বারান্দায় বাগান করার সহজ পদ্ধতি

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে বারান্দায় বাগান করার সহজ পদ্ধতি নিয়ে হাজির হয়েছি। তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

বারান্দায় বাগান করার সহজ পদ্ধতি

এক সময় আমরা বাগান বলতেই বুঝতে বাসার পাশে বিরাট আঙ্গিনা। কিন্তু বর্তমানে সেটি পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমান সময়ে বাড়ির সাথে আঙ্গিনা থাকা তো দূরে থাক ভালো একটি বাসা পেতেও কষ্ট হয়ে যায়। এই কারণেই শুরু হয় ছাদ বাগান ও বারান্দায় বাগান। ছাদ বাগান করার জন্য ছাদে যথেষ্ট জায়গা থাকা প্রয়োজন যা বেশিরভাগ বাড়িতেই নেই। তাই এখন বারান্দা বাগান করা শুরু হয়েছে।

বাগান কেন করা হয়? বেশিরভাগ মানুষই শখের বশে বাগান করে থাকে। অনেকে আবার সময় খরচ বা নষ্ট
করার জন্য এটি করে থাকে, অনেকে আবার মানসিক চাপ কমানোর জন্য বাগান করে। আপনার আর মরিচ, টমেটো, বিভিন্ন শাক ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করা অনেকটাই কম লাগবে। এটি পরিবারের খাবারের ও পুষ্টির চাহিদা মিটায় এমনকি অনেকে এগুলো বিক্রয় করেও উপার্জন করে।

এখন মূল বিষয়ে আসা যাক। কিভাবে বারান্দা বা বেলকনিতে সহজেই বাগান করতে পারবেন?

প্রথম বিষয় হচ্ছে জানুন যে কোন গাছগুলো টবে সবচেয়ে ভালো হয়। বারান্দার দেয়াল কিংবা গ্রিলে ঝুলিয়ে রাখা যায় এরকম টব কিনলে সবচেয়ে ভালো হয়।

এরপরে আপনার ধারণা থাকতে হবে আপনার বারান্দায় আলোর পরিমাণ কতটুকু অর্থাৎ কতটুকু আলো আপনার বারান্দায় পড়ে। এটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ বিভিন্ন গাছ বিভিন্ন পরিমাণ আলোতে বড় হয়। অনেক গাছ বড় হতে সূর্যালোক বেশি লাগে, অনেকক্ষেত্রে কম সূর্যালোকেই গাছ বড় হয় আবার অনেক গাছ রয়েছে যা যেকোনো পরিমাণ আলোতেই বড় হতে পারে। অল্প আলোতে বড় হতে এরকম কিছু গাছ হলো ইন্ডোর প্ল্যান্ট, লতানো গাছ, পাতাবাহার ইত্যাদি।

মাটির পাত্রে মশার বিস্তার বন্ধ করার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। তাই ঘন ঘন টবের পানি পরিবর্তন করুন। এতে মশার লার্ভা জন্ম বন্ধ হয়ে যাবে। এতে আপনার গাছও ভালো থাকল। তাছাড়া টবের পানি একটানা অনেকদিন পরিবর্তন না করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এক্ষেত্রে আপনার জরিমানা হতে পারে।

আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে গাছগুলোর যত্ন করা। গাছের যত্ন নিতেই হবে। প্রতিদিন নিয়মিত দুইবার (সাধারণত সকালে ও বিকেলে) পানি দিতে হবে। গড়ে প্রায় প্রতি তিন মাস অন্তর একবার গাছের গোড়ায় সার দিতে হবে। সার, কম্পোস্ট দেওয়া মাটি ইত্যাদি সকল কিছু আপনি নার্সেরিতেই পেয়ে যাবেন। প্রয়োজনে সাহায্যের জন্য কাজের জন্য লোক ডেকে নিয়ে আপনার সাথে কাজ করাতে পারেন।

তো আজকের জন্য এতটুকুই। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts

7 Comments

মন্তব্য করুন