বাংলাদেশে ই কমার্স ব্যবসার সম্ভবনা কেমন?

আসসালামুয়ালাইকুম কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন।

 

অনলাইন ব্যবহারকারীর সংখ্যাটা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে অনলাইন কে ঘিরে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে নিত্যনতুন নানা ধরনের অনলাইন ব্যবসা।

 

অনলাইন দ্বারা পরিচালিত ব্যবসায় গুলোকে বলা হয়ে থাকে ই-কমার্স ব্যবসা।

 

ই কমার্স ব্যবসা কি?

 

ই-কমার্স ব্যবসা এমন এক ধরনের ব্যবসা যেটি ইন্টারনেট দ্বারা পরিচালিত হয়। এই প্রক্রিয়ায় একজন ক্রেতা বাড়িতে বসে থেকে ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে তার পছন্দের যেকোনো পণ্য বা সেবার অর্ডার করে। বিক্রেতারা ক্রেতাদের সেসব অর্ডার নিয়ে সেগুলোকে হোম ডেলিভারি করে দিয়ে থাকে।

 

একজন বিক্রেতা তার পণ্য বা সেবা গুলো একটি অনলাইন শপ বা অনলাইন স্টোর তৈরি করার মাধ্যমে কাস্টমারদের সামনে সেটি উপস্থাপন করে থাকে।

 

যেটি সম্পূর্ণ দোকানের মতই হবে শুধুমাত্র ভিন্নতা হলো এটি অনলাইন ভিত্তিক।

 

বাংলাদেশে ই কমার্স ব্যবসার সম্ভবনা কেমন এই নিয়ে বাংলাদেশি নতুন ই কমার্স উদ্যোক্তাদের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে। তাদের জন্য আমার আজকের এই আর্টিকেল।

 

বাংলাদেশের মতো দেশে ই কমার্স সম্ভবনা কেমন সেটি আপনাদের কিছু পয়েন্ট দ্বারা বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করবো।

 

বাংলাদেশের ই কমার্স সম্ভবনাঃ

 

১) একটা সময় শুধুমাত্র উন্নত দেশগুলোতে অনলাইনে কেনাকাটার বিষয়টি প্রচলিত। ভারত, ভিয়েতনাম, ভুটান, বাংলাদেশ ইত্যাদি দেশগুলোতে তখন অনলাইনে শপিং করার কোনো প্রক্রিয়া প্রচলিত ছিলনা।

 

কিন্তু ইন্টারনেটের প্রসার ঘটার সাথে সাথেই ভারত, ভিয়েতনাম, ভুটান, বাংলাদেশ ইত্যাদি দেশগুলোতে এখন প্রতিনিয়ত অনলাইন শপিং পদ্ধতিটি বেড়ে যাচ্ছে। এই থেকে বলা যায় সামনের দিন গুলোতে একইভাবে ই কমার্স প্রক্রিয়ায় পণ্য কেনাবেচা করার প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে।

 

২) ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পরিচালিত সকল কার্যক্রমের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অনলাইন কেনাকাটার প্রক্রিয়াটি।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তাদের অভিজ্ঞতার জন্য অন্তত এক বারের জন্য হলেও কখনো না কখনো অনলাইন শপিং করে থাকছে।

 

এক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত যেভাবে অনলাইন ব্যাবহারকারী বেড়ে চলেছে, সেহেতু বলা যায় এ দেশেও তাড়াতাড়ি এই ব্যবসাটি বিস্তার লাভ করবে।

 

৩) কম পরিশ্রম এবং সময় সাশ্রয় আমরা সবাই করতে চাই। অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে একজন ক্রেতার অনেকটা সময় সাশ্রয় হওয়ার সাথে সাথে পরিশ্রম ও অনেক কমে যায়।

 

কেননা তারা বাড়িতে বসে থেকে কম সময়ের মধ্যে কয়েকটি অনলাইন স্টোর ঘুরে তাদের কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি পছন্দ করার মাধ্যমে অর্ডার করতে পারছেন সহজেই। এবং বাড়িতে বসেই সেই পণ্যগুলো ডেলিভারি নিতে পারছেন।

 

৪) কভিড ১৯ এর ফলে সকল ধরনের দোকান, যানবাহন ইত্যাদি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে অনলাইন স্টোর গুলোতে অতিরিক্ত ভিসিট হয় ২২ মিলিয়ন। এবং সবাই তখন অনলাইন কেনাকাটার উপর অনেকটা নির্ভর হয়ে পড়েছিল। কারণ অফলাইন পরিচালিত দোকান গুলো তখন বন্ধ ছিল।

 

এই জরিপ দ্বারা বোঝা যায় করোনা ভাইরাস এর পর থেকে সকলে অনলাইন ব্যবসা গুলোর ভালো প্রসার ঘটতে শুরু করেছে। এমনকি লোকেরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন অনলাইন কেনাকাটার বিষয়ে।

 

৫. আমাদের দেশে এখনো কমপক্ষে 90 শতাংশ মানুষ অফলাইন দ্বারা ব্যবসা পরিচালনা করে থাকছেন যার ফলে ই কমার্স পর্যায়ে প্রতিযোগিতা অনেকাংশে কম।

 

আর তাই প্রতিযোগিতা অনেক বেড়ে যাওয়ার পূর্বে যদি শুরু থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে অনলাইন দ্বারা নিজের একটি বিজনেস শুরু করা যেতে পারে তাহলে এর ভবিষ্যৎ অনেক ভাল হবে বলে ধারণা করা যায়।

 

সর্বশেষ

 

এ কয়েকটি পয়েন্ট পর্যালোচনা করলে বোঝা যাবে যে বাংলাদেশে ই কমার্স সম্ভবনা অনেকটাই ভালো। সময় নষ্ট না করে কার্যক্রম শুরু করে দেওয়াটা নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

Related Posts

17 Comments

মন্তব্য করুন