নাম শুনলে জিভে পানি চলে আসে এমন সুস্বাদু ও মজাদার ফুচকার রেসিপি।

আসসালামু আলাইকুম।প্রিয় পাঠক-পাঠিকা আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে সুস্থ দেহে সুস্থ মনে সবাই ভালো আছেন। আমিও মহান আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনারা যে যেখানেই থাকেন যে অবস্থাতেই থাকুন সুস্থ থাকেন ভালো থাকেন এই দোয়া করি।

ফুচকা এমন একটি নাম যে নামের সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত।ফুচকা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা প্রায়শই বড় বড় রেস্টুরেন্টে,রাস্তার পাশের দোকানে যেয়ে থাকি ফুচকা খেতে। আমাদের এই পছন্দের খাবারগুলো খেতে আমরা যেকোন মূল্য ব্যয় করতে রাজি থাকি। কিন্তু আমরা কি জানি যে এই খাবারগুলো আমরা অতি সহজেই বাসায় বসে তৈরি করে ফেলতে পারি এবং অল্প কিছু উপকরণ এর মাধ্যমে এবং এই উপকরণগুলো আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে। তো চলুন জেনে নেই সেই উপকরণ গুলো কি কি।

উপকরণঃ

১। 100 গ্রাম দোকান থেকে আনা ফুচকা।

২। এক পোয়া সয়াবিন তেল 

৩। এক পোয়া বুটের ডাল 

৪। দুই থেকে তিনটি আলু 

৫। কয়েকটি পিয়াজ।

৬। কাঁচা মরিচ এবং শুকনা মরিচ পরিমাণমতো।

৭। গরম মসল্লা পরিমাণমতো।

৮। লবণ এবং পানি পরিমাণমতো।

৯। টক এবং ডিম।

তাহলে চলুন রান্না শুরু করা যাক।

প্রথমে চুলায় একটি কড়াইয়ে তেল গরম দিব। তেল যখন গরম হয়ে যাবে তখন বাজার থেকে কিনে আনা ফুচকা গুলো অল্প অল্প করে গরম ডুবো তেলে ভেজে নেব। সবগুলো ফুচকা যখন ভাজা হয়ে যাবে তখন কোন পলিথিনে রেখে ভাল করে মুখ আটকে দেব যাতে বাতাস না প্রবেশ করতে পারে অথবা কোন মুখ আটকানো বক্সে রাখতে হবে যাতে করে বাতাস প্রবেশ না করতে পারে।

মনে রাখবেন যেখানেই ফুচকা রাখেন না কেন বাতাস যদি প্রবেশ করে তাহলে ফুচকা গুলো নরম হয়ে যাবে এবং খাওয়ার সময় একটুও মজা লাগবে না। ফুচকা ভাজা শেষ হয়ে গেলে আমরা ডাল এবং ডালের সাথে আলু গুলো সিদ্ধ দেব।সিদ্ধ টা এমন ভাবে করবেন যাতে ডালগুলো একদম শক্ত না থাকে আবার একদম গলে না যায়।

মাঝামাঝি অবস্থায় যেন থাকে। ডালগুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলায় একটি করাই দিব। কড়াইয়ে একটু তেল দিয়ে এবং অন্যান্য যে মসলা গুলো আছে সেগুলো সুন্দরমতো ভেজে নিন এবং সিদ্ধ করার ডাল আর আলু দিয়ে সুন্দর মতো রান্না করে নিন।

এবার সেই কাঙ্খিত উপকরণটি তৈরি করতে হবে যেটা শুনে সবার মুখে পানি চলে আসবে এবং যা ছাড়া মজাদার ফুচকার কথা কল্পনাও করা যায় না। সেটি হল টক তৈরি। টক আমরা দুই ভাবে তৈরি করতে পারি। প্রথমটি হলো খুব সহজে ঘরে বসে তেতুলের টক তৈরি। তেতুলের টক তৈরি করতে হলে কিছুটা তেতুল নিয়ে পানিতে গুলিয়ে পরিমাণ মত লবণ ও মরিচ দিয়ে তৈরি হয়ে গেলে তেতুলের টক।

অন্যটি হলো খুব সহজে বাজার থেকে কিনে আনা সাইট্রিক এসিড দিয়ে তৈরি টক। তবে সাইট্রিক এসিডের থেকে তেতুলের টক অনেকটা উপকারী। সাইট্রিক টপ তৈরি করতে গেলে পানিতে কিছুটা অল্প পরিমাণে সাইট্রিক মিশিয়ে নিন এবং পরিমাণমতো লবণ জাল দিলে হয়ে যাবে সাইট্রিক এসিডের টপ তৈরি। ব্যাস সব উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়ে গেলো আমার সুস্বাদু ও মজাদার ফুচকা।

এবার ভাজা ফুচকা গুলো নিয়ে এক একটা করে ফাটিয়ে এবং রান্না করা ডাল গুলোর ফুসকার মাঝে দিয়ে ওর উপরে পেঁয়াজ কুচি এবং পরিমাণমতো ধনেপাতা দিয়ে এবং  ডিমের কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন সুস্বাদু, মজাদার এবং জিভে পানি আনা ফুচকা।

Related Posts