পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসপূর্ন দেশ বাংলাদেশ এবং তার নানাবিধ সমস্যা।

বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ।বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হয় ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর।দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হয়। পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন রাষ্ট্রের আবির্ভাব ঘটে ১৯৭১ সালে।কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা অনেক কঠিন।আর সেটা প্রমাণিতও।বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন তো করে কিন্তু সে তার সেই স্বাধীনতা ধরে রাখতে পারে নি। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের দায়িত্ব নেন কিন্তু কিছু বিপদগামী লোকের হাতে স্বাধীনতার পাঁচ বছরেই বঙ্গবন্ধুর অকাল মৃত্যু ঘটে। তখন থেকে ই বাংলাদেশের দুর্দশা শুরু। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অক্ষত থাকত এবং বাংলাদেশ উন্নতির শীর্ষে থাকত।কিন্তু তার অভাবে সঠিক নেতৃত্বের অভাবে বাংলাদেশ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত হতে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশ যেসব সমস্যায় জর্জরিত সেগুলো হলোঃ বেকারত্ব, মাদক আসক্তি,সুশিক্ষার অভাব,খাদ্যসঙ্কট, খাদ্যে ভেজাল,পরিবেশ পরিবেশ দূষণ ইত্যাদি।
বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি।আর এই বাড়তি জনসংখ্যার জন্য খাদ্য, বস্ত্র,বাসস্থান চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে গিয়ে বাংলাদেশ নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ছে। বাড়তি জনসংখ্যার বাসস্থান নির্মাণের জন্য চাষের জমি,বন -জঙ্গল,পাহাড় কেটে বাড়ি ঘর তৈরি করা হচ্ছে।তাদের চিকিৎসার জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে চিকিৎসালয় এবং বিভিন্ন নার্সিং হোম। তাদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করতে ব্যবহার করা হচ্ছে কীটনাশক ও বিভিন্ন রাসায়নিক সার যার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে আরো নানা ধরনের সমস্যা।আবার এই বাড়তি জনসংখ্যার কর্মসংস্থানের জন্য তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন কলকারখানা যার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন পরিবেশ সমস্যা। কলকারখানার বিষাক্ত ধোয়া বায়ু দূষিত করছে,আর কারখানাগুলো থেকে নির্গত বিষাক্ত রাসায়নিক বর্জ্য পানিসহ মাটি দূষণও করছে। তাছাড়া পরিবেশ দূষণের ফলে ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যার ফলে ওজন স্তর সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে তার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে পারছে না যার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা।এসব অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য পানি,মাটি,বায়ুসহ পরিবেশের সকল উপাদান দূষিত হচ্ছে।আর তার ফলে পৃথিবীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে।এই বাড়ন্ত জনসংখ্যার ফলে সৃষ্ট পরিবেশ দূষণের ফলে ধারণা করা হয় যে আগামি ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অধিকাংশ অঞ্চল পানিতে ডুবে যেতে পারে।
এছাড়াও আরো নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে যা অতি শীঘ্রই নিয়ন্ত্রণ না করলে বাংলাদেশ একসময় কঠিন সমস্যার মুখোমুখি পড়বে। একটা সময় ছিলো যখন বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ ছিলো। সকল প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর ছিলো বাংলা কিন্তু আজ বাংলার কিছু ই নেই আর তার কারণ হলো সঠিক নেতৃত্বের অভাব এবং বাংলার মানুষের সরলতা।এক সময় বাংলার রূপ,ধন-সম্পদের লোভে পড়ে বহু দেশ বাংলায় আসে এবং বাংলায় রাজত্ব করেছেন আর তখন থেকে ই বাংলার অধপতন শুরু।বিভিন্ন অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছে বাংলার মানুষ অবশেষে সব অত্যাচার নির্যাতনের বাধ ভেঙে বাঙালিরা নিজের দেশ নিজের মাতৃভূমিকে রক্ষা করে বিদেশি শক্তির হাত থেকে কিন্তু স্বাধীনতা অর্জন করেও সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে পারে নি বাংলার মানুষ। জর্জরিত হয়ে পড়ে নানাবিধ সমস্যায়।এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি লাভের জন্য সকল স্তরের মানুষের এগিয়ে আসা উচিত।সবার উচিত। সবাইকে সচেতন ভুমিকা পালন করতে হবে আমাদের দেশকে সমস্যা মুক্ত করতে হলে, সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে। সবার আগে আমাদের বাড়তি জনসংখ্যা কে সুশিক্ষিত কর‍তে হবে এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে যাতে তারা দেশের উন্নয়নে অংশগ্রহণ করতে পারে।সচেতন নাগরিকের ভুমিকা পালন করতে পারে।জনসাধারণকে বাড়তি জনসংখ্যার কুফল সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।।তাদের পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব বুঝাতে হবে।

<

Related Posts