বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের দুই বছর বর্ষপুর্তি আজ।

আজ মঙ্গলবার ১২ই মে। আজকের এই দিনে বাংলাদেশের প্রথম কোন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু(বিএস-১) উৎক্ষেপণ করা হয়। ২০১৮সালের ১২ই মে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়।

এই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বিএস-১ দেশের সবগুলো বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচার সুবিধাদি পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ টেলিভিশন সরাসরি সুযোগ করে দিয়েছে ইতিমধ্যে এপ্রিল থেকে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে এর পরিষেবয় অন্তভুক্ত করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বিএস-১ গত বছর ১২মে টিভি চ্যানেলগুলোতে স্টেশন এর পরিবর্তে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে সংযুক্ত করতে এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়।ধারণা করা হয় এই স্যাটেলাইট থেকে আমাদের ইন্টারনেট থেকে শুরু করে যাবতীয় টেলিভিশনের খরচ অনেক কম হয়েছে।

বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ডাক্তার শাহজাহান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের এই দিনটিতে বিশেষ কিছু আয়োজন করার ইচ্ছা ছিল কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য আমরা সেরকম এই দিনটি উদযাপন করতে পারছিনা বলে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।

তিনি বলেন,বর্তমানে দেশে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা এবং ব্যাংকিং খাতে সুরক্ষিত পরিষেবার নিশ্চিত করতে সবগুলো ব্যাংকের এটিএম এর মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করে যাতে দেশের মানুষেরা বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে সেজন্য বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কাজ করে যাচ্ছে।

এখন এই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ে আমাদের মত সাধারণ মানুষের যে প্রশ্ন মাথায় আসে?

আচ্ছা বাংলাদেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এই বিএস-১ থেকে পরিষেবা গ্রহণ করবে কিন্তু উন্নত বিশ্বে কতগুলো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে সেগুলো থেকেও কি বাংলাদেশের স্যাটেলাইটের পরিষেবা উন্নত হবে?

এবং উন্নত মানের পরিষেবা না পেলে এই স্যাটেলাইট পরিষেবা কেন ব্যবহার করবে মানুষ?

আমরা অতীতেও দেখেছি যে বাংলাদেশের একমাত্র মোবাইল পরিষেবা সংস্থা টেলিটক এবং বিভিন্ন দেশীয় সংস্থাগুলো বলতে শোনা গেছিল যে “দেশের টাকা দেশেই রাখুন”

এরকম শ্লোগান কিন্তু আমরা অনেক শুনে এসেছি কিন্তু বাস্তবে এদের পরিষেবা কতটুকু এবং এর মান কত তা ভালো তা আমরা বুঝতে পারছি।

টেলিটকসহ দেশীয় কোম্পানিগুলো যে সেবার মান কতখানি জঘন্য নিম্নমানের সেটা আপনি আমরা সবাই জানি। এখন প্রশ্ন হলো,সব নিম্নমানের পরিষেবা জেনেও মানুষ কি এই স্যাটেলাইটের পরিষেবা ব্যবহার করতে চাইবে তা জেনে বুঝে কেন এই খারাপ পরিষেবায় তারা পা বাড়াবে?

বাংলাদেশ সরকার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ে স্বপ্ন দেখছে তারা বিদেশি চ্যানেল গুলোর সাথে পরিষেবা দিয়ে ৫০ মিলিয়ন ডলার আয় করবেন। অবশ্যই ভালো কথা কিন্তু বাংলাদেশের স্যাটেলাইটের নিম্নমানের পরিষেবা কিনবে কারা? বাংলাদেশেতো এখনো সম্পূর্ণরূপে ভারতের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। ভারত একমাস হিংস্র প্রাণী বন্ধ করলে বাংলাদেশের পেঁয়াজের কেজি ২০০/৩০০ টাকা হয়ে যায়। এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করলে ভূটান,নেপাল,মায়ানমার আরও অর্থনীতিক দরিদ্র দেশগুলো ভারতকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের পরিষেবা ব্যবহার করবে কোন দুঃখে?

Related Posts

19 Comments

মন্তব্য করুন