যখনই আমরা বিজ্ঞান নিয়ে ভাবি বা কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য নিয়ে কথা বলি ; তখন আমাদের মাথায় বড় বড় বিজ্ঞানী যেমন আইনস্টাইন, নিউটনের কথা মাথায় আসে। আসলে বিজ্ঞান আমাদের চারপাশেই রয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠা হতে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের বেশিরভাগ কর্মই হচ্ছে বিজ্ঞান। বিজ্ঞান এমন একটি বিষয় যার তথ্য-উপাত্ত কোন চমৎকার’এর চাইতে কম নয়। উদাহরণস্বরূপ যদি আমাদের দৃষ্টিশক্তিকে ক্যামেরার মত হিসেব করা হয় এবং কোন মোবাইলের ক্যামেরার জায়গায় আমাদের চোখ লাগিয়ে দেওয়া যায় তবে সেটার রেজুলেশন হবে প্রায় ৫৭৬ মেগাপিক্সেল। সাধারণত আমরা চাই দেখি তা সবই উল্টো দেখি। আমাদের মস্তিষ্ক সেটিকে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় সোজা করে চিত্র দেখায়। গবেষণায় জানা গেছে যে, মানুষ না খেয়ে অনেক দিন বাঁচতে পারলেও না ঘুমিয়ে ততদিন বাঁচতে পারে না। এই ধরনের অনেক তথ্য আমাদের অনেকেরই অজানা।আজকে আপনাদের “বিজ্ঞানের সব আকর্ষণীয় তথ্য পর্ব-১”এ জানাবো বিজ্ঞানের এমনই সব মজার তথ্য যা আমাদের হতভম্ব করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
(১) সমুদ্র থেকে আসে পৃথিবীর অর্ধেক অক্সিজেন:
শিশুকাল থেকে আমরা জেনেছি বেঁচে থাকার অপরিহার্য উপাদান অক্সিজেন আসে বৃক্ষ থেকে। সালোকসংশ্লেষণ এর মাধ্যমে উৎপাদিত অক্সিজেনই আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের চাহিদা মেটায়। কিন্তু আপনি জানেন কি? পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের অর্ধেক অক্সিজেন আসে সমুদ্র থেকে। সমুদ্রে বসবাসকারী ক্ষুদ্র এককোষী সামুদ্রিক উদ্ভিদ ফাইটোপ্লাংকটনের কল্যাণে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে যে পরিমাণ অক্সিজেন বিমুক্ত হচ্ছে তা মোট অক্সিজেনের অর্ধেক । কিন্তু ফাইটোপ্লাংকটন এর এই নীরব ভূমিকা সম্পর্কে আমরা কতজনই বা অবগত আছে।
(২) মৃত্যুর পর বায়ু নিষ্কাশন:
হ্যাঁ, কথাটা শুনে অবাক লাগতে পারে। বায়ু ত্যাগে আমরা যথেষ্ট নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি। মৃত্যুর পর আর বায়ু ত্যাগ নিয়ে কোন ভয় নেই এই কথাটা পুরোটা সত্য নয়। মৃত্যুর পর কিছু সময়ের জন্য পেশী সংকোচন হতে থাকে এবং দেহে মধ্যে জমে থাকে গ্যাস। তখন পেশির সংকোচন এর ফলে আপনার শরীরের মধ্যে যে গ্যাস আছে সেগুলো বায়ু নিষ্কাশন এর মাধ্যমে মাধ্যমে বের হয়।
(৩) গেমার:
গেম খেলা ভালো নয় চোখের ক্ষতি মাথার ক্ষতি সময় নষ্ট এসব কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে যে, পরিমিত পরিমাণে ভিডিও গেম খেলা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরতো নয়ই বরং তা মস্তিষ্ককে করে অধিক কর্মক্ষম, দক্ষ এবং বৃদ্ধি করে স্মরণ ক্ষমতা। তাছাড়া একসাথে একাধিক কাজে মনোযোগ দেবার ক্ষমতাও তৈরি হয়।
(৪) ঘাসের কান্না:
কথাটি শুনতে অদ্ভুত লাগলেও বলতেই হয় যে কথাটি সত্যি। খেয়াল করেছেন নিশ্চয়ই যে, ঘাস কাটার সময় এক ধরনের গন্ধ আমরা অনুভব করি। এই গন্ধ নিছক গন্ধ নয়। এই গন্ধ হলো ব্যথায় চিৎকার করা ঘাসের কান্নার বহিঃপ্রকাশ। কয়েক প্রজাতির সবুজ ঘাস যখন আমরা কাটি, তখন কিন্তু আমরা এই ধরনের দুর্গন্ধ নাকে বোধ করি। কারণ ঘাস তখন একধরনের উদ্বায়ী পদার্থ বাতাসে ছাড়ে যা আমাদের স্নায়ুতে সুড়সুড়ি দিলে আমরা দুর্গন্ধ পাই। আসলে ঘাস কান্না করে ব্যথা প্রকাশের জন্য দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে চায়।
বিজ্ঞানপ্রেমীদের কাছে “বিজ্ঞানের সব আকর্ষণীয় তথ্য পর্ব-১” পর্বটি কেমন লাগলো? কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। পরবর্তী পর্বে আপনাদের জন্য বিজ্ঞানের আরো মজার মজার অনেক তথ্য নিয়ে হাজির হবো। ধন্যবাদ সবাইকে।
“হলিউড ও হলিউড অভিনেতাদের নিয়ে কিছু চমকপ্রদ তথ্য” আর্টিকেল ২টি পড়তে ক্লিক করুন।
BEST.
BETTER IT.
ধন্যবাদ
HG
very Good
অসাধারণ!
nice
Ok
❤️