ফেসবুকে কি আপনি নিরাপদ?

ফেসবুকে আপনি কি নিরাপদ?

বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ।বিজ্ঞানের ছোয়ায় পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়।আর পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যোগাযোগ করা যাচ্ছে সেকেন্ডের মধ্যে।এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক।সবাই এটা ব্যবহার করে পারসোনাল জিনিস শেয়ার করে।

আপনি কি ফেসবুকে সত্যিই নিরাপদ।
আপনার পারসোনাল জিনিসগুলো অনলাইনে শেয়ার করবেন না। সোস্যাল মিডিয়া শুধু ভালো মানুষেরাই ভালো কাজের জন্য ব্যবহার করে না অনেক অসাধু মানুষ ও খারাপ কাজের জন্য ব্যবহার করে।
তাই আপনার ব্যাক্তিগত জিনিস প্রাইভেট রাখুন।

আপনার সন্তানদের কোন অ্যাচিভমেন্ট,আপনার কোন এক্সপেনসিভ বস্তু,বিয়ের প্রাইভেট ছবি বা কোন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল,তথ্য এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন না।

কারন এসব কোন অসাধু ব্যাক্তি কালেক্ট করে আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে।আপনার ব্যাক্তিগত পিকচার গুলো অন্যরা সেভ করে ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে অন্যদের ধোকা দিতে পারে।আবার অনেক খারাপ পেজ বা গ্রুপে আপনার ছবিগুলো পোস্ট করতে পারে।যখন অন্যরা এই ছবিগুলো দেখবে তখন সবাই আপনাকেই খারাপ ভাববে।আপনাকে চরিত্রহীন ভাববে।

অসাধু লোক আপনার পারসোনাল তথ্য সংগ্রহ করে আপনাকে ট্রাপে ফেলে টাকা দাবি করতে পারে।

<

আর ফেসবুকে মানুষকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না।সবাই সৎ মানুষ নয়।মানুষের বাহ্যিক রঙ মানুষকে চেনার মাপকাঠি হতে পারে না।ফেসবুকে দুই দিনের পরিচয়ে কাউকে হুট করে বিশ্বাস করে ফেলবেন না।সময় নিন।একটা মানুষকে ভালোভাবে চিনতে গেলে নূন্যতম এক বছর সময় দরকার।তাহলেই তার আসল রূপ বুঝতে পারবেন।কারন সময় ই সবার আসল পরিচয় প্রকাশ করে দেয়।

এফবি নিজেকে রিপ্রেজেন্ট করার একটা optional platform ছাড়া আর কিছুই নয়।এখানে মানুষ ততোটাই প্রকাশ করে যতোটা সে চায়।এর বেশি কিছু নয়।

কেউ সিরিয়াসনেস পছন্দ করে বলেই সিরিয়াস পোস্ট করে।আর কেউ ফান পছন্দ করে বলেই ফান পোস্ট করে।কেউ ধার্মিক পোস্ট করে ধার্মিকতা প্রকাশ করে।কেউ দেশের সমসাময়িক সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করে।কেউ ভালো ভালো পোস্ট করে মানুষের সামনে ভালো সাজার চেষ্টা করে।কেউ আবার দুঃখের পোষ্ট করে দঃখ প্রকাশ করে ।কেউ বা হাসির পোস্ট করে নিজেকে সুখী মানুষ হিসেবে প্রকাশ করে।

যে যেমনটা চায় তেমনরূপে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করে।এটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাক্তিগত রুচির ওপরে নির্ভর করে।

কেউ ধার্মিক পোস্ট করলো বলেই 100% ধার্মিক হয়ে যায় না।এর জন্য quality লাগে ।

দেশের সমস্যা গুলো নিয়ে পোস্ট দিয়েই নিজেকে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রকাশ করলেই সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে যায় না।এর জন্য কাজ করা লাগে।

কেউ সবার সামনে ভালো পোস্ট আপডেট করলো বলে সে
100 % ভালো হয়ে যায় না।

যে যেমনই পোস্ট করুক না কেন তা দিয়ে সেই মানুষটাকে মাপার মাপকাঠি হতে পারে না।।কারন কেউ তার খারাপ দিকটা প্রকাশ করে না সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সবসময় ভালো দিকটা প্রকাশ করে।
তাই খুব তাড়াতাড়ি দু দিনের পরিচয়ে মানুষকে বিশ্বাস করবেন না।সময় নিন।

যে ফেসবুকের সব মানুষকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করে সে নেহাৎই বোকার স্বর্গে বাস করে।
সবাইকে গনহারে বিশ্বাস করবেন না।আর ব্যাক্তিগত জিনিসগুলো প্রাইভেট রাখুন।

Related Posts