ঠেকে শিখা জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা।

শিখেছেন কোথায়? ঠেকেছেন যেথায়।

হ্যাঁ! মানুষ বিপদে পড়েই অনেক কিছু শিখে থাকে। আজ তেমনই কিছু শিক্ষা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাইছি। আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে।

১. ভরসা রাখুন শুধুমাত্র আল্লাহর উপর, বিপদে মানষিক সাহস বৃদ্ধি পাবে।

২. যাদের আপনি খুব কাছের বন্ধু ভাবেন আসলে তাদের বেশিরভাগই বিপদে কাছে আসবে না। তবে, বিপদের সময় বন্ধু – বান্ধব কোন কাজে আসে না, একথাটাও সবসময় সঠিক নয়।

৩. একমাত্র পরিবারের সদস্যরাই আপনার এমন বন্ধু, যাদের সব সময় কাছে পাবেন।

৪. জীবনে সবাইকে এক রকম গুরুত্ব দেয়া বোকামি। মানুষ মুখে যে যাই বলুক না কেন শেষ পর্যন্ত টাকা আর চেহারাটাই তাদের কাছে মুখ্য।

৫. জীবন চলার পথে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘না’ বলাটা জরুরী হয়ে পড়ে। তাই “না” বলতে শেখাটাও একটা বড় অর্জন।

৬. তর্কে জিতার সুযোগ থাকলেও অনেক সময় তর্কে না জড়ানোই বুদ্ধিমান কাজ।

৭. হতাশ আর অলস ব্যক্তিকে কখনো বন্ধু বানাবেন না। জানেন তো, সঙ্গ দোষে যেমন লোহা ভাসে, তেমনি সঙ্গ দোষে কাঠও ডোবে।

৮. জীবনে বউ নির্বাচন করা থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার হলো বন্ধু নির্বাচন করা।

১০. “পরে আরও ভালো সুযোগ আসবে” এই ভেবে কখনো ভালো কিছুর সুযোগ আসলে কখনোই তা হাত ছাড়া করবেন না। ১০০% পস্তাতে হবে।

১১. সব সময় সব কাজে বন্ধু বা সঙ্গীর বা অন্য কারও সাহায্যের আশা করবেন না, কিছু কাজ নিজে নিজে করার চেষ্টা করুন।

১২. বিপদে পড়লে সেটা নিজের ভিতর না রেখে আপন মানুষদের সাথে শেয়ার করুন, তাতে বেশিরভাগ সময় সমাধানের পথ বেরিয়ে আসে।

১৩. ব্যর্থ প্রেমের জন্য ভেঙে পড়া নিরর্থক। কারণ, আপনি আবারও প্রেমে পড়বেন এবং পড়াটাই যুক্তি সঙ্গত। আসলে প্রেমকে স্বর্গীয় রূপ দান করা গেলেও প্রেম কিন্তু স্বর্গীয় কিছু নয়। প্রেমের ভিত্তি নিতান্তই জৈবিক এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা চিরস্থায়ী নয় বরং ভঙ্গুর।

১৪. বেশিরভাগ মানুষ আপনার জয় – পরাজয়ে নিয়ে চিন্তিত নয়। বরং তারা আপনার কাছ থেকে কী সুবিধা পাবে সেটা নিয়েই বেশি চিন্তিত।

১৫. চেষ্টা করুন সবার সাথে বিনয়ী আর ভালো ব্যবহার করতে। অনেক সময় এমন ব্যক্তির কাছে থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে সাহায্য পেয়ে যেতে পারেন, যা আপনে কখনো কল্পনাও করেননি।

১৬. যার তার কাছে নিজের সমস্যা নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। বেশিরভাগ মানুষই অন্যের সমস্যা নিয়ে আন্তরিকভাবে ভাবে না। এবং তারা সু-পরামর্শ দিতেও সক্ষম নয়।

১৭. ছেলেরাই ছেলেদের সবচেয়ে ভাল বন্ধু হয়। বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে কখনোই সত্যিকারের বন্ধুত্ব হয় না। তাতে সবসময় সামান্য হলেও যৌনতা মিশে থাকে। যদিও সেটা আপত্তিকর নয়।

১৮. আপনি নিজেই আপনার সবচেয়ে উত্তম বন্ধু। নিজেই নিজের প্রতি যত্নবান হউন। ইচ্ছে থাকলেও কেউ আপনার সমস্যা ভাগ করে নিতে পারবে না।

 

আল্লাহ্‌ পাক আমাদের সহায় হউন। আমীন।

Related Posts

7 Comments

মন্তব্য করুন