বালাদেশের পর্যটনকেন্দ্রের ভেতর সমুদ্রসৌকত কুয়াকাটা পর্যটকদের কাছে বিশেষ মর্যাদা পেয়েছে। কুয়াকাটার আকর্ষনীয় ও মনোমুগ্ধকর সব স্পট দেখতে প্রতিবছর পর্যটকদের ঢল এই সমুদ্রসৌকত কুয়াকাটাতে দেখা যায়। কুয়াকাটা সমুদ্র সৌকত বরিশাল জেলার পটুয়াখালী জেলাতে অবস্থিত। কুয়াকাটার পরিবেশ ও জলবায়ু অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর ও আরামদায়ক যার কারণে কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিশেষ মর্যাদা পেয়েছে। কুয়াকাটায় বিশেষ কিছু স্পট আছে যেখানে আপনি গেলে আপনার মন এমনিতেই উৎফুল্ল হয়ে উঠবে।
কুয়াকাটার স্পট সম্পর্কে জেনে নিন:
- শুঁটকি পল্লী
- ক্রাব আইল্যান্ড
- গঙ্গামতির জঙ্গল
- ফাতরার বন
- কুয়াকাটার কুয়া
- সীমা বৌদ্ধ মন্দির
- কেরানিপাড়া
- মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির
শুঁটকী পল্লী: শুঁটকী পল্লীর অবস্থান কুয়াকাটার পশ্চিম প্রান্তে। জেলেরা সামুদ্রিক মাছ ধরে রোদে দিয়ে শুঁটকী প্রস্তুত করে কুয়াকাটা বাজারে বিক্রয় করে থাকে। এখানে নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শুঁটকি রোদে দেওয়ার মৌসুম থাকে। আপনি চাইলে খুব সস্তায় শুটকি কিনে আনতে পারেন।
ক্রাব আইল্যান্ড: কুয়াকাটা সমুদ্র সৌকতে ক্রাব আইল্যান্ড বা কাকরার দ্বীপে অসংখ্য লাল কাকরা দেখতে পাওয়া যায়। সমুদ্র দ্বীপে লাল কাকরার সমোরহ দেখতে পেয়ে পর্যটকরা খুব আনন্দ পেয়ে থাকে।
গঙ্গামতির জঙ্গল: কুয়াকাটার শেষ সিমানাতে এই গঙ্গামতি জঙ্গল দেখতে পাওয়া যায়। কুয়াকাটার পূর্ব দিকে গঙ্গামতির খাল অতিক্রম করে গঙ্গামতি জঙ্গল। এই জঙ্গলে বিভিন্ন ধরণের গাছ পালা ও পশু-পাখি দেখতে পাওয়া যায়। পশু পখির ভেতর বন্য মোরগ ও বানর অন্যতম।
ফাতরার বন: ফাতরার বন কুয়াকাটার একটি দৃষ্টিনন্দন জায়গা যেখানে আপনি কুয়াকাটার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। জায়গাটি কুয়াকাটার পশ্চিম দিকে অবস্থিত। ফাতরার বন ইঞ্জিন চালিত নৌকার মাধ্যমে যেতে হয়। জায়গাটি সুন্দরবনের মত দেখতে এবং পশু-পাখি দ্বারা সমৃদ্ধ।
কুয়াকাটার কুয়া: কুয়াকাটা নাম করণের পেছনে কুয়াকাটার কুয়াকেই বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এই কুয়ার কারণে কুয়াকাটা ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। ১৭৮৪ সালে রাখাইনরা মাতৃভূমি থেকে বিতড়িত হয়ে সাগরদ্বীপ কুয়াকাটাকে আশ্রয় নেই। লবনাক্ত পানির সমস্যার কারণে তারা মৃষ্টি পানি পানের জন্য কুয়া খনন করেন। যার কারণেই এলাকাটির নাম কুয়াকাটা হিসেবে বিবেচিত হয়। আপনি জায়গাটিতে প্রবেশ করলেই কুয়াটি দেখতে পারবেন।
সীমা বৌদ্ধ মন্দির: কুয়াকাটার কুয়ার একটু সামনেই অবস্থিত সীমা বৌদ্ধ মন্দির। যেখানে আপনি বৌদ্ধদের ৩৭ মন ওজনের অষ্টধাতুর মুর্তি দেখতে পারবেন।
কেরানিপাড়া: কুয়াকাটার সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের আরেকটু সামনেই কেরানিপাড়া। সেখানে রাখাইন মেয়েরা বিভিন্ন প্রকার কাপড় বুনে পর্যটকদের কাছে বিক্রি করে থাকে।
মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির: বৌদ্ধদের একটি বড় পূজার স্থান হচ্ছে মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির। মন্দিরে বৌদ্ধদের সবচেয়ে বড় মুর্তি দেখতে পাবেন।
আপনি কুয়াকাটা গেলে এই সকল দর্শনীয় স্থানে অবশ্যই ভ্রমণ করে আসতে পারবেন। আপনি চাইলে ঢাকা থেকে লঞ্চে পটুয়াখালী নেমে বাসে বরিশাল আসতে পারবেন। এছাড়া বাসেও আপনি সরাসরি ঢাকা থেকে পটুয়াখালী আসতে পারবেন। কুয়াকাটা বিভিন্ন ধরণের থাকার হোটেল আছে যেখানে আপনি কম খরচে ২ থেকে ৩ দিন থাকতে পারবেন।
Nice topic
onk sundor
Nice
ধন্যবাদ এলাকাটা সম্পর্কে জানানোর জন্য।
Nice post
Good
bah…
Thanks for good information.
well
nice
very nice
ok
ওকে
Thanksgiving
Good
❤️
❤
Nice
সুন্দর
ধন্যবাদ।