পানি খাওয়ার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি -মাত্র ২১ দিন এই নিয়মে পানি পান করে দেখুন,নিজেই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন !

পানি খাওয়ার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি

তৃষ্ণা মিটাতে পানির কোন বিকল্প নেই । এই কথাটা সেই ছোট বেলা থেকেই শুনে এসেছি । আর সেই কথার ভিত্তিতেই যখন আমাদের গলা শুকায় তখন পরিমান মত পানি আমাদের শরিলে ঢুকিয়ে শুকিয়ে যাওয়া শরিল কে আবার তরতাজা করি আমরা । কিন্তু কথা হল পানির তৃষ্ণা যখন পায় তখন আমরা সঠিক পরিমান মত পানি পান করি কী? একাধিক পরিক্ষায় দেখা গেছে যে সঠিক পরিমানে পানি পান না করলে শরিলে অনেক সমস্যা হতে পারে ।

আমরা হয়ত সবাই জানি যে আমাদের শরিল ৬০-৭০ শতাংশ পানি দিয়ে গঠিত । তাই শরিলে প্রতি মুহুর্তে পানির প্রয়োজন পরে । আর পানির এই চাহিদা যদি পূরন করা না যায় তাহলে কিন্তু বিপদ । তাই শরিলকে সুস্থ, শক্তিশালি আর স্বাস্থ্যবান রাখতে  ঠিক দিনে কখন, কিভাবে, কতটা পরিমানে আমাদের পানি খাওয়া দরকার তাই আজকে আমরা জানবো ।

একেবারে অনেক পরিমানে পানি পান করা ঠিক না । এমন অনেকেই আছেন যারা নাকি পানি পান করার সময় একেবারে অনেক পরিমানে পানি পান করে থাকেন এবং এমনটা করতে গিয়ে পানি প্রায় জোর করে গিলে গিলে খান ।

এমনটা করা কিন্তু একেবারেই উচিৎ নয় । কারন এভাবে পানি পান করলে শরিলের ভিতরে হঠাৎ করে চাপ বেড়ে যায় । ফলে নানা রকম অঙ্গের ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে আমাদের শরিলে । তাই সব সময় অল্প অল্প করে পানি পান করতে হবে আমাদের । ঠিক যেমন ভাবে আমরা খাবার খেয়ে থাকি । খাবার সময় কী আমরা একেবারে অনেক করে খাবার খাই, না তো ঠিক একি নিয়ম পানি পান করার সময়েও মনে রাখতে হবে ।

কখন তৃষ্ণা পাচ্ছে তা আপনাকে বুঝতে হবে । শরিলে যখন পানির ঘর্টি ঘটে তখন শরিল আপনাকে অনেক রকম সিগন্যাল দেয় । যেমন ধরুন প্রস্রাব হলুদ হতে থাকে সে সঙ্গে ঠোট এবং গলা শুনিয়ে যায় । এ ধরনের লক্ষন প্রকাশ পেলে আপনি সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করে নিবেন । প্রসঙ্গত অনেক বাচ্চাই এ সম্পর্কে জানে না যার কারনে বাচ্চাদের বেশি জন্ডিস হতে দেখা যায় । তাদেরও এসব লক্ষনের বিষয়ে জানাতে হবে আপনেকে, যাতে করে তারাও পানি জনিত কোন সমস্যায় না ভুগে ।

<

আর এ বিষয়ে যত সচেতনতা বাড়বে তত রোগের প্রকোপ কমতে থাকবে । কারন আমাদের শরিলকে চাঙ্গা রাখতে পানি বিশেষ ভূমিকা পালন করে আমাদের সরিলে । ভুলেও দাড়িয়ে পানি পান করবেন না । শরিলের কথা ভেবে এ বিষয়টা সর্বক্ষন মনে রাখবেন আর ভুলেও দাড়িয়ে পানি পান করবেন না কারন এমনটা করলে দেহের ভিতরে পানির ভারসাম্য ঠিক থাকে না । ফলে জয়েন্টে পানি জমে গিয়ে আর্থারাইটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় ।

তাই যতই ব্যাস্ততা থাকুক না কেন বসে পানি পান করতে হবে । প্রসঙ্গত বহু গবেষনায় দেখা গেছে বসে পানি পান করলে নার্ভাস সিস্টেম ও পেশির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় সে সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে । হালকা গরম পানি পান করা শুরু করুন । গরমের দেশে থাকার কারনে আমাদের গলা দিয়ে ঠান্ডা পানি ছাড়া আর কিছুই নামতে চায় না । কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ঠান্ডা পানির পরিবর্তে যদি হালকা গরম পানি পান করা শুরু করেন তাহলে শরিলে নানান রকম উপকার হয় ।

আসলে এমনটা করলে একদিকে যেমন হজম ক্ষমাতার উন্নতি ঘটে তেমনি রক্তে কোলেসট্রোলেরের মাত্রা কমতে শুরু করে । এবং মেটাপলিজমের উন্নতি ঘটে সেই সঙ্গে গ্যাস অম্বলের মত সমস্যাও কমতে শুরু করে । এক কথায় হালকা গরম পানি শুধু তৃষ্ণাই মিটায় না সেই সাথে শরিলের দেখবালেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।

সকালে ঘুম থেকে উঠেই পানি পান করুন এমনটা করলে শরিল থেকে ক্ষতিকর টক্সিন উপাদান বেরিয়ে যায় ফলে রোগ ভোগের আশঙ্কা একেবারে কমে যায় । এ কারনেই তো ঘুম থেকে উঠে কম করে হলেও দু গ্লাস পানি পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা । প্রসঙ্গত বেশ কিছু গবেষনায় দেখাও গিয়েছে সকাল সকাল খালি পেটে পানি পান করলে কিডনির কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।

খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করবেন না । চিকিৎসকদের মতে খাবার খাওয়ার কম করে ১ থেকে ২ ঘন্টা পর পানি পান করা উচিৎ এমনটা না করলে হজমের জন্য আমাদের পেটে যে লালা মিস্রিত রস যায় তা পানির সঙ্গে মিশে গিয়ে তাঁর কর্ম ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে ফলে হজম ঠিক মত না হওয়ার কারনে গ্যাস, বদহজম, অম্বলের মত সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় তা ভুলেও খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করবেন না যেন ।

তো বন্ধুরা আপনারা জানতে পারলেন পানি আপনারা কখন খাবেন, কিভাবে খাবেন আর কতটা পরিমান খাবেন ।

Related Posts

2 Comments

মন্তব্য করুন