ফটোলেব ও বিউটি ক্যামেরা অ্যাপ ব্যবহারে ব্যক্তিগত তথ্য যাচ্ছে দুষ্টচক্রের হাতে। কাজেই সাবধান।

আসসালামুয আলাইকুম ,তো কেমন আছেন আপনারা? আশা করি অনেক বেশি ভাল আছেন।আল্লাহর রহমতে আমিও ভালো আছি।তো প্রতিদিনের মত আমি আমার আমি আইডি থেকে নতুন নতুন ব্লগ নিয়ে আসছি। আজকে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আর তা হলো আমরা যে ফটোল্যাভ নামক এপ বা বিভিন্ন ধরনের বিউটি ক্যামেরা অ্যাপ গুলো ব্যবহার করি তা আমাদের জন্য এবং ফোনের জন্য কতটুকু নিরাপদ। এমনকি তা যে  নিরাপদ নয় এই বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করব। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

 

আপনারা নিশ্চয়ই ফটো ল্যাব এপ সম্বন্ধে জানেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক- ইন্টারনেট দুনিয়ার নেটিজেনরা মেতেছে ফটো ল্যাব নামক স্মার্টফোনের এই এপে।এইখানে ছবি দিলেই সেটিকে চকচকে ঝকঝকে অথবা কমিক স্টাইলে ডিজাইন ও ইডিট করে দিচ্ছে। কিন্তু এটি কতটুকু নিরাপদ তা কি আপনি জানেন? নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছে যে,এপটি মোটেও নিরাপদ নয়। বরঞ্চ আপনি আপনার অজান্তেই ফোনের জন্য অথবা নিজের জন্য যে বিপদ ডেকে আনছেন তা জানতে পারছেন না। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লিনারক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের মালিকানাধীন সঙ্গে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা নিবিড় সম্পর্ক আছে। জানা গেছে, “টেক জায়ান্ট আইবিএম “মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে মানুষের মুখমণ্ডল চিনতে পারা কিংবা বিশ্লেষণী সফটওয়্যার বিক্রি করত। কিন্তু সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে বিক্রি করবে না বলে মার্কিন কংগ্রেসকে জানায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। আর সেইসময়ের জন্ম নেওয়া ফটোল্যাভ এখন ট্রেন্ড।

  প্রযুক্তিভিত্তিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জের মতে,২০১০ সালে লিনারক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন তাদের মালিকানা রয়েছে ১৪ টি এপ। ফটোল্যাভের ডাউনলোড 100 মিলিয়ন। অর্থাৎ তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। মূলত হাইরেজুলেশন থাকা  ছবিগুলোকে ডেটা হিসেবে সংরক্ষণ করেছে এই ফটোল্যাভ এপ।  সেগুলো ফেস রিকগনিশম এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় প্রযুক্তি ব্যবহার করছে

 এসব ব্যবহার করে তারা সেগুলো থেকে আরও অনেক তথ্য পাচ্ছে। এই তথ্য যাচ্ছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে। আপনারা নিশ্চয় জানেন প্রযুক্তির এই যুগে যার কাছে যত বেশি তথ্য সে ততই সম্পদশালী।   মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে যে এই তথ্য যাচ্ছে তা মোটেও ঠিক না। এবং তা  বিপদজনকও হতে পারে। অনেকদিন পরে 15 জুন হঠাৎ করে ফটোল্যাভআপডেট এনেছে। এটাকে ট্রেন হিসেবে ছড়িয়ে দিতে নতুন নতুন ফিচার যোগ করেছে

 এছাড়া তাদের কাছে যে পরিমাণ তথ্য জমা আছে সেগুলো ওদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ দেবাশীষ দাস বলেছেন,এ এপটি ডিভাইসে কাজ করতে যেসব বিষয়ে পারমিশন চায় সেদিকে খেয়াল করতে হবে। দেখা গেছে, ফটো সম্পাদনার জন্য এই অ্যাপটি যে স্টোরেজ পারমিশন চায় তা ব্যবহার করে  যেকোনো ফাইল এডিট করতে পারবে। চাইলে মুছে দিতে পারবে। এমনকি আপনার ফোনে থাকা ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে  নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এছাড়াও আমরা সুন্দর সুন্দর ছবি তোলার জন্য যেসকল বিউটি ক্যামেরা ব্যবহার করি, তা আমাদের ফোন এর নিরাপত্তার  জন্য ক্ষতিকর। এমনকি নিরাপদ নয়। সম্প্রতি গুগলের নিরাপত্তা স্ক্যানিংএ এইসব অ্যাপ ধরা পড়ে।

 

 নিজের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য নিজেকে উদ্যোগী হতে হবে বলে মত দিয়েছেন ডেটা স্পেশালিস্টরা। তারা বলছেন যে, এসব এপ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করাই শ্রেয়। 

 

কেমন লাগলো আপনাদের? যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন. ফটো ল্যাভ এপ থেকে বিরত থাকবেন। এগুলো আপনার ফোনের জন্য নিরাপদ নয়। বরং এগুলো আপনার ফোনের সিকিউরিটি কে ভঙ্গ করতে পারে। মাঝে মাঝে আপনার ফোনে অনেক ধরনের ঝামেলা হতে পারে।

 

তো আজ এ পর্যন্ত। দেখা হবে অন্য একটি পোষ্টে ।সে পর্যন্ত ভাল ও সুস্থ থাকবেন ।সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি ।খোদা হাফেজ।

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন