বাড়ছে না আর সাধারণ ছুটি!

বাড়ছে না আর সাধারণ ছুটি:

কেমন আছেন আপনারা আশা করি সকলেই ভাল আছেন।
অবশেষে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য দেওয়া সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না।
সম্প্রতি কোন ভাইরাস মোকাবেলার জন্য 31 মে 2020 পর্যন্ত সাধারণ ছুটি দেওয়া হয় এর আওতায় সকল দোকানপাট অফিস-আদালত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল কিন্তু আজ বুধবার 27 এ মে 2020 ঘোষণা দেওয়া হয়েছে 31-05-2020 এর পর আর কোন নতুন করে সাধারন ছুটি দেওয়া হবে না কিন্তু এই ঘোষণার আওতায় কোন প্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন পড়বে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনা করতে পারবে এবং সকল ব্যক্তি নিজস্ব পরিবহন করে সকল স্থানে যাতায়াত করতে পারবে বলে জানিয়েছে প্রয়োজনে বয়স্ক কর্মকর্তা ও গর্ভবতী মহিলাদের অফিস করতে হবে না বলেও জানিয়েছেণ এই প্রতিমন্ত্রী। আজ বুধবার বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন এই সকল তথ্য এছাড়াও তিনি আরও বলেন যে এ বিষয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিস্তারিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
উল্লেখ্য যে গত 26 শে মার্চ থেকে দফায় দফায় সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়েছিল। আর এর আওতায় ছিল সকল প্রকার সরকারি আধা-সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান , অফিস,আদালত ও দোকানপাট। বন্ধ ছিল কিন্তু শিক্ষার প্রতিষ্ঠান ক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছিল। গণপরিবহনের সাথে সাথে নিজস্ব পরিবহন দিয়ে যাতায়াত বন্ধ ছিল।
এই প্রজ্ঞাপন আরও জানানো হয়েছে যে 15 জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে পারবে। তবে চলবেনা কোন গণপরিবহন যেমন রেল যাত্রীবাহী নৌযান বাস ইত্যাদি কিন্তু বেসরকারি বিমানগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিমান চলাচল করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বা উপাসনালয় গুলো খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে তবে কোনো প্রকার গণসমাবেশ, সভা, মিছিল ইত্যাদি করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে
সরকারের এই সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হতে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। কারণ মার্চ মাসে সনাক্ত হয় প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী এরপর থেকে মাত্র আড়াই মাসের মাথায় রেকর্ড পরিমান করো না আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলছে প্রতিদিন এখন পর্যন্ত প্রায় 35 হাজার ছাড়িয়েছে করোনা ভাইরাস এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এর মধ্যে প্রায় সাড়ে 400 জন মৃত্যুবরণ করেছে এ ভাইরাসের সংক্রমণে। এখন প্রায় প্রতিদিনই দেশে 1500 জনের বেশি করো না আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হচ্ছে এবং পাশাপাশি প্রায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে 20 জনের বেশি মারা যাচ্ছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।
তাই আজকে থেকে সকলকে সচেতন হতে হবে মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ব । ধন্যবাদ।

Related Posts