তুর্কিশ ভাইরাল আইস্ক্রিম ওয়ালার গল্প

যাকে কেউ চিনতোই না সেও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় কেউ ইতিবাচক কোনো কাজের মাধ্যমে কেউবা নেতিবাচক কাজের মাধ্যমে! তেমনি বেশ কিছু দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া গুলো তে বেশ চোখে পড়ছে তুর্কির একজন আইসক্রিম ওয়ালার ভিডিও যিনি তার ক্রেতাদের সাথে নাচছেন তাদেরো নাচাচ্ছেন,নাচার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ বা তাকে অতিক্রম করতে পারলেই তবে ক্রেতা রা পাচ্ছেন তাদের ক্রয়কৃত আইস্ক্রিম তার আগে নই!ক্রেতারা যে গানে নাচছিলো সে গান টাও তার করা।

মূহুর্তে অচেনা সাধারণ এক আইস্ক্রিম ওয়ালা ভাইরাল হয়ে যান।তার গানে নাচানাচি করা টা একটা ট্রেন্ড হয়ে যায় যার ছোয়া বাংলাদেশে এসেও পড়ে। তার দোকানের অবস্থান তুরস্কের লারা জেলায়। যেটি শহরের কেন্দ্র থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে। তার দোকানের নাম ‘কিলগিন দন্দুরমাছি’। বর্তমানে ইনস্টাগ্রামে এই দোকানের অনুসারীর সংখ্যা ১.১ মিলিয়ন।

দোকানের মালিক যিনি নিজেকে ক্রেজি আইস্ক্রিম সেলার হিসেবে পরিচয় দেন তার নাম মেহমুদ ডিস্ক।তিনি গ্র‍্যাজুয়েশনের পরে কন্সট্রাকশন সাইডে কিছুদিন চাকরি করেন এরপরে বেকারি শপে কাজ করেছিলেন বহুবছর!এরপরে ২০১৮ সালের দিকে নিজের আইস্ক্রিম এর দোকান খুলেন!কিন্তু শুরু তেই এতোটাও সহজ ছিলো না তার পথচলা! তিনি জানান তার দোকানের শুরুর ১০ দিন কেউই আইস্ক্রিম কিনতে আসেন নাই।

এরপরই তিনি তার দোকানে সাউন্ড বক্স লাগিয়ে গান বাজানো শুরু করেন এরপরে নিজেই নাচতে থাকেন।ধীরে ধীরে তার দোকানে ভীড় বাড়তে শুরু করে। এরপরই তার মাথায় আসে বেশ ইউনিক একটা সেলস আইডিয়া।
তুর্কির আইস্ক্রিম ওয়ালা দের বেশ পরিচিত একটা সংস্কৃতি হলো ক্রেতাদের সাথে আইস্ক্রিম নিয়ে প্রাংক করা।ক্রেতাদের বেশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েই আইস্ক্রিম টা পেতে হয়।আপনারা আশা করছি এই বিষয় টা সম্পর্কে অবগত আছেন। মেহমুদ ডিস্ক শুধু এই থীমটার সাথেই যুক্ত করলেন ক্রেতাদের নাচের চ্যালেঞ্জ। ব্যাস হয়ে গেলো দুর্দান্ত একটি সেলস আইডিয়া!

বর্তমানে প্রতিদিন তার দোকানে ১০০ কেজির উপর আইস্ক্রিম বিক্রি হই।তিনি এখন শুধু মাত্র একজন আইস্ক্রিম ওয়ালাই নন তিনি এখন সেলিব্রিটিই বটে।বিভিন্ন সোশ্যাল প্লাটফর্মে তার ফলোয়ার এর পরিমাণ বহু মেইনস্ট্রিম সেলিব্রিটি দের কেও ঈর্ষান্বিত করবে।তার দোকানে এখন এতোটা ভীড় হই যে বিভিন্ন ট্যুরিস্ট কোম্পানি গুলো তার দোকানে পর্যটকদের দের নিয়ে যাওয়ার সার্ভিস চালু করার কথা ভাবছে।

আমার ব্যক্তিগতভাবে লোকটার যে জিনিস টা সবচেয়ে ভালো লেগেছে সেটা হলো মানুষ কে আনন্দ দেয়ার প্রতি দুর্বার প্রচেষ্টা।তার দোকানে শুধু আইস্ক্রিমই বিক্রি হই না,আনন্দ,বিনোদন এইসবও বিক্রি হই। আবার এই মানুষ টাই শারীরিক ভাবে অক্ষম মানুষ দের কোনো রকম প্রাংক ছাড়াই আইস্ক্রিম দিয়ে দেন।একইসাথে দুর্দান্ত এন্টারটেইনার আবার গুড সোল মানুষ এই যুগে পাওয়া বেশ মুশকিলই বলা চলে! তাই এইরকম মানুষ জনপ্রিয় হতে দেখলে ভালোই লাগে।
শুভ কামনা ক্রেজি আইস্ক্রিম ওয়ালা!

Related Posts

25 Comments

মন্তব্য করুন