নতুনদের জন্য আউটসোর্সিং ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

আশা করি সবাই ভালো আছেন।বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং পেশা খুবই চমৎকার একটা পেশা।এখানে দিন দিন মানুষের কাজের আগ্রহ বেরে যাচ্ছে।কারণ যেকোনো শ্রেণী,পেশা,বয়সের মানুষ এটা করতে পারবে।আপনারা যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং করার কথা ভাবছেন বা কিছুদিন হলো ফ্রিল্যান্সিং করা শুরু করেছেন তাদের জন্য আজকের এই পোষ্টটি খুবই কাজে আসবে।তো চলুন এই পেশার কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নেওয়া যাকঃ

১.ফ্রিল্যান্সিং কি?

–ফ্রিল্যান্সিং মানে হলো মুক্ত পেশা।এখানে আপনি ঘরে বসে বিশ্বের যেকোনো দেশের কাজগুলো করে দিতে পারবেন।আর তার জন্য আপনার দরকার হবে একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এবং তার সাথে ভালো  ইন্টারনেট কানেকশন।এবং এই সম্পুর্ণ কাজগুলোকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং।

২.ফ্রিল্যান্সার কারা?

–ঘরে বসে ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ সাথে ইন্টারনেট কানেকশন সংযোগের মাধ্যমে যে  দেশের ও দেশের বাইরের কাজগুলো করে তারা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার।তারা যেকোনো জায়গায় বসেই কাজ করতে পারে।

৩.আউটসোর্সিং কি?

<

–আপনি যেহেতু একজন ফ্রিল্যান্সার তাহলে আপনি যার কাজগুলো করছেন তারা আউটসোর্সিং করছে।কারণ তারা আপনাদেরকে দিয়ে কাজগুলো করিয়ে নিচ্ছে তাই আপনি হলেন ফ্রিল্যান্সার আর তারা আউটসোর্সার।

৪.ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজগুলো করা হয়?

–ফ্রিল্যান্সিং এ অনেক কাজ রয়েছে।যার মধ্যে জনপ্রিয় হলো ওয়েব ডিজাইন,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,গ্রাফিকস ডিজাইন,ডিজিটাল মার্কেটিং,এসইও,ডাটা এন্ট্রি,ভিডিও এডিটিং,আর্টিকেল রাইটিং।

৫.কেন ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করবো?

–এখানে কাজ করতে হলে কোনো সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয় না।প্রয়োজন হয় শুধু যে কাজটি করবেন সেটা সম্পর্কে দক্ষতা।আপনি পড়াশোনা,চাকরি,ব্যবসার পাশাপাশি বারতি একটা আয় করতে পারবেন এখান থেকে।এবং মাস শেষে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৬.ফ্রিল্যান্সিং এ কেমন টাকা ইনকাম করা যায়?

–ফ্রিল্যান্সিং এ ইনকামটা যেহেতু ডলারে হয় তাহলে আপনাকে ইনকাম নিয়ে ভাবতে হবে না।শুধু নিজের স্ক্রিল ডেভেলপ করুন।তাহলেই প্রতিমাসে ইনকাম বৃদ্ধি পেতে থাকবে।যেমন;কোনো মাসে লাখ টাকাও ইনকাম হতে পারে,কোনো মাসে হাজারও হতে পারে,আবার কোনো মাসে না ও হতে পারে।

৭.ফ্রিল্যান্সারদের ভবিষ্যত কি?

–ফ্রিল্যান্সারদের ভবিষ্যতটা হতে যাচ্ছে আরও উজ্জ্বল।কারণ ভবিষ্যতে এর কাজের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।ফ্রিল্যান্সিং পেশাটা কখনোই শেষ হবে না।যতদিন গুগল থাকবে ততদিন থাকবে এই পেশাটা।

৮.ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে কি কি লাগবে?

–ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনার একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকতে হবে তার পাশাপাশি অবশ্যই ভালো ইন্টারনেট স্পিড থাকতে হবে।আর আপনাকে প্রতিনিয়ত কাজ শিখে নিজের স্ক্রিল আপডেট করতে হবে।আর ধৈর্যো ও পরিশ্রমের ফলে সফল হতে পারবেন এই পেশায়।

৯.কাজ কিভাবে শিখবো?

–আপনি কাজ শিখার জন্য বাংলাদেশের অনেক ভালো ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।তাছারাও ইউটিউবে এই সম্পর্কিিত ভিডিও দেখতে পারেন।তাহলে কাজ শিখতে পারবেন।

১০.একেবারে নতুনরা কিভাবে শুরু করবেন?

–যারা একেবারে নতুন আছে তারা প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ ঘন্টা সময় দিতে হবে।এবং যথাযথভাবে কাজ শিখার পরই মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করবেন।তার আগে কাজ শুরু করবেন না।আর প্রতিদিন প্রেক্টিস করতে হবে।এবং তার পাশাপাশি কাজ চালিয়ে যাবেন।

এভাবেই সফল হতে পারে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার।উজ্জ্বল হোক আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার।ভালো থাকবেন সবাই,ধন্যবাদ।

 

Related Posts