বায়োমেট্রিক ও এর ব্যবহার সম্পর্কে জানব

কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকের পোষ্ট হলো বায়োমেট্রিক সম্পর্কে। এই পোষ্টে আমরা জানবো,

বায়োমেট্রিক কী?

বায়োমেট্রিক কত প্রকার ও কী কী?

বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার,

বায়োমেট্রিক এর সুবিধা ও অসুবিধা,

যারা বাংলা আটিকেল লিখে আয় করতে চান তারা আমার দেওয়া লিংকের মাধ্যমে জয়েন্ট হবেন । এই লিংক আপনাকে নিয়ে যাবে grathor.com এ । আমার লিংক: https://grathor.com/earning-program/?mref=Soreful120

এখানে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিবেন,

তাহলে শুরু করা যাক ।

বায়োমেট্রিক কী,

মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের গঠন এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে কোন নির্দিষ্ট ব্যাক্তিকে শনাক্ত পদ্ধতি হল বায়োমেট্রিক।

বায়োমেট্রিক কত প্রকার ও কী কী,

বায়োমেট্রিক ২ প্রকার যথা ১. শারীরবৃত্তীয়

২. আঁচরনগত

শারীরবৃত্তীয় কে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়।

১. মুখ শনাক্তকরণ: এক ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে দুই চোয়ালের মধ্যবয়সি দুরত্ব, নাকের দৈর্ঘ্য ও ব্যাস, চোয়ালের কৌণিক পরিমান, ইত্যাদি দ্বারা ব্যাক্তিকে শনাক্ত করা হয়।

২. আঙ্গুলের ছাপ: ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার নামক যন্ত্রের সাহায্যে আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। রিডারটি ত্বকের টিস্যু ও ত্বকের নিচের রক্ত সঞ্চালনের উপর ভিত্তি করে ইলেক্ট্রোগ্যানেটিক পদ্ধতিতে কাজ করে।

৩. হাতের ছাপ: প্রত্যেক মানুষের হাতের জ্যামিতিক গঠন আলাদা। এ পদ্ধতিতে হাত রিডারের নির্দিষ্ট স্থানে রাখার পর ৫ সেকেন্ডের মধ্যে ফলাফল প্রদান করে।

৪. চোখের মনি: প্রত্যেক চোখের দৃশ্যমান রঙিন অংশ আলাদা হয়। তাই চোখের মনির চারপাশে রঙিন বলয়কে বিশ্লেষণ করে শনাক্ত করা হয়। এর জন্য ক্যামেরাসম্পন্ন ডিভাইস এর সামনে দাড়াতে হয়।

৫. ডিএনএ গঠন: মানুষের সাথে মানুষের ৯৯.৯% মিল থাকে; বাকি ০.১% আমিরের কারনে ডিএনএ পদ্ধতিতে শনাক্ত করা যায়। ডিএনএ শনাক্ত করার জন্য প্রয়োজন. রক্ত, চুল, টুথ ব্রাশ ইত্যাদি।

আঁচরনগত বৈশিষ্ট্য কে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়।

১. কীস্ট্রোক: কী বোর্ড ব্যবহার এর স্টাইল হচ্ছে কীস্ট্রোক। এটির দ্বারা মানুষ শনাক্ত করা যায়।

২. স্বাক্ষর: প্রত্যেক মানুষের স্বাক্ষর আলাদা এর দ্বারা ব্যাক্তিকে শনাক্ত করা যায়।

৩. কন্ঠ শনাক্তকরণ: কন্ঠের ধ্বনি, সুরের উচ্চতা, সুরের মূর্ছনা, স্পন্দনের গতি বিশ্লেষণ করে শনাক্ত করা হয়।

বায়োমেট্রিক এর ব্যবহার,

সময় উপস্থিত, প্রবেশ নিয়ন্ত্রন, নিরাপত্তা কর্মীর চলাচল নিয়ন্ত্রণ, জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন, সিম নিবন্ধন, পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব শনাক্তকরণ, ডিএনএ শনাক্তকরণ, ইত্যাদি ভাবে বায়োমেট্রিক ব্যবহার হয়।

বায়োমেট্রিক এর সুবিধা,

১. এর শনাক্ত ও নিরাপত্তা নিখুঁত।

২. প্রাথমিক খরচ বেশি হলেও সার্বিকভাবে খরচ কম।

বায়োমেট্রিক এর অসুবিধা,

১. আঙ্গুলের কাটিং থাকলে কাজ হয় না

২. প্রতিটি স্বাক্ষর এক হয় না

৩. এর জন্য দক্ষ লোকের দরকার।

৪. এ সিস্টেমের ইনস্টলেশন খরচ বেশি।

আমরা প্রযুক্তির যথার্থ ব্যবহার করি।

আজকে এই পর্যন্তই । সবাই ভাল থাকবেন।

😄

Related Posts

18 Comments

মন্তব্য করুন