ডিজিটাল মার্কেটিং এর হাতেখড়ি

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো অনলাইনে পন্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচার করা। আবার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া যেমন, টিভি, রেডিও ইত্যাদির মাধ্যমে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করাটাও এক ধরণের ডিজিটাল মার্কেটিং। এছাড়াও মোবাইলে ইন্সট্যান্ট মেসেজিং, ইলেক্ট্রনিক বিলবোর্ড,মোবাইল এপ্লিকেশনের মাধ্যমে পণ্যের প্রচারণাকেও ডিজিটাল মার্কেটিং বলা যেতে পারে।

ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) অনেক বেশি জনপ্রিয় কারণ এখানে স্পেসিফিক অডিয়েন্সকে টার্গেট করার সুযোগ থাকে এবং পারফরম্যান্স ট্র্যাকিং করার অনেক বেশি সুযোগ থাকে। যার কারণে ব্যবসার উন্নতি এবং লোকসান সহজেই হিসেব-নিকেশ করা যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ-
ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) সাধারণত দুই প্রকার, অনলাইন মার্কেটিং এবং অফলাইন মার্কেটিং।
অনলাইন মার্কেটিংঃ অনলাইন মার্কেটিং হল কোনও সম্ভাব্য গ্রাহকদের কোনও কোম্পানি ব্র্যান্ড এর পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে একটি বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ওয়েব-ভিত্তিক বা ইন্টারনেট ভিত্তিক মাধ্যম ব্যবহার করা।

অফলাইন মার্কেটিংঃ অফলাইন মার্কেটিং বলতে কোন বিজ্ঞাপনকে বোঝায় যা প্রচলিত অফলাইন মিডিয়া যেমন টেলিভিশন, বিলবোর্ড বিজ্ঞাপন এবং রেডিও ব্যবহার করে পরিচালিত হয়। অনলাইন মার্কেটিংয়ের বিপরীতে, যা ইন্টারনেটে থাকা মিডিয়া চ্যানেল ব্যবহার করে, অফলাইন মিডিয়া সফলভাবে একটি প্রচারণা চালানোর জন্য অনলাইন সংযোগের প্রয়োজন হয় না।
প্রতিটি ব্যবসায়ের কিছু নির্দিষ্ট ক্রেতা রয়েছে যারা online এ কিছু নির্দিষ্ট জায়গা তে সক্রিয় থাকে। সুতরাং প্রতিটি ব্যবসার customer দের online জগতে খুঁজে পাওয়া সহজ এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন product এবং service এর জন্য ইন্টারনেট এ খোঁজও করে থাকে।

বর্তমানে বহু ব্যবসা ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্য নিতে শুরু করেছে। কোন ব্যবসায় একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী যখন নিজেদের ব্যবসা কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন কোন কিছু করতে শুরু করে তখন অন্য সমস্ত প্রতিযোগীদের উচিত সেই একই জিনিসকে নিজেদের ব্যবসায় সঠিকভাবে প্রয়োগ করা।
পারস্পরিক বিজ্ঞাপনের পরিবর্তনে বর্তমান যুগে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা অনকেটা বেড়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ লোক ইন্টারনেট এর সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি গুলো তাদের ক্রেতাদের কাছে ডিজিটাল মার্কেটিং বা ইন্টারনেট মার্কেটিং এর দৌলতে খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পেরেছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যান্য মার্কেটিং এর চাইতে কম খরচে দ্রুততার সাথে করা যায় বিধায় বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়িরা অল্প খরচে ডিজিটাল মার্কেটিং করার সুযোগ পায় বিধায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয় তুমুল হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সারা বিশ্বে এখন কম্পিউটার ও ইন্টারনেট এর ব্যবহার বাড়ছে। যত দিন যাবে মানুষ আরো বেশি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার করবে। কাজেই যত দিন যাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব ও চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। সে জন্য ভবিষ্যত পরিকল্পনা মাথায় রেখে একজন সফল মার্কেটার হওয়ার জন্য অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং এর দিকে মনোযোগী হতে হবে।
মার্কেটিং এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রোডাক্ট এর প্রচারের মাধ্যমে কাস্টোমারদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া। এ ক্ষেত্রে আপনি একজন দক্ষ মার্কেটার হয়ে থাকলে আপনার করণীয় হবে, কত সহজে কাস্টোমার পাওয়া যায়, সেই পথ বের করে নেওয়া। যেই জায়গাতে বেশি সংখ্যক মানুষ বেশি সময় অবস্থান করে, সেই জায়গাতে পন্যের বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিং করাই হচ্ছে একজন সফল মার্কেটার এর কাজ।

কালক্রমে যখন ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া আবিষ্কার হলো তখন মানুষ ফেসবুক ও ইন্টারনেটে আরো বেশি সময় ব্যয় করতে থাকে। তখন সব ধরনের কোম্পানি ও মার্কেটাররা বুঝতে পারে যে, ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়াতে ডিজিটাল মার্কেটিং করলে আরো সহজে অল্প সময়ে যেকোন প্রোডাক্ট মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে। আর সেই থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবস্থা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। আমাদের প্রতিদিনকার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেই ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে পড়ুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক গুলো ধরন রয়েছে।ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধরনগুলো হচ্ছেঃ
১. এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন
২. এসইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
৩. এসএমএম বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
৪. ইমেইল মার্কেটিং
৫. কন্টেন্ট মার্কেটিং
৬. এফিলিয়েট মার্কেটিং
৭. ই-কমার্স মার্কেটিং
৮. ইনবাউন্ড মার্কেটিং
৯. ডিসপ্লে এডভারটাইজিং
১০.সিপিএ মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এই প্লাটফর্মগুলো বর্তমানে সবচাইতে জনপ্রিয়। এ ছাড়া আরো অনেক ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং রয়েছে। তবে আজকের পোস্টে সবগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা না করে শুধুমাত্র এই আটটি ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জেনে নিব।

১.এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO or Search Engine Optimization):
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে যে কেউ সার্চ ইঞ্জিন ব্যাবহার করে একটি ওয়েব সাইটকে বিনামূল্যে সকলের কাছে পৌছে দিতে পারে। ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) বা এসইও এর জনপ্রিয়তা তত বাড়ছে। অনেকে একে ফ্রিল্যান্সিং কাজ হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এছাড়া যারা ব্লগ পরিচালনা করছেন তাদের ব্লগের পরিচিতি বাড়ানোর প্রয়োজন তো আছেই। ইন্টারনেটে ব্যবসা বাণিজ্য করে টিকে থাকার জন্য এসইও (SEO) এর গুরুত্ব অপরিসীম।

২.এসইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM or Search Engine Marketing):
ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর উদ্দেশ্যে সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে ওয়েবসাইটের মার্কেটিং করানোর পদ্ধতিকে বলা হয় এসইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং। বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ড তাদের প্রচারণার জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং একটি ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি। যার মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে এড দেওয়া যায় সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজে বা সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে। যেমন গুগল, বিং, এবং ইয়াহু সার্চ ইত্যাদি। সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজকে সংক্ষেপে বলা হয়ে থাকে এসইআরপি (SERP) এটি আর কিছু না, আপনি যখন গুগলে কোন কিছু সার্চ করেন তখন রেজাল্ট সহ যে পেজ আসে তাকেই সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজ বলা হয়।

৩.এসএমএম বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing):
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটের সাহায্যে কোন পণ্য বা সেবার প্রচার করাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে।
আস্তে আস্তে সোশ্যাল মিডিয়া যেমন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠছে ঠিক অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে অতি সহজেই টার্গেট কাস্টমারের কাছে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায়। সাধারণত কোন টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয় তাহলে সে বিজ্ঞাপনটি সকলেই দেখে। এতে টার্গেট অডিয়েন্স পাওয়া খুবই কষ্টকর। কিন্তু যদি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয় তাহলে আপনি নির্দিষ্ট কাস্টমার বেছে নিতে পারবেন।

৪.ইমেইল মার্কেটিং (Email Marketing):
ইমেইলের মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট বা সেবা গ্রাহকের কাছে প্রচারের উপায় কে email-marketing বলা হয়।ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বিজনেস প্রসার করার পাশাপাশি গ্রাহকের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করা যায়। এজন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ইমেইল মার্কেটিং এর দিকে ঝুকে পড়ছে।ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার ব্যবসা বাড়িয়ে নিতে পারবেন এবং আপনার পছন্দের কাস্টমারদের কাছে অনায়াসে পৌঁছে যেতে পারবেন।

৫.কন্টেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing):
কনটেন্ট মার্কেটিং হলো এমন এক মার্কেটিং কৌশল (marketing strategy), যেখানে দারুন, আকর্ষণীয় এবং ব্যবসার সাথে প্রাসঙ্গিক (relevant) বিষয়বস্তু (content) তৈরি করা হয় এবং সেগুলোকে অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্ম এর মধ্যে বিতরণ (distribute) করা হয়, যাতে অধিক শ্রোতাদের (audience) কাছে নিজের পণ্যের প্রচার করে তাদের আকর্ষিত (attract) করা যেতে পারে।
কনটেন্ট মার্কেটিং হলো মার্কেটিং এর এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে মূল্যবান কনটেন্ট গুলো তৈরি করা হয়।তৈরি করা এই কনটেন্ট গুলোকে সেই প্রত্যেক ব্যবহারকারী দের সাথে শেয়ার করা হয় যারা কনটেন্ট এর সাথে জড়িত বিষয়বস্তুর মধ্যে রুচি রাখেন।
Online content marketing এর ক্ষেত্রে মূলত blog article, eBooks, social media posts, graphics, videos, webinar, এই প্রক্রিয়া গুলো ব্যবহার করা হয়।

৬.এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing):
ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি কৌশল হিসেবে এফিলিয়েট মার্কেটিং কে বিবেচনা করা হয়, যার মাধ্যমে কোনো ব্লগের অথবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে কোনো সংস্থার পণ্য ( product) প্রচার ও বিক্রি করার মাধ্যমে কিছু সংখ্যক কমিশন আয় করে থাকে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি কৌশল হিসেবে এফিলিয়েট মার্কেটিং কে বিবেচনা করা হয়, যার মাধ্যমে কোনো ব্লগের অথবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে কোনো সংস্থার পণ্য ( product) প্রচার ও বিক্রি করার মাধ্যমে কিছু সংখ্যক কমিশন আয় করে থাকে।

৭.ই-কমার্স মার্কেটিং বা ইলেক্ট্রনিক কমার্স মার্কেটিং (E-Commerce Marketing or Electronic Commerce Marketing):
ইন্টারনেট বা অন্য কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে কোন পণ্য বা সেবা ক্রয় বিক্রয়ের কাজটিকেই ই-কমার্স বলা হয়।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসায়ীক লেনদেন ও সুবিধা ব্যবহার করাকে ই-কমার্স বলা হয়। অনলাইনে প্রোডাক্ট কেনা বেচা এর সহজ উদাহরণ। মূলত যে কোন ব্যবসা ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস এর মাধ্যমে পরিচালনা করাই হলো ই-কমার্স।
ই-কমার্সে (e-commerce) নির্দিষ্ট জায়গার প্রয়োজন নেই, এটি হলো সর্বব্যাপী একটি ব্যবসা এটি সব সময় সব জায়গায় সহজলভ্য।আপনার একটি মোবাইলে বা ল্যাপটপে বা অন্য কোন ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে আপনি যেকোনো জায়গায় বসে দ্রব্য কেনা বেচা করতে পারবেন। ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসা কোনো নির্দিষ্ট সীমারেখা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না।

৮.ইনবাউন্ড মার্কেটিং (Inbound Marketing):
কোম্পানী ও তাদের পণ্য-গ্রাহকদের মধ্যাকার ঘনিষ্ট ব্যাবসায়িক সম্পর্ক রেখে ব্যাবসায়ীরা যে মার্কেটিং কৌশল অনুসরণ করেন সেটাই ইনবাউন্ড মার্কেটিং। এ পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট অডিয়েন্সকে লক্ষ্য করে মেইলে বা মেসেঞ্জারে আকর্ষনীয় (Attractive) ডিজিটাল কন্টেন্ট (যেমন- এনিমেটেড বিজ্ঞাপন) পাঠিয়ে তাদেরকে পন্য সম্পর্কে আগ্রহী করা হয়।এবং যারা পন্য ক্রয় করে তাদের থেকে নিয়মিত পন্য সম্পর্কে বিভিন্ন অভিমত (Feedback) নেয়া হয়। মূলত এতে করে তাদের সাথে যুক্ত (Engage) থাকা হয়। সর্বোপরি নির্দিষ্ট সংখ্যক অডিয়েন্সকে খুশি (Delight) করার সর্বাত্বক চেষ্টা করা হয়।
ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর মাধ্যমে কার্যকর ভাবে টার্গেটেড অডিয়েন্সের মাঝে পৌছানো সম্ভব। কারণ এখানে শুধু মাত্র প্রয়োজনীয় কাস্টমারের নিকট মার্কেটিং করা হয়। এক্ষেত্রে অন্যন্য মার্কেটিং এর তুলনায় খরচ কম এবং সবচেয়ে বেশি কার্যকর।

৯ ডিসপ্লে এডভারটাইজিং (Display Advertising):
ডিসপ্লে এডভার্টাইজিং হল এমন একটি এডভারটাইজিং ব্যবস্থা যার মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্যের বা সার্ভিসের প্রচারণার কাজটি আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের কোন ফোটো ব্যানার,এনিমেশন,শর্ট ভিডিও বানিয়ে সেই সকল ওয়েবসাইটে দেখাতে পারবেন যারা তাদের ওয়েবসাইটে আপনার এড দেখাবে।

১০.সিপিএ মার্কেটিং (CPA Marketing):
সিপিএ মার্কেটিং হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং এর একটি অংশ। CPA এর পূর্নরুপ হলো COST PER ACTION. এখানে ছোট ছোট কাজ করেই আপনি আয় করতে পারবেন। এবং আপনাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মতো প্রোডাক্ট সেল করতে হবেনা।
সিপিএ মার্কেটিং এর কাজ হচ্ছে মেইল সাবমিট করা।অবশ্য অন্যান্য আরো কাজও আছে। ধরেন আপনার নতুন কোন সাইটের জন্য আপনি কিছু নতুন মেম্বার খুঁজছেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে যা করা লাগবে, আপনার সিপিএ মার্কেটিং প্লেস এর একাউন্টে এফিলিয়েট লিংকটা থাকবে, সেখানে যতবেশি পসিবল কাস্টমার রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
এইসব ইমেইল সাবমিশন এর কাজ সুবিধা হল, আপনার অফার লিংকে কোন কাস্টমার ক্লিক করে, মেইল সাবমিট করলো তার মানে আপনি আপনার কমিশন পাবেন। এবার কাস্টমার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস কিনলো কি কিনলোনা সেটা আর আপনার কমিশন পেতে কোন বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

  • যেকোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসার প্রচার প্রসারের স্বার্থে একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার খোঁজে। আপনি চাইলেই সহজে এই কাজকে পেশা হিসেবে নিতে পারেন। আর শিক্ষার্থী হলে পার্ট টাইম জব হিসেবেও কাজ করে অভিজ্ঞতা বাড়াতে পারেন। তবে সময়ের সাথে ডিজিটাল মার্কেটারের চাহিদা আরো বাড়বে তাই ডিজিটাল মার্কেটিং স্কিল আরো ডেভলাপ করলে অবশ্যই সফল মার্কেটার হওয়া সম্ভব।

Related Posts

5 Comments

মন্তব্য করুন