শেয়ার কতদিন পর বিক্রি করা যায়? পুঁজিবাজারে ব্যাবসা শুরু করবেন কীভাবে?

একক উদ্যোগে, বিনা পরিশ্রমে, বিনা লোকবলে নিজের দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে বা শেয়ার ব্যাবসা করে খুব কম সময়ে ভাল মুনাফা করা যায়। পুঁজিবাজারে যারা একেবারে নতুন অর্থাৎ কিভাবে শুরু করবেন এ ব্যাপারে যাদের ধারণা নেই তাদের জন্য প্রাথমিক কিছু কথা।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে বা শেয়ার ব্যাবসা করতে চাইলে আপনার সর্বপ্রথম যেটির প্রয়োজন পড়বে সেটি হচ্ছে, আপনার একটি বিও একাউন্ট করতে হবে। বিও একাউন্ট করার জন্য আপনাকে ব্রোকার হাউসের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। বর্তমানে অনেক ব্রোকার হাউস আছে যারা অনলাইনে বিও একাউন্ট করে দেয় অর্থাৎ বিও একাউন্ট করার জন্য আপনাকে স্বশরীরে ব্রোকার হাউসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

বিও একাউন্ট করতে চাইলে অবশ্যই আপনার ১৮ বছর বয়স হতে হবে এবং আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে। বিও একাউন্ট করার জন্য আপনার একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। বিও একাউন্ট এর কাজ সম্পন্ন হতে দুই দিন সময় লাগে। মনে রাখবেন একজন ব্যাক্তি একটি মাত্র বিও একাউন্ট করতে পারবেন।

বিও একাউন্ট করার জন্য ব্রোকার হাউস নির্বাচন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্রোকার হাউস সম্পের্ক ভালো করে জনে নিন অর্থাৎ লেনদেন সহ অন্যান্য সকল কাজে তাদের চার্য এর পরিমান। যদি ব্রোকার চার্য খুব বেশি হয় তবে নতুন বিনিয়োগকারী হিসেবে খুব বেশি মুনাফা করতে পারবেন না। বিও একাউন্ট করা হয়ে গেলে আপনি খুব অল্প টাকা দিয়ে অর্থাৎ মাত্র ৫০০০ টাকা দিয়েও আপনি আপনার শেয়ার ব্যাবসা শুরু করতে পারবেন।

বিও একাউন্ট করা সম্পন্ন হয়ে গেলে কীভাবে শেয়ার কেনাবেচা করবেন? শেয়ার কেনাবেচা করার জন্য আপনি আপনার ব্রোকার হাউসে কল করে অর্ডার করতে পারেন অথবা ডিএসই এপ রেজিষ্ট্রেশন করে নিলে এই এপের সাহায্যে আপনি শেয়ার কেনাবেচার জন্য আর্ডার করতে পারবেন।

আপনি কোন শেয়ার কেনার পর ক্যাটাগরি অনুযায়ী অর্থাৎ এ, বি ও এন ক্যাটাগরির শেয়ার ডিএসই এপে ম্যাচিউড হতে দুই দিন সময় লাগে মানে কেনার দুই দিন পর আপনি এটি এপের সাহায্যে বিক্রির অর্ডার করতে পারবেন আর জেড ক্যাটাগরি চারদিন পরে।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ অত্যন্ত বিপদজনক। মূলদন হারানোর ভয় থাকে। তাই কারও কথায় বা গুজবে কান দিয়ে বিনিয়োগ করবেন না। ভাল করে বুঝেশুনে বিনিয়োগ করুন। সতর্কতা অবলম্বন করে ঝুঁকি এড়িয়ে বিনিয়োগ করুন ফাল মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ দুটি পুঁজিবাজার আছে, একটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং অন্যটি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। দেশের বিতরে অথবা বাইরে যেকোনো জায়গা থেকে আপনি খুব সহজে অনলাইনে আপনি আপনার বিনিয়োগ কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

Related Posts

21 Comments

মন্তব্য করুন