বাড়তি বয়সী মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার ক্লিনিক্যাল ডায়েট।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

১. বিভিন্ন ধরণের খাবার খান।

সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের ৪০ টিরও বেশি আলাদা পুষ্টি দরকার। কোনও একক খাদ্যই এগুলি সরবরাহ করতে পারে না। উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার কখনো সঠিক ডায়েট হতে পারেনা।

২. আপনার ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে শর্করা সমৃদ্ধ খাবারের রাখুন।

আমাদের ডায়েটে প্রায় অর্ধেক ক্যালোরি শর্করা, ভাত, পাস্তা, আলু এবং রুটি জাতীয় শর্করাযুক্ত খাবার থেকে আসে। প্রতি বেলার খাবারের মধ্যে উপরের অন্তত একটি অন্তর্ভুক্তি করা ভাল।

৩. অসম্পৃক্ত চর্বি দিয়ে স্যাচুরেটেড প্রতিস্থাপন করুন।

<

চর্বি স্বাস্থ্যের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় সঠিক ও গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর অত্যধিক ব্যবহার আমাদের ওজনকে প্রভাবিত করতে পারে। বিভিন্ন ধরণের চর্বিতে স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ে। চর্বিযুক্ত মাছ সপ্তাহে ২-৩ বার খাওয়া আমাদের অসম্পৃক্ত চর্বি সঠিকভাবে গ্রহণে ভূমিকা রাখবে। রান্না করার সময় আমাদের ভাজার পরিবর্তে সিদ্ধ করা উচিত। মাংসের চর্বিযুক্ত অংশটি সরিয়ে ফেলা উচিত। উদ্ভিজ্জ তেল ব্যবহার করা উচিত।

৪. প্রচুর ফল ও সবজি খান।

আমাদের পর্যাপ্ত ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের জন্য ফল এবং শাকসব্জি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবারগুলির মধ্যে একটি। সকালে এক গ্লাস তাজা ফলের রস রাখা যেতে পারে।

৫. লবন এবং চিনি কমিয়ে দিন।

উচ্চ মাত্রায় লবন খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। কেনাকাটার সময় সঠিক পন্যগুলি বাছাই করা উচিত। খাওয়ার সময় টেবিলে লবণ না রাখাই ভালো। চিনি মিষ্টি এবং স্বাদ বাড়ায়। তবে চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয়গুলি শক্তিতে সমৃদ্ধ হলেও এটি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

৬. নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।

নিয়মিত এবং সঠিক পরিমাণে বিভিন্ন ধরণের খাবার খাওয়াই স্বাস্থ্যকর ডায়েটের সেরা সূত্র।খাবার এড়িয়ে চলা কখনোই সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। খাবারের মধ্যে স্ন্যাকস ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে তবে স্ন্যাকস সঠিক খাবার নয়।

৭. প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন।

বড়দের দিনে কমপক্ষে ১.৫ লিটার পানি পান করা দরকার। ফলের রসও পানির ঘাটতি পূরণ করতে পারে। চা, সফট ড্রিঙ্কস এবং অন্যান্য পানীয় সব সময় পরিহার করতে হবে।

৮. স্বাস্থ্যকর শারীরীক ওজন বজায় রাখুন।

আমাদের প্রত্যেকের জন্য সঠিক ওজন আমাদের লিঙ্গ, উচ্চতা, বয়স এবং জিনের মতো বিষয়ের উপর নির্ভর করে। স্থূলত্ব এবং অতিরিক্ত ওজন দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ফলে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং ক্যান্সার সহ বিভিন্ন ধরণের রোগের ঝুঁকি বাড়ে। আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদ আমাদের প্রয়োজনের চেয়ে হলে এটি ক্ষতিকর।

৯. চলাফেরায় কায়িক শ্রমের অভ্যাস করুন!

শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি জ্বালাতে চলাফেরায় কায়িক শ্রম বাড়াতে হবে। এটি আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। এটি আমাদের দৈনন্দিন রুটিনের অংশ হয়ে উঠতে পারে। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
কাছের দূরত্বে হেঁটে চলাচল করুন।

ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

Related Posts

13 Comments

মন্তব্য করুন