পাইকারি ব্যবসা নাকি খুচরা ব্যবসা কোনটি লাভজনক?

জনপ্রিয় এবং লাভজনক পেশাগুলোর মধ্যে ব্যবসা একটি। ব্যবসার দ্বারা আপনি নিজের ক্যারিয়ার ভালোমতো এগিয়ে নিতে পারবেন।

তাছাড়া বর্তমান চাকরির বাজারে যে অবস্থা, সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র চাকরির আশায় বসে থেকে কিছু করতে পারবেন না। সঠিক পরিচালনা করতে জানলে ব্যবসা থেকে ভালো কিছু করতে পারবেন। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হলো পাইকারি ব্যবসা নাকি খুচরা ব্যবসা কোনটি শুরু করা ভালো হবে। আমাদের ব্যবসার বাজারে দু ধরনের ব্যবসা পরিচালিত হয় খুচরা এবং পাইকারি। অনেকে ভাবেন দুটি একই বিষয়বস্তু। তবে একদম ভুল ভাবছেন খুচরা এবং পাইকারি দুটোই ভিন্ন বিষয়বস্তু। বিজনেস শুরু করতে হলে আমাদের স্থান নির্ধারণ, পুঁজি, পণ্য ইত্যাদি নিয়ে চিন্তা করতে হয় পাশাপাশি আরও একটি বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে হয় সেটি হলো কোন ধরনের ব্যবসা করবো। আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের পুরো বিষয়টা ক্লিয়ার করে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। মূল বিষয় যাওয়ার আগে আমাদের জেনে নিয়ে হবে পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসা মূলত কি?

পাইকারি ব্যবসা কি?

পাইকারি ব্যবসাকে হোলসেল বিজনেসও বলা হয়। এক্ষেত্রে হোলসেল ব্যবসায়ী মূল উৎপাদক বা ম্যানুফ্যাকচারারদের থেকে সরাসরি পণ্য ক্রয় করে বিক্রির জন্য। অর্থাৎ আপনি যে পণ্য নিয়ে বিজনেস করবেন সেটি সরাসরি উৎপাদনকারী থেকে কিনবেন, তবে ক্রয়ের পরিমান বেশি হবে এখানে। দ্বিতীয়ত আপনার কাজ হলো উৎপাদকের কাছে থেকে ক্রয় করা পণ্য খুচরা ব্যাবসায়ীদের কাছে পাইকারি দামে বিক্রি করা। তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ক্রেতারা সেই পণ্য কিনে সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

খুচরা ব্যবসা কি?

হোলসেল ব্যবসায়ীরা উৎপাদকদের কাছ থেকে যে পণ্য পাইকারি দামে কিনে আনে সেগুলো তাদের থেকে বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ী ক্রয় করে থাকে। এবং পরবর্তীতে খুচরা ব্যবসায়ীরা সেগুলো মূল ক্রেতার কাছে খুচরা দামে বিক্রি করে। এটাই মূলত খুচরা ব্যবসা।

পাইকারি ব্যবসা নাকি খুচরা ব্যবসা কোনটি লাভজনক?

বিষয়টা আমি সরাসরি আপনাদের বলবো না, আপনাদের বুঝায় সুবিধার্থে আমি কয়েকটি পয়েন্ট আপনাদের বলছি এতে আপনারা সহজে বিষয়টি সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা পাবেন। হোলসেল বিজনেস এর ক্ষেত্রে আপনার পুঁজির পরিমান অনেক বেশি থাকবে। অর্থাৎ আপনাকে অনেক বেশি পরিমাণে পণ্য উৎপাদকদের কাছে থেকে কিনে নিতে হবে। যত বেশি পণ্য ক্রয় করবেন সে অনুসারে ডিসকাউন্ট হিসেবে আপনি কম দামে পণ্য কিনতে পারবেন। খুচরা বিজনেস এর ক্ষেত্রে আপনার খুব বেশি পুঁজির প্রয়োজন নেই। আপনাকে বিভিন্ন হোলসেল বিক্রেতার কাছ থেকে পণ্য কিনতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার পরিমান অনুযায়ী পণ্য কিনতে পারবেন। এবং পরবর্তীতে খুচরা বাজারে সেটি বিক্রি করতে পারবেন। কম পুঁজিতে ব্যবসা করতে গেলে খুচরা ব্যবসা করতে হবে আপনার।

লাভের বিষয়ে যদি আসি তাহলে, হোলসেল বিজনেসের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৫০ হাজার – ১ লক্ষ টাকার পণ্য সেল হওয়া স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে দিনে ১ লক্ষ টাকার পণ্য সেল করলে আপনার ৫ হাজার টাকার মতো লাভ থাকতে পারে। হোলসেল ব্যবসায় খুব বেশি একটা লাভ করতে পারবেন না তবে সেল যত বেশি হবে আপনার আয়ের পরিমাণ তত বেশি। খুচরা ব্যবসাতে স্থানভেদে আপনার বেচাকেনার উপর লাভ নির্ভর করবে। যেমন ধরুন একটি ইলেকট্রিক সুইচ যদি আপনি ২৫ টাকা দিয়ে ক্রয় করেন তাহলে সেটি আপনি ২৭/২৮ টাকা দিয়ে বিক্রি করলেন। এইভাবে মূলত আপনার লাভ হিসেব হবে। সুতরাং আমার কাছে মনে হয় যদি আপনার পুঁজির পরিমান বেশি থাকে তাহলে আপনার জন্য হোলসেল ব্যবসা লাভজনক হবে। কেননা খুচরা বাজারে প্রতিযোগিতা তুলনামূলক বেশি আমি মনে করি।

<

সর্বশেষ পরামর্শ

আজকে আমরা পাইকারি ব্যবসা এবং খুচরা ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য এবং কোনটিতে কেমন লাভ, পুঁজি কেমন ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানলাম। আর্টিকেলটা কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন অবশ্যই। দেখা হচ্ছে পরের আর্টিকেল নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ

Related Posts

12 Comments

মন্তব্য করুন