পানি পান করার উপকারিতা ও নিয়ম কানুন।

 

“আসসালামু আলাইকুম”আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকে পানির উপকারিতা নিয়ে কিছু আলোচনা করব। পানির অপর নাম জীবন। পানি ছাড়া কোন দিন বাঁচতে পারে না। আমাদের জীবনে সমস্ত জিনিস থেকে পানির প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। মানুষ প্রতিদিন কমপক্ষে তিন থেকে চার লিটার পানি খাওয়া খুবই প্রয়োজন। প্রত্যেকদিন মানুষ খাবার থেকে 20% পানি গ্রহণ করে থাকে। আমাদের পুরা শরীরের গঠন পানির উপর দিয়ে গঠিত হয়। যতটুকু পানি আমাদের শরীরে বহন করে ঠিক ততটুকু শরীরের কর্ম ক্ষমতা কাজ করে। তাই আমাদের সঠিক পরিমাণে পানি পান করা উচিত। শুধু পানি পান করলেই হবে না পানি বিশুদ্ধ আছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। পানির অপর নাম যেমন জীবন। অন্যদিকে জীবাণুনাশক পানি পান করার কারণে মানুষের মৃত্যু অবধারিত। তাই আমরা বিশুদ্ধ পানি পান করছি কিনা সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

পানি আমাদের সমপরিমাণ পান করতে হবে। কম পানি পান করা যেমন স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর। অতিরিক্ত পানি পান করা হোক শরীরের ক্ষতিকর। সবকিছুরই একটা মাত্রা আছে। অল্প পানি খাওয়াতে যেমন দেহের স্বাস্থ্যহীনতা মন মানসিকতা খারাপ থাকে। শরীরের ত্বক খসখসে ভাব দেখা যায়। মাথার চুল উঠে যায়। শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ সৃষ্টি হয়। শরীর মেজাজ খিটখিটে থাকে। লিভারের সমস্যা হতে পারে। এমনকি কিডনিও নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমাদের কিডনিকে সচল রাখতে সঠিক মাত্রায় পানি পান করতে হবে।

পানি আমাদের সঠিক মাত্রায় পান করা উচিত।কম মাত্রায় পানি পান করা যেমন স্বাস্থ্যের জন্য হানিকারক। ঠিক তেমনি অতিরিক্ত পানি পান করা ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত পানি পান করলে নানান সমস্যা হতে পারে। যেমন অতিরিক্ত পানি পান করায় মাথা ঘুরানো, বমি বমি ভাব হওয়া, পেটে ব্যথা, অতিরিক্ত প্রসাবের চাপ হতে পারে। আমাদের পানি পান করার কিছু নিয়ম নীতি মেনে চলতে হবে। যে নিয়ম-নীতিগুলো না মানলেই নয়। খাবারের আধাঘন্টা আগে পানি পান করা উচিত। তাতে করে পেটের জমে থাকা গ্যাস দূর হয়। খাবারের সময় অল্প পরিমাণে পানি খাওয়া উচিত। এবং খাবারের আধা ঘন্টা পরে পানি পান করা উচিত। তাহলে খাবার হজম হওয়ার সমস্যা থাকবে না।আমরা যা খাবার খাই যে খাবারগুলো হজম করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা উচিত।

যাদের পেটে চর্বি জমে তাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানি খাওয়া উচিত। একটা করে খারাপ কোলেস্টেরল মাত্রা কমতে থাকে। গরম পানি খাওয়ার কারণে পেটে জমে থাকা চর্বি কমতে থাকে। এতে শরীরে বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে ‌। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তারা নিয়মিত সকালে খালি পেটে কুসুম গরম পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। যাদের খাবারে হজমের সমস্যা আছে। তারা নিয়মিত কুসুম গরম পানি খেলে হজম শক্তি বাড়ে। যাদের পিরিয়ডের সমস্যা আছে তাদের নিয়মিত কুসুম গরম পানি খাওয়া উচিত। এতে করে তাদের পিরিয়ডের সমস্যা দূর হবে।

পানি খাওয়ার কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলা উচিত। অতিরিক্ত গরমে দৌড়ে এসে পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর। তখন একটু বিশ্রাম করে ধীরে ধীরে পানি পান করা উচিত। পানি পান করার সময় বসে পানি পান করা উচিত। এক নিঃশ্বাসে পানি না খেয়ে আস্তে আস্তে পানি পান করা উচিত। অনেক সময় মানুষ গরমের কারণে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করে থাকে। এতে মানুষের শরীরে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। তাই সব সময় নরমালি পানি পান করা উচিত। সবাই নিরাপদ পানি পান করুন সুস্থ থাকুন। আজ এখানেই শেষ করলাম। সবাই ভাল থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

<

Related Posts

11 Comments

মন্তব্য করুন