নিঃস্বার্থ ভালোবাসা থাকবে চিরদিন।

“আসসালামু আলাইকুম”আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনার অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা নিয়ে কিছু কথা বলবো। হঠাৎ একদিন একটি ছেলে একটি মেয়ের এসএমএস এসে বলল আপু কেমন আছেন। মেয়েটি উত্তর দিয়ে বলল ভালো। ছেলেটি বারবার এসএমএস করত। আর মেয়েকে খুব বিরক্ত হতো। একদিন ছেলেটি মোবাইলে কল দিয়ে দিল। মেয়েটি বিরক্ত হয়ে বলল আপনি কল দিলেন কেন?
ছেলেটি উত্তরে বলে আমি আমার বোনকে কল দিব তাতে কার সমস্যা! ছেলেটির এই অদ্ভুত কথা শুনে মেয়েটি চুপ রইল!তারপর আরেক দিন মেয়েটির কাছে একটি পিক চাইল। মেয়েটি বললো আমি পিক দিবো না। ছেলেটি অদ্ভুতভাবে কথা বলতো বলতো পিক দিবে না সবই দিবে ভিডিওতে কথা ও বলবে। মেয়েটিও বলতো ঠিক আছে দেখা যাবে। তারপরও তাদের প্রায়ই এসএমএসে কথা হতো। হঠাৎ একদিন ছেলেটি বলল আপনি আমাকে তুই করে বললে খুশি হব। মেয়েটি বলল তুই করে সবাইকে ডাকা যায়না আপন মানুষ ছাড়া। আর আমি যদি তুই বলি তাহলে মাঝে মাঝে শাসন করব। পরে মেয়েটি তার সাথে তুই করে কথা বলে ছেলেটিও তাকে তুই বলে। এরকম তুই তুই করে কথা বলতে বলতে তাদের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়। এখন তারা বন্ধুর মত কথা বলে।

এখন আর ছেলেটি এসএমএস করলে মেয়েটি বিরক্ত হয় না। কল করলেও বিরক্ত হয়না। এখন হঠাৎ একদিন ছেলেটি বলল এই তুই কিন্তু আমায় ভুলে যাবে না বল। মেয়েটি বলল ঠিক আছে আমি তোকে ভুলব না। ছেলেটিও বলল আমি তোর দুঃখের সময় পাশে থাকব সুখের সময় পাশে থাকব। এখন তাদের মাঝে এত বিশ্বাস জন্ম নিল হয়তো বিশ্বাস কোনদিন ভাঙবে না। তারপরে ছেলেটি আবারো বললো তার কাছে একটি পিক চাইল। মেয়েটি এবার দিতে রাজি হল। দুইজন দুইজনকে পিক দেয়। তারপর একদিন ভিডিও কল দেয়। মেয়েটিও ভিডিও কলে কথা বলে। তাদের মাঝে এখন আর কোন সন্দেহ বা ভয়ের কোন কারণ নেই। তারা একে অন্যের খুব ভালো বন্ধু। এখন চলতে থাকে তাদের এসএমএস। প্রতিদিন কথা হয় তাদের এসএমএসে বা কলের। একদিন যদি কেউ কাউকে এসএমএস না করে। তাহলে হয়তো দুজনেরই খুব কষ্ট হয়। এসএমএস না করলে মনে হয় ভালই লাগেনা।

এভাবেই চলতে থাকে তাদের সময়। কিন্তু মেয়েটি সত্যিকারে ভালোবেসে ফেলল ছেলেটিকে। ছেলেটিও ভালোবাসে মেয়েটিকে। কোনদিন যদি ছেলেটি মেয়েটিকে এসএমএস না দিত। সেদিন মেয়েটি খুব মিস করতে থাকে। শত কাজের মাঝেও মেয়েটির মন পড়ে থাকত মোবাইলে। যখনই কোন টিং করে শব্দ আসতো । মেয়েটি দৌড়ে আসে দেখতো ছেলেটি মনে হয় এসএমএস দিছে। কিন্তু কই এসএমএস এর সাড়াশব্দ নেই। তখন মেয়েটি খুব কষ্ট পেত এমনকি চোখের পানিও চলে আসতো।আর যখনই এসএমএস দিত। তখন মেয়েটি বলতো তুই আমায় ভুলে গেছিস তুই আমায় এসএমএস করিস না। ছেলেটি বলতো আমি খুব কাজে বিজি ছিলাম তাই এসএমএস করতে পারিনি। মেয়েটি তখন আর কিছু বলে না

মেয়েটি অনেক ভালোবাসা ছেলেটিকে। তাই সে ছেলেটিকে মিস করে খুব। তারা দুইজন এমন বিশ্বাসই হল। যে তাদের জীবনে পুরনো স্মৃতিগুলো সব একে অন্যজনের কাছে শেয়ার করত। একজন অন্য জনের কাছে শেয়ার করলে মনে হতো মনটা হালকা হতো। তাদের একজনের কষ্ট হলেও অন্যজন অনুভব করতো। ঠিক একজনের সুখ হলেও অন্যজন সুখী অনুভব করতো। তখন তাদের মাঝে চলতে থাকে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। কিন্তু বড়ই অবাক হওয়ার কথা তারা এখনো পর্যন্ত কেউ কাউকে বাস্তবে দেখিনি! তারপরেও তাদের মাঝে এত গভীর ভালোবাসা।

ছেলেটি একটি সাধারন পরিবারের লোক ছিল। মেয়েটিও ছিল সাধারন পরিবারের। কিন্তু তাদের সাধারণ পরিবারে জন্ম হলেও তাদের মন ছিল বিশাল। ছেলেটির পরিবারের হাল ধরার মত কেউ ছিলনা। তাই নিজেকে কষ্টের কাজ করতে। এত কষ্টের কাজ করে এসে প্রথমে মেয়েটিকে এসএমএস করত।আর মেয়েটির ছেলেটির জন্য অনেক চিন্তা করত। তখন ছেলেটি বাড়ি ফিরবে।আর এসএমএস করে বলবে আমি বাড়ি ফিরেছি। তখন মেয়েটির নিশ্চিন্তে থাকতো। মেয়েটি ছেলেটিকে খুব ভালোবাসে বলে মেয়েটি ছেলেটিকে বলতো তুই কোনদিন আমায় ভুলে যাস না ভাই। তখনই ছেলেটি বলতো আমি ভুলে যাব। মেয়েটির যতবার বলতে তুই আমায় ভুলিস না। ছেলেটিও ততোবারই বলতো আমি ভুলে গেছি। তখন মেয়েটি খুব কষ্ট হতো। তাই সে কথা আর বলত না। ছেলেটি আর ভুলে গেছে কথা বলে না। আজও তারা দুজন দুজনকে মনে রাখে। জাস্ট ছেলেটি শুধু ফান করত মেয়েটির সাথে যে সে ভুলে গেছে। আসলে ছেলেটিও মেয়েটিকে ভুলতে পারে না। এভাবে চলতে থাকে তাদের সময়। এই হলো নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। দোয়া করি তাদের সারা জীবন নিঃস্বার্থ ভালোবাসা টিকে থাকুক অনন্তকাল। আমার কথাতে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা চাইছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আজ এখানেই শেষ আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন