প্রতিভাকে জাগ্রত করা উচিত আমাদের

অধকাংশ মানুষ চাকরি করতে চায়। সবাই স্বপ্ন দেখে যে একদিন পড়াশুনা শেষ করে আমি পেয়ে যাবো আমার স্বপ্নের চাকরি। কিন্তু কথা হলো সবাই কি তার মন মতো চাকরি পায় আর পেলেও যেই চাকরি পায় সেটা তে সন্তুস্ষ্ট থাকতে পারে? সবাই সরকারি চাকরি বা কোনো বোরো শোর মাল্টি ন্যশনাল কোম্পানিতে মোটা বেতনের চাকরি করে সুখে দিন পার করবো। একটু চিন্তা করে দেখুন তো এই চাকরিটা কি আপনাকে শান্তি দিচ্ছে?? আপনি কি মাস শেষে যেই টাকাটা পাচ্ছে এইটা ছাড়া আর কিছু অর্জন হচ্ছে আপনার?? অফিস দক্ষতা ছাড়া আপনির নিজস্বতা কি কখনো ভেবে দেখেছে? একটু গভীর ভাবে বিষয়টা চিন্তা করুন। এই চাকরি করার ব্যাপারটা আসলে এসেছে আমাদের সমাজের একটা বদ্ধ পরিবেশ থেকে। আমাদের কে মনে করেন হয় যে চাকরি ছাড়া অন্য ভাবে জীবনে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব না। অন্যান্য পথ ঝুঁকি পূর্ণ। এবং সাফল্যের দেখা পাওয়া সম্ভব নাই বললেই চলে। এইসব বলে আমাদের দাবিয়ে রাখে। আমাদের মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করার কারণের আমরা আমাদের সুপ্ত প্রতিভাকে বাইরে আসতে দিতে পারি না কিংবা এইটাও জানি না আমাদের মন কি চায়। কি হতে চাই আমরা? আমরা যখন আদর্শ মানুষের উদাহরণ দেয় তখন আমরা কাদের উদাহরণ দেই? যারা শিক্ষা এবং শিল্পকলার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কিন্তু নিজে জীবন গোড়ার ক্ষেত্রে? কেবল মাত্র ৫ অংকের বেতনকে বিবেচনা করি। আমাদের বুঝা উচিত কিসে আমাদের বেশি আকাঙ্খা? কিসে আমাদের পারদর্শিতা বা কোন জিনিষটা আমাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলে ধরতে পারে। আমরা ৩ ইডিয়টস মুভিটা দেখেছি, মজা পেয়েছি। কিন্তু মুভিটাকে আদর্শভাবে শিক্ষণীয় মুভির তালিকায় কয়জন বেছে নিয়েছি? আমি এটা বলছি না পড়াশুনা করা উচিত না আমি বলছি আমাদের মন এবং বুদ্ধি কি বলে সেই অনুযায়ী আগায় যাওয়া উচিত। আমি মনে করি চাকরির পিছনে এইভাবে সময় নষ্ট না করে আমরা আমাদের পারশর্ষিতাকে কাজে লাগালে জীবনে বেশি উন্নতির মুখ দেখতে পারবো।

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন