দেশের ৫ টি ব্রিজ এবং ব্রিজ নিয়ে ক্যাপশন, রোমান্টিক স্ট্যাটাস

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি। তো আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে ৫ টি ব্রিজ এবং ব্রিজ নিয়ে ক্যাপশন, রোমান্টিক স্ট্যাটাস। তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

আমি এখন ৫টি মূল ব্রিজ নিয়ে আলোচনা করব। এটি সম্পূর্ণ আমার মতামতের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা। তাই কোনো ভুল হলে মেনে নিয়েন।

৫. খান জাহান আলী ব্রিজ:

আমাদের তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে খান জাহান আলী ব্রিজ। এই ব্রিজটি খুলনায় অবস্থিত।এটি রূপসা নদীর উপর অবস্থিত। উলগু খান জাহান আলির নামে এটির নামকরণ করা হয়। এটি রূপসা ব্রিজ নামেও পরিচিত। এই সেতুটি খুলনা শহর থেকে ৪.৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি ২০০৫ সালের ২১শে মে সর্বসাধারণের জন্য খোলা হয়। এই ব্রিজটি দৈর্ঘ্যে ১.৬ কিলোমিটার বা ১৬০০ মিটার। আর এটির প্রস্থ প্রায় সাড়ে ১৬ মিটার। এটিকে খুলনার প্রবেশ পথ বলা হয় কারণ এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সাথে মংলার বন্দরের সংযোগ হিসেবে কাজ করে।

৪. ক্বিন ব্রিজ:

আমাদের তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে ক্বিন ব্রিজ। এটি ব্রিজটি সিলেটে অবস্থিত। এটি সুরমা নদীর উপরে তৈরি করা হয়েছে। এটি একটি লোহার ব্রিজ। বিংশ শতাব্দীর আসামের গভর্নর মাইকেল ক্বিন সিলেট সফরে আসেন। তার স্মৃতিতে এই ব্রিজটির নাম ক্বিন ব্রিজ রাখা হয়। এই ব্রিজটি তৈরিতে তৎকালীন ৫৬ লাখ টাকা খরচ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানি বাহিনির ডাইনামাইটে ব্রিজটির উত্তর পাশের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরে তা মেরামত করা হয়। এটি ১৯৩৬ সালে চালু করা হয়। এটির দৈর্ঘ্য ৩৫০ মিটার। এটি প্রস্থে ৫.৪ মিটার। এটি আকারে ছোট হতে পারে কিন্তু এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। এটিকে সিলেটের প্রবেশদ্বার বলা হয়। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী ও দর্শনীয় স্থান হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। এটি সিলেটর কেন্দ্রস্থলে সিলেট রেল স্টেশন থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

৩. মেঘনা সেতু:

আমাদের তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেঘনা সেতু। এটি বাংলাদেশের একটি সড়ক সেতু। এই সেতুর অফিসিয়াল নাম হলো জাপান-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১ কারণ জাপান এই সেতুটি তৈরিতে সহায়তা করে। নিপ্পন কোই কো. লিমিটেড নামক একটি কোম্পানি সেতুটি তৈরিতে সহায়তা করেছে। ১৯৯১ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি সেতুটি চালু করা হয়। এটি মুন্সিগঞ্জে অবস্থিত। এটি মেঘনা নদী অতিক্রম করেছে। এই সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৯০০ মিটার আর প্রস্থ হলো ৯.২ মিটার। সেতুটি ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের পাশে অবস্থিত। মেঘনা সেতু জাপানের সহায়তায় নির্মিত পৃথিবীর একক বৃহত্তম প্রকল্প।

২. বঙ্গবন্ধু সেতু:

আমাদের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতু। এটি যমুনা বহুমুখী সেতু নামেও পরিচিত। এটি একটি সড়ক ও রেল সেতু। এটি যমুনা নদীর উপর তৈরি করা হয়। এটি সিরাজগঞ্জ ও টাংগাইলে অবস্থিত। ১৯৯৪ সালে এই সেতুটির কাজ আরম্ভ করা হয়। চার বছর পর ১৯৯৮ সালে এই সেতুটি সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।এটির দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এটি প্রস্থে ১৮.৫ মিটার। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় সেতু। এটি বিশ্বের ১১ তম সবচেয়ে বড় সেতু ও দক্ষিণ এশিয়ার ষষ্ঠ বৃহত্তম সেতু। এই সেতুটি বাংলাদেশের পূর্ব এবং পশ্চিম অংশের মধ্যে একটি কৌশলগত সংযোগ প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীতে এই সেতুতে কিছু ত্রুটি দেখা দেয়। ২০০৩ সালে এ সেতু বাংলাদেশ সরকার বুঝে নেয়। ও চুক্তি মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত হয় যে ত্রুটির জন্য পরবর্তী ১০ বছর বঙ্গবন্ধু সেতুর ত্রুটির সব ব্যয়ভার হুন্দাইকে বহন করতে হবে।

<

১. পদ্মা সেতু:

আমাদের তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে পদ্মা সেতু। এই সেতুটির অফিসিয়াল নাম হলো বহুমুখী পদ্মা সেতু। এটি একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। সেতুটি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং, শরিয়তপুর ও মাদারীপুরে অবস্থিত। এই সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার ও প্রস্থ ১৮.১০ মিটার। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেতু হতে যাচ্ছে। সেতুটির নির্মাণকাজ আরম্ভ হয় ২০১৪ সালের ৭ই ডিসেম্বর। যদিও প্রকল্পের প্রস্তুতি শুরু হয় ২০০৬-২০০৭ সালের দিকে। পরবর্তীতে প্রকল্পের সাথে সম্পর্কিত কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসলে বিশ্বব্যাংক তার প্রতিশ্রুতি উঠিয়ে নেই পরবর্তীতে সরকারের নিজ অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে সেতুটি চালু করা যাবে বলে ধারণা করা যায়। ব্রিজটিতে মোট ৪২টি পিলার রয়েছে।

বর্তমান সময়ে তরুণ ও যুবক প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা প্রায়ই তাদের প্রিয় মানুষের সাথে ব্রিজে বেড়াতে যাই। নিচে ব্রিজে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে কিছু ব্রিজ নিয়ে ক্যাপশন, রোমান্টিক স্ট্যাটাস দেওয়া হলো

১. প্রিয় ব্যক্তিকে নিয়ে বেড়াতে গেলে সম্পর্কে সতেজতা ফিরে আসে।

২. প্রিয় ব্যক্তির হাত ধরে ব্রিজে ঘুরলে সব দূরত্ব দূর হয়ে যায়।

৩. নদীর ঠান্ডা হাওয়া সবাইকে একটি রোমান্টিক ফিলিং দেয়।

৪. প্রিয় মানুষকে নিয়ে ব্রিজে ঘুরতে গেলে সব অভিমান ও রাগ দূর হয়ে যায়।

৫. প্রিয় ব্যক্তির সাথে একসাথে কাটানো প্রতিটি মূহুর্তই যেন এক অসাধারণ ও অবর্ণনীয় অনুভূতি।

Related Posts

29 Comments

মন্তব্য করুন