“ফুটবল সম্পর্কে ধারণা”

বর্তমানে বিশ্বে ফুটবল একটা অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা।ঠিক কোনো দেশ ফুটবলের উৎপতি সে বিষয়ে এখনও কেউ এক মত হতে পারেননি।তবে ইংরেজরাই ফুটবল খেলার উন্নতি ও প্রসার ঘটিয়েছেন এটা সকলেই স্বীকার করেন।এ খেলা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করে ফেডারেশন ইন্টারনাশনাল দি ফুটবল এসোসিয়েশন।সংক্ষেপে ফিফা।স্কুল ছাত্রদের মাঠের দৈর্ঘ্য ৮০ গজ ও প্রস্থ ৫০ গজ।মাঠের দৈর্ঘ্যের দাগকে টাচ লাইন ও প্রস্থের দাগকে গোল লাইন এবং মাঝের দাগকে সেন্টার লাইন বলা হয়।গোল লাইনের মাঝ বরাবর গোল পোস্ট থাকে।গোল পোস্টের উপরের বারকে কসবার বলে।এই কসবারের উচ্চতা ৬ ফুট এবং দুই গোল পোস্টের মাঝের দূরত্ব ৬ গজ।দুই গোল পোস্ট থেকে উভয় দিকে ৪.৫ গজ এবং সামনের দিকে ৪.৫ গজ নিয়ে দাগ দিলে যে এরিয়া পাওয়া যায় তাকে গোল এরিয়া বলে।গোল পোস্টের উভয় দিকে ১৩.৫ গজ ও সামনের দিকে ১৩.৫ গজ নিয়ে দাগ টানলে যে এরিয়া পাওয়া যায় তাকে পেনাল্টি এরিয়া বলে।দুই গোল পোস্টের সামনের দিকে ৯ গজ দূরে যে চিহ্ন দেওয়া হয় তাকে পেনাল্টি স্পট বলে।এই চিহ্ন থেকে ৭.৫ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত চাপ অংকন করতে হয়।এই বৃও চাপকে পেনাল্টি আর্ক বলে।সেন্টার লাইনের মাঝখানে ৭.৫ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃও চাপ আকতে হয়।একে সেন্টার সার্কেল বলে।দুই দলে খেলা হয়।প্রতি দলে ১৬ জন খেলোয়াড় থাকে মাঠে থাকে ১১ জন এবং বাকি খেলোয়াড় অতিরিক্ত হিসেবে মাঠের বাইরে থাকে।একজন রেফারি খেলা পরিচালনা করেন এবং মাঠের দুই পাশে দুই জন ডেপুটি রেফারি সহযোগিতা করেন।খেলোয়াড়দের বাধ্যতামূলক পোষাক হচ্ছে জার্সি,হাফপ্যান্ট,মোজা,শিনগার্ড,ফুটওয়ার ও বুটস।প্রতি অর্ধে খেলার সময় ৪৫ মিনিট এবং বিরতি ১৫ মিনিট।টসে বিজয়ী দল সেন্টার সার্কেলের মাঝে রাখা বলে কিক অফ করার মাধ্যমে খেলা শুরু করেন।বল যখন সম্পূর্ণভাবে গোল পোস্টের ভিতরে গোল পোস্ট অতিক্রম করে তখন গোল হয়েছে বলে ধরা হয়।বল গোল লাইন টাচ করে থাকলেও গোল হবে না।বল ছাড়া কোনো খেলোয়াড় বিপক্ষ অর্ধে অবস্থান করলে এবং তার সামনে যদি বিপক্ষের দুজন খেলোয়াড় না থাকে এমন অবস্থায় নিজ দলের খেলোয়াড় তাকে বল পাস দিলে তখন তা অবসাইট বলে গন্য হবে।কোনো দলের খেলোয়াড় কোনো অপরাধ করলে বিপক্ষ দল ও স্থান থেকে ফ্রি কিক করবেন।পেনাল্টি এরিয়ার ভিতরে রক্ষন ভাগের খেলোয়াড় কোনো অপরাধ করলে বিপক্ষ দল পেনাল্টি কিক করবেন।

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন