টাইপিং এর কিছু নিয়মাবলি

আসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন। সুস্থ আছেন।করোনা পরিস্থিতির ফলে আমরা সবাই যে যার ঘরে অবস্থান করছি।প্রায় সবাই কমবেশি অলস সময় কাটাচ্ছি।কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই লম্বা অলস সময়কে আপনি চাইলে প্রোডাক্টিভ সময় বানাতে পারবেন।সেই জন্য প্রয়োজন আপনার নিজের ইচ্ছা এবং নতুন কিছু শেখার আগ্রহ।

আমাদের নিত্যদিনের সময় কাটে আমাদের ল্যাপটপ, ডেক্সটপ কিংবা স্মার্টফোন এর পিছনে।তাই নিত্যদিনই আমাদের টাইপিং করতে হয়।টাইপিং যদি ধীরগতি সম্পন্ন হয় তাহলে আপনার কাজের গতি,বার্তা আদান প্রদানের গতি খানিকটা ধীর গতির হয়।আর যদি আপনি সেই টাইপিং টাই শিখে ফেলেন তাহলে দৈনন্দিন জীবনে আপনার কাজ করার গতি অন্যসকলের কাজ করার গতি থেকে খানিকটা এগিয়ে যাবে। তাই আর দেরি কেন আমাদের আলোচনা শুরু করা যাক।

আমরা কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ নাকি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে গেলে প্রথমেই আসে কি-বোর্ড । তাই আজ আমি দেখাবো কিভাবে আপনি খুব দ্রুততার সাথে টাইপিং করতে পারেন।সেইজন্য সবার আগে প্র‍য়োজন কি – বোর্ড এর সাথে পরিচিতি পাওয়া।

১.স্পেসবারঃল্যাপটপ, মোবাইল ফোনে টাইপিং করতে গেলে প্রথমেই কি-বোর্ড এ যে লম্বা বাটন টি শেষের শাড়িতে চোখে পড়ে সেটি হলো স্পেসবার। এক শব্দের পর আরেক শব্দের মধ্যে ফাকা রাখার জন্য ব্যবহৃত হয় স্পেসবার।

২.এন্টার বাটনঃএন্টার বাটন হলো এ প্রত্যেক লাইনের শেষ এ পরের লাইনে যাবার জন্য যেই বাটন প্রয়োজন সেই বাটন হলো এন্টার বাটন।

৩.শিফট বাটনঃকোনো৷ কি বোর্ড এ কোন অক্ষর ছোট বড় করার জন্য যে বাটন ব্যবহার করা হয় সেই বাটন হলো শিফট বাটন।অর্থাৎ কোনো অক্ষর শিফট ধরে প্রেস করলে সেই অক্ষর বড় হাতের অক্ষর হয়ে যায়।

৫.বেকস্পেসঃকোন লাইন লিখে কাটার জন্য যে বাটন ব্যবহৃত হয় সেটি হলো বেকস্পেস বার।

৬.টেপ বাটনঃটেপ বাটনে ক্লিক করলেও শব্দের মাধ্যমে স্পেস হয়।

৭.কেপ্সলকঃসব লেখা বড় হাতের করার জন্য কেপ্সলক ব্যবহার করা হয়।

মোটামুটি পরিচিত দিলাম কি বোর্ড এর বিশেষ কিছু বাটন এর উপর।এখন আসি কিভাবে আপনি আপনার টাইপিং স্কিল খুব দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারেন।সেইজন্য আপনাকে টাইপিং করার জন্য দুই হাতের তর্জনী আঙুলকে কি বোর্ড এর উপর বসাতে হবে।টাইপিং শিখতে হলে সব সময় তর্জনী আঙুলকে কি বোর্ড এর J এবং F বাটন বসাতে হবে।যেকোনো লিখা টাইপ করতে হলে হাতের আঙুল এই দুই স্থানেই বসাতে হবে।আস্তে আস্তে বাকি আঙুল গুলো সেট করে নিতে হবে।দুই হাতের দুই কনিষ্ঠা আঙুলকে সব সময় এন্টার বাটনের মধ্যে রাখতে হবে।কি বোর্ড এর দুই পাশেই এন্টার বাটন বিদ্যমান থাকে।দুই হাতের বৃদ্ধা আঙুল থাকবে স্পেস বারের উপর রাখতে হবে।এভাবে কোন লিখা টাইপ করবেন।

টাইপিং করতে গেলে কখনো কি বোর্ড এর দিকে দেখে লিখবেন না।লিখতে গেলে সবসময় মনিটর এর দিকে খেয়াল রাখবেন।সবসময় উচ্চারণ করে লিখবেন।এইভাবে প্রতিদিন অন্তত দুই ঘন্টা ধরে অনুশীলন করবেন। মুখে বলবেন এনং সাথে সাথে আঙুল দিয়ে টাইপিং করতে থকাবেন।দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার টাইপিং ভিতি দূর হয়ে যাবে।

আশাকরি আপনাদের আজকের লেখাটি কাজে এসেছে। সবাই সুস্থ থাকবেন। ভালো থাকবেন।আল্লাহ হাফেজ।

ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন

Related Posts

5 Comments

  1. নতুন সাইট ভালো ইনকাম ঘুরে আসার আমন্ত্রন রইলো । মাত্র 1$ হলেই পেমেন্ট নিতে পারবেন বিকাশ এবং নগদে। লিংক এ গিয়ে দেখে আসুন ভালো লাগলে করবেন । ধন্যবাদ
    https://blog.jit.com.bd/dhaka-work-3807

মন্তব্য করুন