ডিজেবল হওয়া ফেসবুক আইডি পুনরায় ফিরিয়ে আনার উপায়।

আসসালামু আলাইকুম। তো কেমন আছেন আপনারা? আশা করি অনেক বেশি ভাল আছেন।প্রতিদিন আমি আমার আইডি থেকে নতুন নতুন ব্লগ নিয়ে আসছি। ঠিক তেমনি আজকেও আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে এসেছি। আজকের ব্লগের বিষয় ডিজেবল হওয়া ফেসবুক আইডি কিভাবে রিকভারি করে ফিরিয়ে আনবেন। সম্পূর্ণ বিষয়টি আমি আপনাদেরকে বুঝিয়ে বলব। বিভিন্ন কারণে আপনার ফেসবুক আইডি ডিজেবল হতে পারে। নানা ধরনের কারণ আছে।

 

 কেউ যদি আপনার ফেসবুক একাউন্টে রিপোর্ট করে অথবা বেশি মানুষ রিপোর্ট করে তাহলে আপনার ফেসবুক একাউন্ট ডিজেবল হবেই। অথবা আপনার ফেসবুক একাউন্টটি প্রথমে আপনার আম্মুর অথবা বোনের ছিল এখন সে ফেসবুক আইডি আপনি নিজের নাম দিয়ে, নিজের জেন্ডার দিয়ে সেভ করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার নাম, জন্মতারিখ সবকিছু প্রোফাইলে গিয়ে পাল্টাবেন। এমতাবস্থায় ফেসবুকের সিকিউরিটি রিজনের কারণে অর্থাৎ আপনি যখন জন্ম সালটা পাল্টাবেন আর জেন্ডার অফসন পাল্টাবেন ঠিক তখনই ফেসবুকের সিকিউরিটি রিজনের কারণে আপনার ফেসবুক আইডি ডিজেবল হয়ে যাবে। আর হওয়ার পরে প্রথমে আপনাকে আপনার আসল নাম লিখতে বলবে। তারপর জন্মসাল লিখতে বলবে। আর সেই মোতাবেক একটি আইডি কার্ড চাইবে।

 এখন আপনাকে এক্ষেত্রে নামের জায়গায় আপনার নতুন যে নামটি দিবেন সেটি দিবেন। জন্মতারিখ দিবেন আপনার জন্ম নিবন্ধনের জন্ম তারিখ।তারপর আপনাকে আপনার যেকোনো আইডি কার্ড এর ছবি তুলে সাবমিট করতে বলবে। এখন আপনার যদি নেশনাল আইডি কার্ড থেকে থাকে তাহলে ফেসবুক যে আইডি কার্ড চাইছে সেখানে আপনি আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের প্রথম পৃষ্ঠা দিয়ে দিতে পারবেন। এতে সম্পূর্ণভাবে ভেরিফি হতে পারবেন। আর যদি ন্যাশনাল আইডি কার্ড না থাকে তাহলে আপনি চাইলে স্কুলের আইডি কার্ড, বিশেষ করে যেখানে আপনার জন্ম তারিক আর নাম স্পষ্ট করে উল্লেখ থাকবে দিতে পারবেন। অথবা আপনার পিএসসি-জেএসসি অথবা সনদপত্র অথবা রেজিস্ট্রেশন কার্ড আছে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। আপনাকে খুবই স্পষ্ট ভাবে আপনার আইডি কার্ডের ছবি তুলে তারপর সেটি ফেসবুকে সাবমিট করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে আপনার নাম যেন ইংরেজিতে থাকে এবং এবং আপনার জন্ম তারিখও যেন ইংরেজিতে থাকে।

 

 তাহলে ভেরিফাই করতে পারবে।সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনাকে এক সপ্তাহের মধ্যে জানান দিয়ে দিবেম এবং আপনার ফেসবুক আইডিটি পুনরায় ফিরিয়ে আনতে পারবেন। আর এখন করোনা মহামারির সমস্য যদি ডিজেবল হয়ে থাকে এবং আইডি ফিরিয়ে আনতে চান তাহলে আপনাকে দুই সপ্তাহ অথবা তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ওয়েট করতে হবে।

 

 তো যারা এ সমস্যাটি ফেস করেছেন তাদের উদ্দেশ্যই আমার এ কথা। ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

 

তো আজ এপর্যন্ত। দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে। সে পর্যন্ত ভাল ও সুস্থ থাকবেন। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি। খোদা হাফেজ।

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন