্ডের ও পরিচর্যার প্রয়োজন এতে রয়েছে। তো চলুন কিবোর্ড এর পরিচয় সম্পর্কে এবার জানা যাক কিভাবে পরিস্কার রাখতে হবে।

কিবোর্ড কিবোর্ড কম্পিউটারের একটি প্রধান অংশ এটা কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিবোর্ড পরিষ্কার রাখা ও পরিষ্কার করার নিয়ম বলি নিম্নে দেয়া হল।

কিবোর্ড পরিচর্চা: কিবোর্ড পরিষ্কার ও পরিচর্চার কিছু টিপস নিচে দেওয়া হল:

১. কিবোর্ড ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।

২. কিবোর্ড আস্তে আস্তে চেপে টাইপ করতে হবে।

৩. মাসে কমপক্ষে একবার ব্লোয়ার মেশিন দিয়ে ধুলাবালি পরিষ্কার করতে হবে।

৪. ধুলাবালি জমে কিবোর্ডে ক্ষুদ্র তারের উপর আস্তরণ পড়ে অকেজো করে ফেলতে পারে। এজন্য ধুলাবালি থেকে সাবধানে রাখতে হবে।

৫. ব্রাশ দিয়ে কিবোর্ডের ময়লা পরিষ্কার করতে হবে।

এবারে আসা যাক মাউসের মাউস মাউস কম্পিউটারের একটি ইনপুট ডিভাইস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মাউসের ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পরিচর্চার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। শেষে সম্পর্কে  আলোচনা করা হলো ।

মাউস পরিচর্চা: মাউস পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করার নিয়মাবলী।

১. মাউসের মুখটি খুলে বল টি বের করে বলটির সাথে যে সংযোগস্থল রয়েছে, ঐ সংযোগস্থল গুলো পরিষ্কার রাখতে হবে।

২. একটি ৪/৫ এনসিসি কোন শক্ত খোঁচা বা নুড়ি দিয়ে তার মাথা তুলা লাগিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

৩. কমপক্ষে মাসে একবার পরিষ্কার করতেই হবে ‌।

৪. মাউস প্যাড ব্যবহার করতে হবে এবং প্যাডটি সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। তা না হলে প্যাডের ময়লা মাউসের বলের গায়ে লেগে যাবে।

৫. মাউস ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।

এবারে আসা যাক প্রিন্টার প্রিন্টার এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন কাগজ কিংবা ছবি আমরা কম্পিউটার থেকে বের করতে পারি। এটিও একটি কম্পিউটারের ইনপুট যন্ত্র হিসেবে বা ডিভাইস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

প্রিন্টার পরিচর্যা: প্রিন্টার পরিষ্কার রাখা ও পরিষ্কার করার নিয়মাবলী নিন্মরূপঃ:

১. প্রিন্টার ধুলাবালি থেকে রক্ষার জন্য প্রতি ছয় মাস পরপর প্রিন্টারের অংশগুলো খুলে কভার খুলে ব্লোয়ার মেশিন দিয়ে ধুলাবালি পরিষ্কার করতে হবে।

২. প্রিন্টারের বিদ্যুৎ সুইচ অফ করে পরিষ্কার করতে হবে।

৩. প্রিন্টারের হেঁটে ময়লা জমলে তা পরিষ্কার করতে হবে লিকুইড ক্লিনিং দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে।

৪. প্রিন্টারের সব সময় ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।

তো আমার আজকের পোষ্ট এখানেই শেষ করছি কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

গ্রাথোর আর্নিং প্রোগ্রাম | পোস্ট লেখালেখি করে খুব সহজেই ইনকাম করুন

Related Posts

8 Comments

  1. ব্রডব্যান্ড রাউটারে পিং এবং স্পিড সমস্যার সমাধান। https://grathor.com/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a1%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%82/

মন্তব্য করুন