বাংলা রোমান্টিক ছোট গল্প, সুন্দরী এক পরীর গল্প

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই আল্লাহ্’র রহমতে ভালোই আছেন।  আজ একটা ইন্টারেস্টিং ব্লগ নিয়ে আবারও আপনাদের সামনে হাজির হলাম (বাংলা রোমান্টিক ছোট গল্প) । তো বন্ধুরা চলুন কথা না বাড়িয়ে ব্লগটি শুরু করা যাক,,, 

বাংলা রোমান্টিক ছোট গল্প, সুন্দরী এক পরীর গল্প

পলাশপুর গ্রামের মধ্যবৃত্ত পরিবারে জন্ম হয় রতনের। বাবা- মা আদর করে নাম রখেছিল রতন। সে একজন মেধাবী ছাত্র। এবার সে ১ম স্থান দখল করে  ৯ম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ  হয়েছে। তার স্বপ্ন ছিল একদিন সে একজন বড় ডাক্তার হবে। কিন্তুু বাবার অকাল মৃত্যুতে তা বোধায় আর সম্ভব হলো না।

এখন মা সংসার চালাতে অন্যের বাড়িতে কাজ করতে হচ্ছে। কিন্তু বাবা হারা বেচারা রতনের  চিন্তার শেষ নেই। কিভাবে তার স্বপ্ন পূরন হবে।  এখন তো তাকে শিক্ষিত হয়ে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। কিন্তুু তখন সংসারের এমন করুন অবস্থা ছিল যে, লেখাপড়ার খরচ চালানো সম্ভব ছিল না।

ছেলের করুন অবস্থা দেখে মা পারুল সিদ্ধান্ত নিল তাকে মাদ্রাসায় পড়তে পাঠাবেন। এতে যদি ছেলের মন কিছুটা ভালো হয়। পরের দিন ছেলেকে নিয়ে মাদ্রাসায় রওনা দেন পারুল। এবার মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিয়ে ছেলেকে জিজ্ঞেস করে বলে,” বাবা রতন এবার খুশিতো বাবা”।

রতন তখন কোনো সাড়া না দিয়ে মাথা নাড়ায়। এবার কদিন পর রতন নিজেকে স্বান্তনা দিতে সক্ষম হয়।  এখন তার লক্ষ সে একজন নামিদামী বক্তা হবে। অথচ, তার স্বপ্ন ছিল সে একজন ডাক্তার হবে। কিম্তু পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে এখন তার স্বপ্নের পরিবর্তন করতে হয়। কারণ এখন শিক্ষার যাবতীয় উপকরণ মাদ্রাসা ফাউন্ডেশন থেকে পরিশোধ করা হয়, ফলে তাকে কোনো মূল্য পরিশোধ করতে হয় না। 

এখানে রতন বাধ্য হয়ে তার স্বপ্ন পরিবর্তন করে ফেলে। সে মনে করে বিধাতা তার পরীক্ষা নিচ্ছে, কিন্তু তাকে বড় হতে কেউ আটকাতে পারবেনা। এই সংকল্প নিয়ে সে সামনের দিকে এগিয়ে চলে। সে এখন মাদ্রাসার বড় বড় উদ্যক্তার খুব প্রিয় একজন ছাত্র। পড়ালেখায় সে এখন সবার থেকে এগিয়ে।

<

প্রতি সপ্তাহে সে একবারই মায়ের সাথে দেখা করতে পারে। এভাবে কেটে গেল ৫ বছর। এখন সেই রতন একজন যুবকে পরিনত হয়েছে। এখন সে একজন নামিদামী বক্তা হয়েছে। নাম হয় হাজী মওলানা শেখ।  তার বক্তৃতা সবার মন কেড়ে ফেলেছে।  যেমন তার রূপ, তেমনি অদম্য।

এখন সে তার মাকে নিয়ে স্বাচ্ছন্দে রয়েছে। একদিন তরফ পড়লো শেখ বাবুকে গ্রামের মাহফিলে প্রধান অথিতি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সবাই খুব উৎসাহিত ছিল রতনের বক্তৃতা নিয়ে। কারণ সেই ছোট্ট রতন আজ গ্রামে প্রথম বক্তব্য দিতে যাচ্ছে। সময় সাপেক্ষে, বক্তব্য শুরু হলো সবাই মনোযোগসহকারে বক্তৃতা শুনছিলো।

বক্তৃতা শেষে সবাই তাকে সম্মাননা জানলো। সবশেষে রতন বাশঁতলার রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলো। কারণ বাসা তার খুব নিকটে।  অত্যন্ত মধূর সুরে করুআন তিলাওয়াত করতে করতে  যাচ্ছিল রতন। হঠাৎ, যেন মনে হলো তার ঘাড়ের দিকে কেউ গরম গরম নিশ্বাস ফেলছে। এবার, রতন পিছনে ফিরে দেখলে কেউ সেখানে উপস্থিত  ছিল না।

সে মনে করে তার মনের ভুল হয়তো। কিন্তু সেই অনুভবতা তার সাথে বারবার ঘটতে থাকে। এবার ঘুরে দেখলে, সে দেখতে পায় একজন সুন্দরী মেয়েকে। বোধহয়, এমন সুন্দরী মেয়ে সে আর কখনও দেখেনি। মেয়েটি তাকে জিজ্ঞেস করলো,” এত সুন্দর গলা কার ছিল?” এবার, রতন একটু সাহস, করে বলে,” জি এটা আমার গলা ছিল,কিন্তুু আপনি কে?

আর কেনই বা এত রাতে আপনি এখানে ঘরছেন? আপনার ভয় করেনা? মেয়টি বললো, ” আমার নাম জেসমিন, আর আমার বাড়ি ওই বাশঁতলায়। “এবার রতন বললো, ” কি? মানে ওখানে তো কোনো বাসা দেখতে পারছি না?আসলে আপনি কে বলুন তো? জেসমিন বললো,” আরে ভয় পেয় না আমি একজন পরী।

তোমার কন্ঠ শুনে আমি মুগ্ধ ” এবার রতন খুব ঘাবড়ে গেলে ও জোরে জোরে আয়াতুল কুচরী পড়তে শুরু করলো। জেসমিন বললো,” আমি তোমার কোনো ক্ষতি করবো না। আমরা কি বন্ধু হতে পারি” এবার রতন,” হ্যা। কিন্তু মানুষ আর পরীর মধ্যে কি বন্ধুত্ব হতে পারে। ” জেসমিন বললো,” কেন হতে পারে না।

এখন আমরা বন্ধু ব্যাস আর কোনো কথা হবে না। ” রতন তখন তার সাথে বন্ধুত্ব করে নিলো। তখন থেকে তারা প্রায় প্রতিদিন দেখা করতো। তারপর আস্তে আস্তে সেই বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হলো। রতন কখনো কখনো পরীদের দেশে চলে যেত। একদিন হলো কি, জেসমিন খুব হতাশ হয়ে রতনকে বললো,”

আমরা কি এখন বিয়ে করতে পারি?” এবার রতন বললো কিন্তু তোমার বাবা-মা কি রাজি হবে?” জিসমিন, ” বললো হ্যা আমি এ ব্যাপারে বাবার সাথে কথা বলে এসেছি” রতন বললো,” তো কি বললো তোমার বাবা?” জেসমিন বললো, ” তিনি রাজি হন নি। তিনি মানুষের সাথে বিয়ে দিতে চান না।

” রতন বললো,” তো এখন কি করবো? ” জেসমিন বলে, ” চলো গোপনে বিয়ে করে নিই।” যেমন ভাবা তেমনি কাজ তারা গোপনে বিয়ে করে নিল। বিয়ে করার পর রতন তার স্ত্রীকে নিজের সাথে নিয়ে যেতে চাইলো। কিন্তু জেসমিন এ ব্যাপারে বলে খুব শীঘ্রই সে তার শসুরবাড়ী যাবে।

তারপর জেসমিন রতনকে নিচে নামিয়ে দিল। এরপর থেকে রতন তার জেসমিন কে আর দেখতে পেত না। হয়তো তার বাবা জেসমিনকে আটকে রেখেছিল। রতন এখনও জেসমিনের জন্য বাশঁতলায় অপেক্ষা করে।

তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। আর-ও ইন্টারেস্টিং গল্প নিয়ে নিশ্চয়ই দেখা হবে। ততক্ষণে সুস্থ থাকবেন খোদা হাফেজ। এমন দ্বারুণ সব গল্প পেতে সাথে থাকুন Grathor এর Facebook Group এর সাথেই থাকুন (লাল সবুজের লেখক)

Related Posts

15 Comments

মন্তব্য করুন