জেনে নিন সাধারণ কিছু ভদ্রতা।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

আসসালামু আলাইকুম,

১। ফোন কল ও অন্যান্য কলের ক্ষেত্রে কেউ প্রথমবার ফোন রিসিভ না করলে পর পর একাধিকবার কল দিবেন না। আপনাকে ধরে নিতে হবে, যেহেতু তিনি আপনার ফোন কল রিসিভ করছেন না সেহেতু হয়তো ব্যক্তিটি আপনার ফোন কল রিসিভ করার চাইতে বেশি কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত। অনেজ বেশি জরুরি হলে তার ফোনে এসএমএস করে রাখতে পারেন।

২। আপনি যদি কখনো কারো কাছ থেকে টাকা পয়সা বা অন্যকিছু ঋণ বা ধার করে থাকেন তবে সেটা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পরিশোধ করুন বা সেটা অবশ্যই ফেরত দিন। ঋণদাতা ব্যাক্তি যদি ভুলেও গিয়ে থাকেন তবুও তাকে নিজ দায়িত্বে সময়মতো ফেরত দিন।

৩। একান্তই দুষ্টুমির ছলে না হলে অন্যথায় কাউকে “ও এখনো বিয়ে করোনি কিংবা তুমি নতুন বাড়ি কিনছো না কেন?” এরকম কথা কাউকে হঠাৎ করে বা মানুষের সামনে বলা বা এই ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবেন না।

৪। যদি আপনি আপনার কোন বন্ধু বা সহকর্মীর গাড়ি চড়েন বা হোটেলে খেতে যান সেক্ষেত্রে আপনার বন্ধু বা সহকর্মী যদি আজকের বিল বা খরচ পরিশোধ বা বহন করে তবে আপনি অাগে ভিত্তিতে কালকের বিল বা খরচ পরিশোধ করুন।

৫। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হউন। অন্যের মতামতকে সম্মান জানান। কেউ খন কোনো কথা বলতে শুরু করবে তখন মনোযোগ সহকারে তার কথা শুনুন। তার কথা বলা শেষ না হলে অর্থ্যাৎ কারো কথার মাঝখানে কোনো কথা বলবেন না। আগে তার কথা শেষ হতে দিন। তার কথা শেষ হলে তারপর আপনি কথা বলা না আপনার মতামত পেশ করা শুরু করুন।

৬। আপনি যদি মনে করেন যে আপনি কারও সাথে মজা করছেন কিন্তু সেটা যদি ঐ ব্যাক্তি উপভোগ না করে বা ভালোভাবে না নেয় তাহলে আপনার অবশ্যই থেমে যাওয়া উচিত।

৭। মোবাইল ফোন বিশেষভাবে একজনের একান্ত ব্যাক্তিগত হয়ে থাকে। যদি কোনো কারনে তার ব্যাক্তিগত কোনো ছবি দেখানোর জন্য তার ফোন আপনার হাতে দেয় তাহলে যে নির্দিষ্ট ছবিটি দেখার জন্য মোবাইল ফোনটি আপনার হাতে দেয়া হয়েছে শুধু সেই ছবিগুলোই দেখুন। ফোনের গ্যালারির অন্য কোনো ফোল্ডার বা অন্য কোনো ছবি অনুমতি ব্যাতীত দেখার জন্য এপাশ-ওপাশ করবেন না।

৮। ধরুন, আপনি কারও সাথে কোনো বিষয়ে কথা বলছেন। এমতাবস্থায় আপনি তার কথার প্রতি মনোযোগী হোন। অযথা মোবাইল ফোন টিপাটিপি করবেন না।

৯। কখনো কারো ব্যক্তিগত ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত না ঐ বিষয়ে আপনার কাছ থেকে কোনো উপদেশ চাওয়া বা জানতে চাওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত স্বেচ্ছায় আগ বাড়িয়ে উপদেশ দিতে যাবেন না।

১০। সবাইকে তার অবস্থান অনুযায়ী প্রাপ্য ও সমান সম্মান দিতে শিখুন। হোক সে একদম নিন্মবিত্তের, হোক সে রিক্সাওয়ালা কিংবা হোক সে আপনার অফিসের বস।

১১। কারো বেতন কত, চাকরির অবস্থান কি ও কারো ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সরাসরি কোনো প্রশ্ন করবেন না।

১২। পাসওয়ার্ড একটি একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয়। কেউ তার পাসওয়ার্ড সাবমিট দেওয়ার সময় আপনি সামনে থাকলেও নিজে ভদ্রতার সাথে আপনার চোখ ও দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে ফেলুন।

১৩। যেকেউ যেকোনো বিষয়ে ন্যূনতম সাহায্য করলে বা তার দ্বারা উপকৃত হলে তাকে ধন্যবাদ দিতে ও তাঁর ভালো কাজে প্রশংসা করতে শিখুন।

Related Posts