পড়াশোনায় নিয়মিত হওয়ার কৌশল

আমাদের মধ্যে অনেক ছাএ ছাএী আছে যাদের পড়াশোনাটা নিয়মিত নয়।যেমন:আজকে পড়তে বসেছে তো পরের দিন পড়াশোনাই হয়নি।একদিন পড়তে বসলে ৩-৪ দিন ও পড়তে বসা হয় না।আমাদের অনেকের মধ্যে এই সাধারণ সমস্যাটা দেখা যায়।আপনি একবার ভাবুন আপনি যেদিন পড়তে বসেন।মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করেন কিন্তু পরের দুই-তিন দিনও পড়তে বসেন না।যদি এমনটা হতো আপনি প্রতিদিন বা নিয়মিত ঐ দিনটার মতো পড়াশোনা করতেন তাহলে কওো ভালো হতো। আরেকটা বিষয় খেয়াল করবেন,এই অনিয়মিত এর জন্যই আপনি যতটুকু পড়েন তাও কার্যকারী হয় না। যেমন:আপনি আজকে একটা অধ্যায় পড়ছেন।অধ্যায়ের তিন ভাগের এক ভাগ পড়ে ফেলেছেন কিন্তু বাকি দুইভাগ পড়তে আর দুই দিন লাগতো।আপনি যদি পরের দিন পড়তে না বসেন আপনি পিছিয়ে পড়লেন।আর২-৪ দিন হলে গেলে সেই পড়াটার প্রতি একটা অনীহা চলে আসে।এভাবেই হয়ত আপনার ঐ অধ্যায় কিংবা পাঠটি আর ভালো ভাবে পড়ে শেষ কীা হয় না।আমরা যদি নিয়মিত ভাবে পড়াশোনা করতে পারি, তাহলে কিন্তু আমাদের জন্য অনেক কার্যকারী হয়।

অনিয়মিত ভাবে পড়াশোনার পেছনে যে সব কারণ দেখা যায়:

১.পড়াশোনার নির্দিষ্টি সময় সূচি না থাকা।যার ফলে অনেক ক্ষেএে পড়াশোনাটা খুব বেশী কার্যকরী হয় না।

২.ভালো না লাগা বা কঠিন বিষয়ের প্রতি আগ্রহ না থাকা।যার ফলে পড়াশোনাটাই কার্যকারী হয় না।

৩.পরিবেশের অভাব।পড়াশোনার জন্য কিন্তু পড়াশোনা করার মতো পরিবেশ দরকার।তা না হলে সাধারণত দেখা যায় মনোযোগ ব্যহত হয়।

৪.সময়ানুবর্তি না হওয়া।এটা না হওয়ার ফলে আমরা সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে পারি না।ফলে আমাদের নিয়মিত হতে পারি না।

<

৫.সব বিষয়ের রুটিন মাফিক সময় বন্টন না থাকা।যার ফলে দেখা যায় একটা বিষয় নিয়ে ১০-১২ দিন পড়ছি। কিন্তু বাকি বিষয়গুলো পড়াশোনা হচ্ছে না।যদি ও অনেকে বলতে পারে যে আমি তো একটি বিষয় পড়াশোনা করছি।সেটি এগিয়ে পরে অন্য বিষয় পড়ব।কিন্তু বাকি বিষয়গুলো অনেক দিন ফেলে রাখার কারণে কিন্তু অন্য বিষয়গুলোতে আমরা পিছিয়ে পড়ি।রিভিশন কিংবা চর্চা না থাকার কারণে আবার ভুলে যাই।

আমরা সাধারণত এমন অনেক অনিয়ম করে থাকি যার ফলে আমাদের পড়াশোনা অনিয়মি।

পড়াশোনা নিয়মিত করার কিছু কৌশল:

১.সারাদিনে যতক্ষণ পড়বেন সেই সময় টাকে ভাগ করে নেওয়া।ধরুন আপনি দিনে ৫ ঘন্টা পড়াশোনা করেন। তবে সেই সময়কে ৩ ভাগে ভাগ করেন।কেননা অল্প অল্প করে পড়াশোনা করলে বিরক্তি কম লাগে,পড়া ভালো লাগে।

২.আপনি যদি একদম অনিয়মিত হন।যেমন:ধরুন দিনে ১ ঘন্টাও পড়াশোনা করেন না।তাহলে আপনার উচিত হবে প্রথমে আস্তে আস্তে মনোযোগ দিয়ে অল্প অল্প সময় পড়া।ধরুন আপনি প্রথম দিন টার্গেট নিলেন আপনি আজকে ২ ঘন্টা পড়াশোনা করবেন।মনে করি, আপনি সময়টাকে ২ ভাগে ভাগ করলেন।১ ঘন্টা + ১ ঘন্টা করে।তাহলে প্রথমে আপনার ভালোলাগার বিষয়টি দিয়েই শুরু করেন।হোক সেটা বাংলা,ইংরেজি,পদার্থ,রসায়ন,জীববিজ্ঞান কিংবা গণিত।পছন্দমতো পাঠ বাছাই করে পড়া শুরু করুন।এভাবে আস্তে আস্তে আপনার পড়াশোনার সময় বাড়ান।১০ মিনিট,২০ মিমিট,৩০ মিনিট এভাবে ঐ ২ ঘন্টার সাথে বাড়িয়ে পড়াশোনার চেষ্টা করুন।আর আস্তে আস্তে সব বিষয়ের সময় বন্টন করে নিন।এভাবে নিয়মিত ভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া যায়।

আমাদের এভাবে নিয়মিত ভাবে পড়াশোনা করার ফলে আমাদের পড়াশোনা কার্যকারী হবে ইন শা আল্লাহ্।

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন