তুর্কি মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন এখন বাংলাদেশে!

  • ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপে গোপনীয়তা সম্পর্কিত কিছু উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশীরা আস্তে আস্তে তুরস্কের মালিকানাধীন ম্যাসেজিং অ্যাপ Bip-র দিকে ঝুঁকছে। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে গোপনীয়তা সুরক্ষা সম্পর্কিত উদ্বেগের বিষয়টির প্রেক্ষাপটে তুর্কি যোগাযোগ ও বার্তা অ্যাপ্লিকেশন Bip এখন বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইতিমধ্যে শীর্ষে চলে গেছে।

বিশ্বে শীর্ষে থাকা app store optimisation এবং মোবাইল অ্যাপের গোয়েন্দা প্ল্যাটফর্ম mobileaction অনুসারে bip বর্তমানে কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় বার্তাপ্রেরণ অ্যাপগুলির মধ্যে বাংলাদেশের শীর্ষস্থান কেড়ে নিচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপ এখন দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।ইমো, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার এবং টেলিগ্রাম ম্যাসেঞ্জারের শীর্ষস্থান এখন আর নেই।

ইতিমধ্যে দক্ষিণ এশীয়ার স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে বেশি bip ডাউনলোড করছেন। এদের মধ্যে তরুণরা দাবি করছেন যে তুর্কী রাষ্ট্রপতি রেসেপ তাইয়েপ এরদোগানের নেতৃত্বে তুরস্ক দ্বারা চালু করা bip একটি দুর্দান্ত ও চমৎকার অ্যাপ। Bip অ্যাপ্লিটি এখন হোয়াটসঅ্যাপের চেয়ে বেশি নিরাপদ। কারণ অ্যাপটির কর্তৃপক্ষ ব্যবহারকারীদের সমস্ত তথ্য সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।

হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুকের সাথে ব্যবহারকারীর তথ্যের অংশ ভাগ করার নীতি পরিবর্তন করার কারণে বিশেষকরে প্রথমেই তুরস্ক ও পরে অন্যান্য দেশের প্রযুক্তি জায়ান্টরা ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হন এবং bip নামক অ্যাপ আপগ্রেড করার সিদ্ধান্ত নেন।

হোয়াটসঅ্যাপের পরে তুর্কি অ্যাপসের মধ্যে ডাউনলোডের তীব্রতা বিশ্বব্যাপী আরও বেশি গতি অর্জন করেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় দুই বিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী এটি ডাউনলোড করেছে। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ গোপনীয়তা নীতিতে বিতর্কিত পরিবর্তনগুলিও চালু করেছে যাতে এটি প্যারেন্ট সংস্থা ফেসবুকের তথ্য ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ আছে।

তুরস্কের Global System for Mobile Communication (GSM) এর অপারেটররা তুরস্কেল, তুর্কি টেলিকম এবং ভোডাফোনসহ স্থানীয় মেসেজিং অ্যাপ bip-র পক্ষে রায় দিয়েছেন। বাংলাদেশসহ বিশেষ করে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের যুবকরা অ্যাপটি ডাউনলোড করতে এবং এটিকে “তাদের অ্যাপ” বলে মেনে নিতে শুরু করেছে।

তুরস্কের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে অনেকে বিভিন্ন শ্যোসাল মিডিয়াতে প্রচারও শুরু করেছেন। বাংলাদেশ টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং মিডিয়া রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ১১০ মিলিয়ন মানুষ মোবাইল এবং এক-চতুর্থাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করে। বিভিন্ন বার্তা অ্যাপ্লিকেশনসহ ইন্টারনেট ব্যবহার করে আরও অসংখ্য।

মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশে যদি bip ডাউনলোডের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকে তবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অ্যাপটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরও লক্ষ লক্ষ পরিমানে বেড়ে যাবে।
গুগলের অ্যাপ স্টোর অনুসারে বিশ্বজুড়ে ৫০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী bip ডাউনলোড করেছেন।

অ্যাপ্লিকেশনটির বিবরণে বলা হয়েছে এটি একটি সুরক্ষিত ও সহজেই ব্যবহারযোগ্য একটি ম্যাসেজিং অ্যাপ যা ১০৬ টি ভাষায় তাৎক্ষণিক অনুবাদ করা যায়। এটি মোবাইল এবং ওয়েব ব্যবহারকারীদের সারা বিশ্ব জুড়ে একসাথে ১০ জন ব্যক্তির সাথে ভিডিও এবং অডিও কল করতে পারে।

Related Posts