বিটিএস এবং তাদের কিছু কথা

এ দেশের মানুষের দেশীয় গান এর পাশাপাশি অন্যান্য অনেক দেশের গানের প্রতি আগ্রহ রয়েছে।বর্তমানে কোরিয়ান গান বা কেপপ ও এদেশে ভালোই আগ্রহ টানছে।কেপপ এর অন্যতম জনপ্রিয় একটি বয়ব্যান্ড ‘বিটিএস’।আজ তাদের সম্পর্কেই এ লিখা।

বিটিএস বললে অনেকেই চিনে তারা কারা।বিটিএস হলো বিগহিট এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানির আন্ডারে থাকা সাত সদস্য বিশিষ্ট কেপপ বয়গ্রুপ।তারা হলেন কিম নামজুন(লিডার)(স্টেজ নেইম র্যাপ মনস্টার),কিম সিউকজিন,মিন ইয়ুঙ্গি(স্টেজ নেইম সুগা),জাং হোসক(স্টেজ নেইম জে-হোপ),পার্ক জিমিন,কিম তেহিয়ঙ(স্টেজ নেইম ভি) এবং জিয়ন জাংকুক।২০১৩ সালের ১৩ জুন এদের প্রথম কোরিয়ান গানের জগতে প্রবেশ হয়।নিউজ পড়লে জানা যাবে আজ তারা সাফল্যের কত শীর্ষে।কিন্তু বিটিএস কি শুরু থেকেই এত সফল ছিলো?না।
বিগহিট তখন ছিলো ক্ষুদ্র একটি কোম্পানি, ট্রেনিং চলাকালে তাদের ছোট্ট এক রুমে থাকতে হতো গাদাগাদি করে।যাবতীয় অন্যান্য কাজ তখন তাদের নিজেদেরই করতে হতো।দুবছর ট্রেনিং শেষ করে ২০১৩ সালের ১৩ই জুন তাদের প্রথম সিংগেল এলবাম ‘টু কুল ফোর স্কুল’ প্রকাশ করে।এই এলবাম এর ‘উই আর বুলেটপ্রুফ’ গানটি সাড়া জাগাতে না পারলেও ‘নো মোর ড্রীম’ গানটি ব্যাপক সাড়া পায়।এরপর তাদের আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।একের পর এক তাদের এলবাম হিট করতে থাকে।তাদের এ সফলতা দেশে সীমাবদ্ধ থাকেনি,আন্তর্জাতিক ভাবেও তারা সফলতা অর্জন করে।তাদের ‘লাভ ইউরসেলফ:আন্সার’ এলবামের আইডল গানটি টেইলর সুইফট এর ‘লুক হোয়াট ইউ মেক মি ডু’ গানের একদিনের সর্বোচ্চ ইউটিউব ভিউ রেকর্ড ভাঙে।বিটিএস এর সর্বশেষ এলবাম ‘ম্যাপ অফ দ্যা সোলঃসেভেন’।

তারা আমেরিকার বিভিন্ন শো তে ও অংশগ্রহণ করেছেন।দ্যা এলেন শো,দ্যা লেট লেট শো উইথ জেমস করডেন,জিমি কিমেল ইত্যাদি টিভি শো তে তারা অংশ নিয়েছেন।

তারা বিভিন্ন জনপ্রিয় গায়ক-গায়িকাদের সাথেও গান করেছেন।বিটিএস এর ‘ম্যাপ অফ দা সোলঃপারসোনা’ এলবাম এর ‘বয় উইথ লাভ’ গানটি করেছেন জনপ্রিয় গায়িকা হ্যালসে এর সাথে।এছাড়াও এড শেরান এবং ট্রয় সিভান বিটিএস এর দুটি গানের লিরিক্স লিখেছেন।লভ তার এলবামের ‘হু’ গানটি করেছেন বিটিএস এর দুই সদস্য জাংকুক এবং জিমিনের সাথে।

বিটিএস এর অর্জন এর কথা যদি বলতে হয়,তবে বলা যায় তাদের ঝুলিতে পুরষ্কার এর অভাব নেই।নিজেদের দেশে পেয়েছেন সিউল মিউজিক এওয়ার্ডস,গোল্ডেন ডিস্ক এওয়ার্ডস,এমনেট এশিয়ান মিউজিক এওয়ার্ডস,মেলন মিউজিক এওয়ার্ডস সহ আরো অনেক এওয়ার্ড।বিদেশে পেয়েছেন আমেরিকান মিউজিক এওয়ার্ডস,বিলবোর্ড মিউজিক এওয়ার্ড।

এত কথা বলা হল,তাদের যে গান গেয়ে এত সফলতা,গান গুলো কেমন?তাদের গানের কথায় পাবেন,অনুপ্রেরণ,হতাশা ভুলে সামনে এগিয়ে যাবার কথা।
তাদের যেমন সফলতা,তেমনি সমালোচনার ও কমতি নেই।অনেকেই বলে বিটিএস নাচতে পারেনা ঠিকমতো,গাইতে পারেনা।আবার অনেকে তাদের হেয় করে বলে মেকাপ দেয়,মেয়েদের মতো।কিম্তু এসব সমালোচনায় তারা কি থেমে আছে?না।এমনও অনেকে আছে যারা ঠিকমতো গান ও শোনেনি কিন্তু সমালোচনায় এগিয়ে।
সবশেষে আসি তাদের ফ্যান নিয়ে।বিটিএস এর ফ্যান দের কে ডাকা হয় আর্মি নামে।এই আর্মিরা বিটিএসকে যত ভালোবাসা দিয়েছে,বিটিএস ও তাদের প্রতি তত ডেডিকেটেড।তাদের কনসার্ট হয় জমজমাট ভাবে।

মূলকথা,সমালোচনার কারণে থেমে নেই তারা,এতকিছু পেরিয়ে তারা আজ সফল।জয় করে নিচ্ছে পুরো বিশ্ব।ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের গানের মাধ্যমে ভালোবাস।ইন্টারনেট এ সার্চ করলেই পাওয়া যাবে সব তথ্য,গান।হতলও পারে আপনারাও ওদের গান ভালোবেসে আর্মি হয়ে যাবেন!

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন