ডিমের গুনাগুন

ডিম খায়নি এমন লোক খুজে পাওয়া বোধহয় অসম্ভব । ছোট্ট একটা বস্তু ডিম। দেখতে ছোট হলেও এর গুনাগুন কিন্তু কম নয়। ডিম সত্যিই আশ্চর্জময় বস্তু। অন্তত তমরা যারা এই ডিম থেকে বাচ্চা বের হতে দেখেছ তারা এমনটাই ভাববে।

অতি প্রাচিকাল থেকেই মানুষ ডিম খেয়ে আসছে। যখন মানুষ বনে বাস করত তখন তারা বিভিন্ন বন্য পাখির ডিম খেত। পরে মানুষ বিভিন্ন পাখি পোষ মানাতে শুরু করলো। সাধারনতো যে সব পাখি বেশি পরিমানে বাচ্চা দেয় এবং সহজেই পোষ মানে সেগুলোই মানুষ পালতে শুরু করলো এবং মানুষ সুধু মুরগি এবং হাসের ডিম খাওয়া শুরু করল। বর্তমান যুগেও মানুষের সবচেয়ে প্রিয় খাবার মুরগির ডিম। পৃথিবীর অনেক মানুষেরই প্রিয় খাবার এই মুরগির ডিম। মুরগির ডিম এর এত জনপ্রিতার কারন এই নয় যে এটা খুব সহজেই পাওয়া জায় বরং একে অনেক রকম ভাবে রান্না করে খাওয়া যায় । বরং পুস্টিমানের দিক থেকেও ডিমের অবস্থান সবার উপরে।

এবার আসি ডিমের পুষ্টিমান প্রসঙ্গে। ডিমে প্রচুর পরিমানে আমিষ এবং চর্বি আছে। ডিমের আমিষ উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত আমিষ থেকেও উত্তম। ডিমের চর্বিও অন্নান্য চর্বি থেকে সহজেই হজম হয়। ডিমে প্রায় সব ধরনের ভিতামিন পাওয়া যায়। তবে পরিমানের দিক থেকে ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি বেশি পরিমানে থাকে। মানুশের জন্য দরকারি খনিজ লবনও থাকে।

কাজেই সহজেই বোঝা যায় ডিমের পুস্টি মান কতই না উন্নত মানের। ক্যালরির পরিমান, আমিশ,চর্বি, ভিটামিন এ, থায়ামিন এর পরিমানের ভিত্তিতে বলা যায় একটা ডিম আট আউন্স দুধের সমান। অবশ্য আয়রন ও ভিটামিন ডি এর পরিমান ডিমেই বেশি।

শিশুদের জন্য ডিম যথেষ্ট পরিমান শক্তির উৎস। বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য ডিম যথেষ্ট না হলেও অন্নান্য খাবারের সাথে ডিম খাওয়া দরকার। একটি ২ থেকে ৬ বছরের বাচ্চাকে যদি একাধারে একুশ মাস প্রতিদিন একটা করে ডিম খাওয়ান  তবে সে সুসাস্থের অধিকারি হবে।

ডিমের পুষ্টিমান নির্ভর করে ডিমটা কি অবস্থায় খাওয়ান হচ্ছে তার উপর। যেমন কাচা নাকি সিদ্ধ, অথবা ডিমের কোন অংশ খাওয়ান হচ্ছে। শুধু কুসুম না সাদা অংশও। অনকের অভ্যেস হল কাচা ডিম খাওয়া। কিন্তু তা ঠিক নয়। কারন কাচা ডিমে অনেক জীবানু থাকতে পারে যা আমাদের শরিরের জন্য ক্ষতিকর। আবার ডিমের সাদা অংশে থাকে একটা প্রোটিন , কুসুমে থাকে বি ভিটামিন। ডিম কাচা খেলে এগুলো একে অপরের সাথে মিলে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে আমরা একটা গুরুত্তপুর্ন ভিটামিন থেকে বঞ্চিত হই। কিন্তু সেদ্ধ করলে সব উপাদান পুরুপুরি পেয়ে যাই। ডিম বেশি সিদ্ধ করলে কিছু কিছু উপাদান নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে। তাই আধা সিদ্ধ ডিম খাওয়াই বিজ্ঞান সম্মত।

<

Related Posts