ডাটা এন্ট্রি বা লিখা লিখি করে টাকা আয় করতে চাইলে এখনি দেখে নিন?

হাই,আসসালামু আলাইকুম। যারা ডাটা এন্ট্রি করে বা লেখালেখি করে টাকা ইনকাম করতে চান আজকের আর্টিকেল  আপনার জন্যই কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।

প্রথমে আমরা জেনে  নেবো ডাটা এন্ট্রি কি?

উওর:- ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে কোন তথ্য টাইপ বা লেখা। অর্থাৎ কোন দেওয়া তথ্য  টাইপ করে দেওয়া। এই ডাটা এন্টি করে কিন্তু হাজার হাজার মানুষ ঘরে বসেই ইন্টারনেটে থেকে টাকা আয় করছে। এটি স্বপ্ন নয় বরং বাস্তব।

**ডাটা এন্ট্রি করতে কী কী লাগবে?

ডাটা এন্ট্রি করতে কিন্তু আপনাকে বিশেষজ্ঞ হওয়া লাগবেন। আপনাকে একটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল ফোনে  ইন্টারনেট কানেকশন সহ থাকতে হবে। ইন্টারনেট কানেকশনটি যেন মোটামুটি ভালোমানের স্পীড বা গতি থাকে। আপনি এনড্রয়েন মোবাইল বা কোন প্যাডেও টাইপ করতে পারবেন। আর আপনার টাইপ স্পীড যতই দ্রুত হবে ততই টাইপ করতে পারবেন। ততই অন্যদের চেয়ে বেশি আয় করতে পারবেন। টাইপ করার সময় চেষ্টা করতে হবে যাতে নির্ভূল হয়। কারণ নিভূল হলে আপনার কোন টাকা কাটা যাবেনা। ভূল হলে ভূল টাইপের জন্য কোন টাকা দেওয়া হয়না। অর্থাৎ যেকয়টি ভূল করবেন সে কয়টির জন্য কোন টাকা পাবেন না। মনে করুণ আপনি ১০০ টি ক্যাপচা টাইপ করেছেন এর মধ্যে ৫ টি ভূল করেছেন বাকী ৯৫ টি সঠিক টাইপ করেছেন। তাহলে ৯৫ টির জন্য টাকা পাবেন বাকী ৫ টির জন্য কোন টাকা পাবেন। বিষয়টি একদম সাধারণ।ডাটাএন্ট্রি কি এবং এই কাজটি করতে কি কি জিনিসের প্রয়োজন হয় সেটা আমরা জানলাম এবার আমরা জেনে নেব ডাটা এন্ট্রির প্রকারভেদ অর্থাৎ কি ধরনের হয়?

ডাটা এন্ট্রির প্রকারভেদ:-

👉ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে যেসকল ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে – বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফাইল, ছবি ইত্যাদি আপলোড করা, বিভিন্ন সাইট থেকে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য এক্সেলের একটি ফাইলে সংরক্ষণ করা, ওয়েবসাইটের জন্য একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর আর্টিকেল লেখা, একটি ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ফোরাম, গ্রুপে গিয়ে পরিচয় (Promote) করিয়ে দেয়া, দুটি ওয়েবসাইটের মধ্যে লিংক আদান প্রদান করা (Link Exchange), অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে সাহায্য করা, OCR (অপটিক্যাল কারেক্টার রিকগনিশন) থেকে প্রাপ্ত লেখার ভুল সংশোধন করা ইত্যাদি।

নিচে ওডেস্ক এবং গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইটে গত নভেম্বর মাসে প্রাপ্ত কয়েকটি প্রজেক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:

লোকাল বিজনেসের তথ্য প্রদান: এই প্রজেক্টে বায়ারের (Buyer) রিকোয়ারমেন্ট হচ্ছে ইন্টারনেটে সার্চ করে যুক্তরাজ্যের একটি নির্দিষ্ট শহরের বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার ইত্যাদি তথ্য প্রদান করা। বায়ার এই তথ্যগুলো পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং কাজে ব্যবহার করবে। এই প্রজেক্টটি সম্পন্ন করতে প্রকৃতপক্ষে ইন্টারনেটে ওই শহরের নাম দিয়ে সার্চ করতে হবে এবং প্রাপ্ত তথ্য একটি এক্সেল ফাইলে সেইভ করে বায়ারকে প্রদান করতে হবে। প্রজেক্টে বায়ারের বাজেট হচ্ছে ৫০ ডলার। তবে ঠিক কতটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রদান করতে হবে এবং কতদিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে সে বিষয়ে কোন ব্যাখ্যা দেয়া নেই

ওয়েবসাইট থেকে ডাটা সংগ্রহ করা: এই প্রজেক্টে বায়ার কয়েকটি ওয়েবসাইটের তথ্য দিয়ে দিবে। প্রোভাইডার হিসেবে আপনার কাজ হবে ওই সাইটগুলো থেকে নির্দিষ্ট কিছু ডাটা আরেকটি ওয়েবসাইটের ফরমের মধ্য সেইভ করা। প্রতি ঘন্টায় এরকম ২০০ টি ডাটা এন্ট্রি করতে হবে, অর্থাৎ প্রতি ১৮ সেকেন্ডে একটি ডাটা এন্ট্রি করতে হবে। এই কাজটি করার জন্য কোন বিশেষ অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই, শুধু মাত্র কপি এবং পেস্ট করা জানলেই হবে। সম্পূর্ণ কাজের জন্য বায়ারের বাজেট হচ্ছে ১২০ ডলার।

ডকুমেন্ট কনভার্শন: এই প্রজেক্টে আপনাকে PDF ফরমেটের একটি ডকুমেন্ট ফাইল দেয়া হবে। আপনার কাজ হবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ওই লেখাগুলো হুবহু প্রতিলিপি করা। অর্থাৎ পিডিএফ এর লেখাটির ফরমেট, ছবি, ফুটনোট ইত্যাদি অপরিবর্তিতভাবে ওয়ার্ড ফাইলে প্রতিস্থাপন করা। এই কাজের জন্য গেট-এ-ফ্রিল্যান্সারে ২৭ টি বিড পড়েছে এবং গড় মূল্য হচ্ছে ৬৫ ডলার

ক্যাপচা (Captcha) এন্ট্রি: ক্যাপচা হচ্ছে কয়েকটি অক্ষর ও সংখ্যার সমন্নয়ে একধরনের সিকিউরিটি কোড বা ছবি যা বিভিন্ন সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করার সময় প্রদান করতে হয়। কোন প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে কেউ যাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি সাইটে রেজিষ্ট্রেশন বা ফরম পূরণ করতে না পারে এজন্য এটি ব্যবহার করা হয়। গেট-এ-ফ্রিল্যান্সারে প্রাপ্ত এই কাজে দুইদিনের মধ্যে 36K বা ৩৬,০০০ হাজার ক্যাপচা এন্ট্রি করতে হবে। প্রতি 1K বা এক হাজারটি এন্ট্রি করার জন্য ১ ডলার দেয়া হবে অর্থাৎ মোট প্রজেক্টের মূল্য হচ্ছে ৩৬ ডলার। যেহেতু একার পক্ষে কম সময়ে এত ডাটা এন্ট্রি করা সম্ভব নয় তাই সম্পূর্ণ কাজটি করার জন্য ৫ থেকে ১০ জনের একটি টিম থাকতে হবে। দুই দিনের মধ্যে সফলভাবে কাজটি করতে পারলে বায়ার পরবর্তীতে 1200K অর্থাৎ ১২,০০,০০০ ক্যাপচা এন্ট্রি করার কাজ দিবে যা দুই সপ্তাহের মধ্যে করতে হবে।

ডাটা এন্ট্রি করার কাজটি করতে হলে আপনাকে ধৈর্যশীলতা হতে হবে তবেই আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।ধৈর্যশীল হলে  একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে উঠতে পারবেন এটা আমার আত্মবিশ্বাস থেকে বলছি। ইনশাআল্লাহ আপনি পারবেন ।

তো এখন এই পর্যন্তই যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রত্যাশা করছি:-

সবাই ভাল থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন, নিজে বাঁচবেন অপরকে বাঁচান, সকলের পাশে থাকবেন।

মোঃ ইমরান হাসান (ফাহিম)                    মোবাইল:- 01322968356(বিকাশ).            Email:- [email protected]

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন