প্রতিদিনের ব্যবহারিক প্রয়োজনে যে প্রসাধনীগুলো না হলেই নয়

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন । আমিও বেশ ভালো আছি । আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই ব্যক্ত করি সব সময়।

প্রতিবারের মতো আজকেও আমি নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আশা করছি grathor.com এর সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ যারা নিয়মিত আমার আর্টিকেল গুলো নিয়মিত পড়ে থাকে তাদের কিছুটা হলেও এই আর্টিকেলটি পড়ে নিজেদের উপকারে আসবে। প্রতিদিনের ব্যবহারিক প্রয়োজনে যে প্রসাধনীগুলো না হলেই নয়—

নিজেকে কে-না সুন্দর রাখতে চায়। প্রত্যেকেই বাহ্যিক ভাবে নিজেকে সকলের সামনে সুন্দর দেখাতে চায়। বলা চলে, পৃথিবীতে এমন কেউ নেই যে সুন্দর হতে চায় না। তাই রূপচর্চা মানুষের একটি চিরন্তন অভ্যাস হয়েই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আর আমরা জানি প্রায় অতি প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ দেহের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে বা ধর্মীয় কারণে বা উৎসবে বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিকারি জিনিসের ব্যবহার করে আসছে।

অত্যাধিক ঠান্ডা বা গরম থেকে দেহত্বক রক্ষার জন্য মুখে ও দেহের বিশেষ বিশেষ অংশে বিভিন্ন পদার্থের প্রলেপ ব্যবহার করছে। আর দেহ ত্বকের বিশেষ সুরক্ষা ও যত্নের জন্য ব্যবহৃত এসব পদার্থের সাদারণ নাম প্রসাধনী। আর এই প্রসাধনীগুলো আমাদের দেহের বাহ্যিক অঙ্গ যেমন ত্বক, চুল, নখ, মুখমন্ডল, চোখ ইত্যাদির পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করে এবং তার সাথে ত্বকের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে নমনীয় ও অতি আকর্ষণীয় করে তোলে।

আর আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য প্রসাধনীর মধ্যে যেমন বিভিন্ন দুর্গন্ধনাশক প্রসাধনী, জীবানুনাশক প্রসাধনী, শ্যাম্পু, তেল, টুথপেষ্ট, ক্লোড ক্রিম, ভ্যানিশিং ক্রিম, স্নো, টেলকম পাউডার, নেলপলিশ, বডি স্রে ইত্যাদি অনেক প্রসাধনী সামগ্রীর সাথে কম বেশি আমরা সকলেই পরিচিত। আর এগুলো ছাড়া আমরা যেন সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির কথা ভাবতেই পারি না। তাই এগুলো অতি প্রয়োজনীয় আমাদের ব্যবহৃত প্রসাধনী সামগ্রী।

তবে বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের ফলে পরিবর্তিত হয়েছে মানুষর রুচি বোধ। এখন যেমন একই জিনিসের বিভিন্ন ব্রান্ড পাওয়া যায় তেমনি এইসব প্রসাধনী ব্যবহারের ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এসেছে আমাদের একেক জনের ভিন্নতা। কিন্তু এই প্রসাধনী প্রস্তুতের জন্য রসায়নবিদগণ আবিষ্কার করে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য। এই সব রাসায়নিক দ্রব্য দেহের জন্য যেমন যথেষ্ট উপকারী ও প্রয়োজনয় তেমনি এর রয়েছে ক্ষতিকারক দিক।

এগুলো যদিওবা সবই দেহের বিভিন্ন অঙ্গের পরিচর্যার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে কিন্তু কিছু প্রাসাধনী অতিরিক্ত ব্যবহারে দেহের সৌন্দর্য্য সাময়িক ভাবে বৃদ্ধু করলেও পরিবর্তীতে দেহের সৌন্দয্য অনেকেটাই কমে যায়। যেমন আমরা অনেকে আছি বিভিন্ন উৎসবে বিয়ে বাড়িতে বা কোথাও বেড়াতে গেলে মেকে আপ করতে ভালোবাসি। আর মেকে আপ করলে নিজেকে কেমন সুন্দর দেখায় এটা আমরা সকলেই জানি।

কিন্তু মেক আপে যেই রাসায়নিক উপাদানগুলি ব্যবহার করা হয় এগুলো যদি কম দামী উপাদান হয় তাহলে দেখব কয়েকদিন পর মুখে ব্রন উঠেছে। তাই মেক আপ করলে যেন ভালো মানের মেক আপ করা হয় বিষয়টা যেন মাথায় রাখি।

কিন্তু আমাদের প্রতিদিনের ব্যবহারিক প্রয়োজনে যে প্রসাধনীগুলো না হলেই নয় এ রকম কোনল ক্ষতি ছাড়াই মানুষের সৌন্দয্য বৃদ্ধি ও রূপচর্চায় ব্যবহার  করা যেতে পারে এমন রাসায়নিক উপাদানগুলো যেমন সাধারণত গোলাপ জল, স্নো, লিপস্টিক, ক্লোড ক্রিম, হেয়ার অয়েল, আফটার সেভ, মেহেদি, জেল, বডি স্রে, টেলকম পাউডার ইত্যাদি। এগুলো আপনার নির্ধিধায় ব্যবহার করতে পারেন।

আজকে এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন আর সামনে নতুন আর্টিকেল নিয়ে যেন আবার আপনাদের সামনে হাজির হতে পারি তার জন্য দোয়া রাখবেন।

Related Posts