দেখিস মেয়েটি এখনিও হাসা শুরু করবে ১৫ মিনিট হাসার পর বলবে ‘পানি দাও’। ঠিক তাই হল মেয়েটি হাসতে শুরু করল আর খুব স্বাভাবিক ভাবে ১৫ মিনিট হাসার পর বলল ‘পানি খাব’।
সুমু অনেকটা হকচকিয়ে সোজা হয়ে বসে বলল’স্যার কেন কিছু বললে না?’
আমাদের হেডস্যার এর মেয়ে তাকে কেউ কিছু বলবে না।ওর নাম বৈশালী। লেখাপড়ায় ভালো, সমস্যা একটায় ই পষ্ণম পিরিয়ডে এই ১৫ মিনিটের জন্য অকারণেই হাসাহাসি শুরু করে।
রিড্ডি হয়ত্ত মেয়টা অসুস্থ।
রিড্ডি সুমুর দিকে না থাকিয়েই বলল’এরকম কোন অসুখ তো শুনেনি!’ তুই কি জানিস কিছু?
সুমু কিছু বলবে কিন্তু রিড্ডি থামিয়ে দিল, এসব বাদ দে নতুন এসেছিস তাই তোর অদ্ভুত লাগছে কয়েকদিন পর এটা নরমাল হয়ে যাবে। অংকটা করে নে স্যার চেক করবেন না করলে গালি দিব।
সুমু কিছুই না বলে লেখা শুরু করল।আাজ ক্লাসের প্রথম দিন তার। বছরের মাঝখানেই সে ভর্তি হয়েছে তার মা আর বাবার ডিভোর্স এর জন্য। বর্তমানে তার মা ম্যান্টাল হসপিতালে।তার বাবার ধারণা তার স্ত্রী পাগল তাকে মেরে পেলবে। তাই সুমুকে তার নানীর বাড়ী পাঠানে হয়েছে।
পরের দিন সুমু ইচ্ছা করেই বৈশালীর পাশে বসল।সব ক্লাস ভালোভাবে করল পষ্ণম পিরিয়ডে তার হাসি শুরু হল।সুমু ঘড়ি দেখল ঠিক ১৫ মিনিট পরই বৈশালীর হাসি বন্ধ হল। আগের দিনের মতই বলল ‘পানি খাব’। সুমু বৈশালীর দিকে কিছুখন তাকিয়ে তাকার পর বলল ‘ভালো আাছো?’
বৈশালী কিছু বলল না শুধু মুচকি একটা হাসি দিয়ে অংক করা শুরু করল।
এই ঘটনার ১৫ দিন পর..
স্কুল ছুটির পর সুমু আর রিড্ড বাসের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল।হঠাং বৈশালী এসে সুমুর ডান হাতটা ধরে ভালো আছি বলে চলে গেল। সুমু আার রিড্ডি কিছু বুঝতে পারলো না। সুমু পুরো রাস্তা বৈশালীর কথা ভাবতে লাগল যে কখন বাসায় পৌঁছে গেছে টেরও পেলো না।
পরেরে দিন সুমু আাবার বৈশালীর পাশে গিয়ে বসল।ক্লাস করতে করতে হঠাৎ বৈশালী চুপি চুপি সুৃ্মুকে বলে’ আাজ একটা সারপ্রাইজ পাবে তুমি’। সুমু কিছু বলল না। পষ্ণম পিরিয়ড শুরু হল সুমু মনে মনে ভাবছে এখন হাসি শুরু হবে।হাসি ঠিকই শুরু হল কিন্তু বৈশালী হাসছে না এবার হাসছে রিড্ডি। সবাই রিড্ডর দিকে তাকিয়ে আাছে।সুমু বুঝতে পারছে এসব কী হচ্ছে! রিড্ডি হাসছে কেন! আধা ঘন্টা হয়ে গেল রিড্ডির হাসি বন্ধ হচ্ছে না।
এম্বুলেন্স এসেছে রিড্ডিকে নিতে। রিড্ডি দূর্বল হয়ে গেছে তবুও হাসি বন্ধ হচ্ছে না। রিড্ডিট পুরে শরীর ঘেমে গেছে,চোখ মেলতে পারছে না।রিড্ডির মা কথা বলতে পারছেন তার মেয়ের এই অবস্থা দেখে। পুরো স্কুলের সবাই আছে শুধু নেই বৈশালী। সুমু বৈশালী কাছে যাবে ভাবতেই দেখলে বৈশালী তার সামনে দাঁড়িয়ে।
-‘সারপ্রাইজতা কেমন লাগল?’ সুমু
-‘কেন করলে বৈশালী এইতা!’ কী করছে রিড্ডি তোমাকে? ওর সাথেই কেন?
-তোমার আাপন সে তাই,
বৈশালীর গোলার আাওয়াজ পাল্টে গেছে।মনে হচ্ছে এইতো বৈশালী নয়।তবে কে?