দৃষ্টিভ্রম হওয়া এক ভয়ংকর রাত ও পরেরদিন আসল কাহিনী উদঘাটন।

তখন ২০১৪ সালের মে মাস।এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে চল্লিশ দিনের তাবলীগ জামাতে গিয়েছিলাম।১৫/১৬ দিন পর এক রাতের কথা।আমরা ৩ জন বন্ধু ছিলাম খুব ঘনিষ্ঠ,সবসময় একসাথে চলাফেরা,কাজকর্ম করতাম।।এক রাতে মসজিদে সবাই ঘুমিয়ে গিয়েছিলো।আমরা শুধু ৩ জন ই জেগে ছিলাম।মসজিদের ঠিক সামনেই ছিলো একটি তেতুল গাছ।।এমনিতেই তখন রাত হলে ভয়ে থাকতাম।।তো ওই রাতে সবাি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গিয়েছিল, আমরা ঘুমাই নি।রাত তখন ১/১.৩০ মিনিট।।আমরা খুব নিচুস্বরে গল্প করছিলাম,ঠিক এমন সময় আমাদের চোখ মসজিদের সামনে তেতুল গাছের দিকে গেলো।তখন আমরা যা দেখলাম তাতে আমাদের চোখ ছানাবড়া।সবসময় শুনেছি তেতুল গাছে ভূত প্রেত থাকে ওইরাতে সেটা বাস্তবে রূপ নিলো আমাদের চোখে।।দেখলাম যে তেতুল গাছ থেকে আগুলের গোলার মতো মাটিতে পড়ছে অনবরত।আমরা দেখার সাথে সাথে প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলাম।আরো ভয় পেলাম যখন দেখলাম আগুন মাটিতে পড়ার সময় একটা সাদা কিছু পরিহিত কেউ দৌড় দিলো সেখান থেকে।এই দৃশ্য দেখার পর আমরা আর ওইদিক তাকানোর সাহস পেলাম না।কোনোমতে কাথা মুড়ি দিয়ে চোখ বন্ধ করে এক আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে ঘুমানোর চেষ্টা করতে থাকলাম এবং একটা সময়ে ঘুমিয়ে গেলাম।সকালে উঠে বিষয়টা ভয়ে আমরা আমাদের ইমাম সাহেব ও সাথী ভাইয়ের অবগত করলাম যে গতরাতে এরকম ঘটেছে আমাদের চোখের সামনে।।সবাই কৌতূহলবশত এটার সুরাহা বের করার জন্য তেতুল গাছের নিচে গেলো।।তখন দেখলো যে ছাই পড়ে আছে সাথে মৌমাছির চাক ভেঙে পড়ে আছে।তখন আর আমাদের বুঝতে বাকি রইলো না আসলে কি ঘটেছে।।ওই এলাকার ২/১ টা পাজি ছেলে এতো রাতে মৌমাছির চাক ভাঙার জন্য লাঠিতে করে গাছে আগুন দিয়েছিলো এবং সেই মৌমাছির চাক ভেঙে আগুনের গোলার মতো মাটিতে পড়ছিলো।যে ছেলেটি আগুন দিয়েছিলো সে সাদা শার্ট অথবা গেন্জি পরিহিত ছিলো সেটাও আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেলো।এই কাহিনী বের হওয়ার পর সবাই খুব মজা পেল আর আমরাও মনে মনে হাসলাম আর ভাবলাম কি এক দৃষ্টিভ্রমের মধ্যে পড়েছিলাম গত রাতে যেটা আমাদের সারাজীবন মনে থাকবে।

<

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন