” তুমি কি সত্যি আমার !! ” ১৫ তম পর্ব

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। বেশ কিছুদিন পর আজকে নতুন পর্ব নিয়ে আসলাম। আজকের পর্ব অনেক দিন পর আসার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আজকে ” তুমি কি সত্যি আমার !!” গল্পের ১৫ তম পর্ব প্রকাশিত হবে। চলুন শুরু করা যাক।

বাইরে পাড়ার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বিকেলে বাড়ি ফিরলাম। বিকেলে বাড়ি এসে মোবাইল টা হাতে নিয়ে দেখি ঈতিশার মোবাইল নাম্বার থেকে অনেক গুলো ফোন কল। এতগুলো ফোন দেখে আমি তো অবাক। আমি খুশি হয়ে ঈতিশা কে ফোন দিলাম। ঈতিশা ফোন কেটে দিয়ে এস এম এস দিল। বলল যে ও প্রাইভেট এ আছে। তাই আমিও আর বিরক্ত করলাম না। ১৪ তম পর্বের পর থেকে……….

খুব খুশি লাগছে। খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেছি। ইচ্ছা করতেছে চিৎকার করে বলি ঈতিশা আমার, ঈতিশা আর কারো নয়। ঈতিশা শুধুই আমার। যাই আম্মু কে গিয়ে বলে আসি।

আমি: মা… ও মা। ( একটু অভিনয় করলাম। আম্মুর সাথে মজা করার জন্য। আমি সব সময় আম্মুর সাথে মজা করি। )

আম্মু: হুম। বল। কি ব্যাপার!! আজকে এত খুশি খুশি লাগছে কেন? কি হয়েছে?

আমি: আম্মুর কাছে বসতে বসতে বলতে লাগলাম। কারন তো নিশ্চয়ই আছে।

<

আম্মু: সেই কারন টা কি? বলা যাবে?

আমি: হুম, বলা যাবে। কিন্তু বলব না। তুমি বল দেখি আমি কি জন্য আজ এত খুশি?

আম্মু: আমার যে টা মনে হচ্ছে, তুমি ইতিশার সাথে আজ কথা বলেছ তাই তুমি  এত খুশি। কিন্তু কি কথা হয়েছে তা তো জানি না। কি কথা হয়েছে সেটা কি জানতে পারি?

আমি: হুম। বলতে তো চাই। কিন্তু বলতে লজ্জা লাগছে।

আম্মু: কি এমন কথা। যা বলতে গিয়ে আমার ছেলেটা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।

আমি: হুম ☺️। খুব লজ্জা লাগছে।

আম্মু: আচ্ছা বাবা, ( আমাকে উদ্দেশ্য করে) তুমি কি আমাদের না জানিয়ে বিয়ে করে বউ এনে ঘরে লুকিয়ে রাখছো? আর সেটা বলতে লজ্জা পাচ্ছ?

মা: 🙄🙄 ধুর!! মা কি যে বল না। এখনি তো প্রেম এ শুরু করলাম না, আবার বিয়ে করলাম কবে?

মা শোন, যাই করি না কেন, তোমাকে জানিয়েই করব।

আম্মু: তা তো জানি রে বাবা। এখন লজ্জা না পেয়ে বল কি বলতে এসেছিলে।

আমি: ঈতিশা আছে না? ঐ যে আমার কলেজের মেয়ে বন্ধু।

আম্মু: হুম। কি হয়েছে ওর। তোমাকে বিয়ে করবে বলেছে।

আমি: মা, তুমি শুধু বিয়ে বিয়ে করো না তো। আমার সাথে প্রেম করতে রাজি হয়েছে।

আম্মু: সত্যি!! যাক, তাহলে আমার ছেলেটা শেষ পর্যন্ত মেয়ে পটাতে পাইছে। খালি মুখে কি এই সংবাদ নেয়া যায়। মিষ্টি মুখ করাও। মিষ্টি নিয়া আসছো কই?

আমি: ভেবেছিলাম এই কথার জন্য শুধু বন্ধু দের কে treat দিতে হবে। এখন তো দেখছি, তুমি সহ পুরো বাড়ির লোককে মিষ্টি খাওয়াতে হবে।

টাকা দাও মিষ্টি কিনে আনছি।

আম্মু: প্রেম করবা তুমি, মিষ্টি ও খাওয়াবে তুমি। তাহলে টাকা কেন দিব আমি?

আমি: হয়েছে হয়েছে আর তোমাকে ছন্দ বানাতে হবে না।

হুম, সব ঠিক বলেছ। কিন্তূ একটা নয়। টাকা তো তোমাকেই দিতে হবে। কারন আমাকে প্রেম করার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছ তো তুমিই। তাই না?

আম্মু: এখন তো দেখছি উল্টা আমার ঘাড়েই দোষ চাপাচ্ছ। আচ্ছা ঠিক আছে। একটু অপেক্ষা কর আমি টাকা নিয়ে আসছি।

আমি: আচ্ছা মা। Love you ma. তুমি পৃথিবীর সেরা মা। আল্লাহর কাছে দোয়া করি তোমার মত মা যেন প্রত্যেক ঘরে ঘরে জন্ম নেয়া উচিত। তাহলে সব single ছেলেরা mingle হয়ে যাবে। (বলে হাসতে শুরু করলাম।)

আম্মু: ও… তাই। খুব ফাজিল হয়ে গেছিস দেখছি। ঈতিশার প্রেমে পড়ে তোর মাথাটা একে বারে গেছে। এই নে টাকা।

আমি: ধন্যবাদ। কিন্তূ এক হাজার টাকা কেন? পাঁচ শত টাকা হলেই তো হবে।

( মা সব সময় এরকম করে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি করে দেয়। সব মা মনে হয় তাদের সন্তানদের সাথে এরকমি করে। মা হলো আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। যার জায়গা কেউ কখনো দখল করতে পারবে না।)

ধন্যবাদ আপনাকে। সম্পুর্ন গল্প টা পড়ার জন্য। পরবর্তী পর্ব খুব দ্রুত দেওয়ার জন্য। সবাই ভালো থাকবেন। আজকে বিদায় নিচ্ছি।

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন