ভৌত বিশ্বের যা কিছু পর্যবেক্ষণযোগ্য, পরীক্ষণযোগ্য ও যাচাইযোগ্য তার সুশৃঙ্খল তার নিয়মতান্ত্রিক গবেষণা ও সেই গবেষণালব্ধ জ্ঞানভান্ডারের নাম বিজ্ঞান।
নানা গবেষণার ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন বিষয়ে বৈজ্ঞানিক মতবাদ প্রদান করেন বিজ্ঞানীরা। এই মতবাদ সবসময় সঠিক না হয় না, বিভিন্ন সময়ই বিজ্ঞানের বিভিন্ন মতবাদ পরিবর্তন হয়ে থাকে। যেমন একসময় সর্বজন স্বীকৃত একটি মতাবাদ প্রচলিত ছিল যে পৃথিবী সমতল আর সূর্য পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। পরবর্তিতে এই মতবাদ পরিবর্তিত হয় এবং বলা হয় যে পৃথিবী সমতল নয় গোলাকার আর সূর্য নয় পৃথিবীই সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। কিন্তু সূর্য নিজ জায়গায় স্থির আছে। তার কিছু পরে এই মতবাদও পরিবর্তন করা হয় এবং বলা হয় যে সূর্য স্থির নয় বরং সূর্যও তার নিজ অক্ষে আবর্তিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বর্তমান যুগে বিজ্ঞন অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। তবে এই সময়েও বিজ্ঞানে নানা গোজামিল রয়ে গেছে। যেমন বিজ্ঞান না দেখা কোনো বিষয়ই বিশ্বাস করে না। এমনকি অনেক বিজ্ঞানী এবং বিজ্ঞানপ্রেমী ঈশ্বর/ সৃষ্টিকর্তা/ আল্লাহ কেও বিশ্বাস করেনা কেননা আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তাকে ত কেউ কখনো স্বচক্ষে দেখে নি।
যারা আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী তারা এটা মানে যে আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তাই এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছেন। আর যারা বিজ্ঞানকে এত বেশি বিশ্বাস করে যে না দেখা আল্লাহকেও বিশ্বাস করতে চায় না তারা বলে যে এই বিশ্ব জগত সৃষ্টির আদিতে একেবারেই ফাকা ছিল। ছিল শুধু অন্ধকার অর্থাৎ সকল কিছুই অনুপস্থিত ছিল। তারপর এক বিস্ফোরণ এর মাধ্যমে এই বিশ্ব জগতের সৃষ্টির সূচনা।
এখন যদি তাদের কথাই সঠিক ধরি তাহলে প্রশ্ন আসে যে, যখন সকল কিছুই অনুপস্থিত ছিল তখন এত বড় বিস্ফোরণটা কীভাবে হলো? ঐ বিস্ফোরণ ঘটানোর পেছনে কোন শক্তি কাজ করেছিল? আর সেই বিস্ফোরণের জ্বালানীটা কোথা থেকে এসেছিল? তখন ত কিছুই ছিল না। তাহলে ধরে নেই শূন্য থেকেই কোনো এক শক্তি এসে সেই বিস্ফোরণটা ঘটিয়েছিল।
কিন্তু তাহলে ত আরেকটা সমস্যা, বিজ্ঞান ত এই কথা মানছে না যে শূন্য থেকে কোনো শক্তি সৃষ্টি হতে পারে। বিজ্ঞানের মতে, “শক্তি শূন্য থেকে সৃষ্টি করা যায় না আবার ধ্বংসও করা যায় না।” (থার্ড ডিনামিক্সের প্রথম সূত্র)। তাহলে উপায়? হ্যা উপায় একটা আছে, হতে পারে সৃষ্টির আদির ব্যাপারটা একটু ভিন্ন ছিল, তখন শূন্য থেকেই শক্তির সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ স্থানটা ত ভিন্ন কোথায় পৃথিবী আর কোথাই সেই মহাকাশ, দুই জায়গায় নিয়মটা দুই রকম হতে সমস্যা কি।
নাহ, সমস্যা একটা আছেই, সমস্যাটা আর কিছু না বিজ্ঞানেরই একটা মতবাদ। মতবাদটা হচ্ছে, “পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র পরম। এর কোনো পরিবর্তন কখনো হয় নি আর হবেও না। এবং সব জায়গায় এই নিয়ম একই থাকবে।”(থিওরি অব রিলেটিভিটি)।
বিজ্ঞান নিজেই নিজেকে ল্যাং মারছে বারবার। বিজ্ঞানই বলছে, “এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি শূন্য থেকে, আবার নিজেই বলছে শূন্য থেকে সৃষ্টি সম্ভব নয়। এমনকি এও বলছে যে এই নিয়ম সব ক্ষেত্রে, সব সময়, সব জায়গায় একই থাকবে কোনো পরিবর্তন হবে না।”
এই পোস্ট কে চায়?কোনো ইন্টারেস্টেড জিনিস আছে?
সব ক্ষেত্রে কি ইন্টারেস্ট(লাভ) খুজা উচিৎ??? আর ইন্টারেস্ট যে একেবারে নেই তাও নয়, এই ক্ষেত্রে লাভটা হলো ঈশ্বর বা আল্লাহ ছাড়া যে মহাবিশ্বের সৃষ্টি সম্ভব নয় তা বোঝা যায়।
বিজ্ঞানের মতামত থেকে বোঝা যায় যে এই মহাবিশ্ব শূন্য থেকে সৃষ্টি হয় নি, অর্থাৎ এক থেকে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি আর সেই একটা হলো সৃষ্টিকর্তা। এখন আপনার দায়িত্ব সেই সৃষ্টি কর্তাকে চিনে নেয়া। এখন আপনার ইচ্ছা আপনি কাকে সৃষ্টিকর্তা হিসেবে গ্রহন করবেন, আল্লাহ, ঈশ্বর না ব্রহ্মা।
nice
ধন্যবাদ
Oo
হুম
Hmm
ki hmmm?????
Nice
wow
nice
ভালো লাগলো কিন্তু আরো ভালো করে উপস্থাপন করা যেতো মনে হয়।
আরো বিস্তারিত লেখা চাই
Thanks for post
❤️