বিল গেটসের জীবনী।বিল গেটস এর সফলতার কাহিনী।

আসালামু আলাইকুম।আশা করি সবাই ভালো আছেন।আপনাদের দোয়ায় আমি ও ভাল আছি।আজ আমরা কথা বলব পৃথিবীর বৃহত্ত টেকনলজী কম্পানী মাইক্রোসফট ও এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এর সাফল্য নিয়ে।একটি ছোট্ট রুম থেকে যাত্রা শুরু করে কী ভাবে তিনি বি্শ্বে ছড়িয়ে পরেছেন।১৯৫৫ সালের ২৮ অক্টোবর ছিএ টলে জন্ম গ্রহন করে উইলিয়াম হেনরি বিল গেটস ।তিনি বিল গেটস নামে বেশি পরিচিত।বিল গেটস পৃথিবীর অন্যতম প্রভাবশালী একজন প্রযুক্তিবীদ।কম্পিউটার জগতের অন্যান্য উদ্ভভাবকের চেয়ে বিল গেটস শিশু বয়সে অনেক বেশি সুবিধা পেয়েছে।তিনি শৈশবে লেক সাইড স্কুল নামে একটি স্কুলে লেখা পড়া করেন।এই স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের কম্পিউটারের সাথে পরিচিত হওয়া যথেষ্ঠ সূযোগ দেয়া হতো।গেটস খুব দ্রুতই নতুন এই কম্পিউটার সিস্টেম এর প্রেমে পরে যায় এবং ঘন্টার পর ঘন্টা সময় দিতেন।ব্যাশিক ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করে.১৯৭০ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে পল অ্যালেনের সাথে ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করেন।তারা এক সাথে রাস্তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনের জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করেন এবং এটি ২০ হাজার ডলারে বিক্রি করেন।এর পর গেটস এবং অ্যালেন নিজেদের প্রতিষ্ঠান তৈরি করার জন্য মনস্থির করেন।কিন্তু গেটস এবং তার বাবা মা স্কুলের গন্ডি পার হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান।মূলত গেটস এর বাবা-মা গেটস কে একজন আইনজিবী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন।তাই তিনি আইন কলেজে ভর্তি হন।কিন্তু কলেজের একাডেমিক পড়াশোনা তার কাছে দুর্বদ্ধ লাগে।তিনি আইন শিক্ষার প্রতি ধিরে ধিরে আগ্রহ হারাতে থাকেন এবং কলেজ শেষ না করেই পড়াশোনা বন্ধ করে দেন।এর পর তিনি এবং অ্যালেন দুইজন এম,আই,টির আ্যলটার কম্পিউটারের জন্য সফটওয়্যার তৈরি শুরু করে.১৯৭৫ গেটস ও অ্যালেন যৌথ অংশীদারিত্বে মাইক্রো কম্পিউটার এবংসফটওয়্যার তৈরির জন্য মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করেন।মাইক্রোসফট এর শুরুর দিকে চাপ্টা খুব একটা ছিল না।যদিও মাইক্রোসফট আ্যলটার কম্পিউটারের জন্য তৈরি করা বেসিক সফটওয়্যার প্রোগ্রাম থেকে নির্দির্ষ্ট পরিমান অর্থ পেত।কিন্তু এটা চুক্তি ভিত্তিক ছিল না।মাইক্রোসফট সফটওয়্যার বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।যার ফলে অনেকে তাদের পাওয়া মার্কেট কপি কে নতুন করে তৈরি করে নতুন করে বাজার জাত করে।বিল গেটস সেই বিষয় টি বুঝতে পারে। গেটস লাইসেন্স আনার চিন্তা করেন।কিন্তু সেই সময় বেশি ভাগ কম্পিউটার প্রেমি মানুষ সেটার জন্য অর্থ দিতে রাজি ছিলেন না।তারা বিনামূল্লে সফটওয়্যার পেতে আগ্রহী।কেননা তারা বিনা মূল্লে সফটওয়্যার পেলে অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারবে।বিল গেটস দেখলেন বিক্রির উদ্দেশ্যে তৈরি সফটওয়্যার গুলি বিনামুল্লে দিলে চুরি হওয়ার সুযোগ থাকে ।তিন ই ১৯৭৬ সালে জানুয়ারি মাসে কম্পিউটার প্রেমীদের একটি খোলা চিঠি দেয়।তিনি সেই চিঠিতে বলেন বিনামূল্লে সফটওয়্যার বিতরণ ও ব্যবহার ভালো ভালো নতুন সফটওয়্যার তৈরিতে অনুৎসাহিত করে।কেননা এর ফলে ডেভেলপারদের শুধু শুধু সময় অপছয় হয়।পাশাপাশি নতুন সফটওয়্যার তৈরিতে আগ্রহ কমে যায়তার এই খোলা চিঠিটি খুব একটা সারা ফেলতে পারে নাই।কিন্তু গেটস তার সিদ্ধান্তে অনট থাকলেন।তিনি নতুন কিছু উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে সংকৃতির বলয় ভাঙতে চাইলেন।এম আই টি এস এর প্রেসিডেন্ট রবার্ট এর সাথে গেটস এর বিদ্দ্বেষ মূলক সম্পর্ক ছিল।এই বিদ্দ্বেষ মূলক সম্পর্ক এর কারণ ছিল সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও ব্যবসা নিয়ে।রবার্ট মনে করতেন বিল গেটস ছিল একজন বিরক্তকর ব্যাক্তিত্ত.১৯৭৭ সালে রবার্ট এম আই টি এস কে অন্য একটা কম্পিউটার কোম্পানী কাছে বিক্রি করে দেন।গেটস ও অ্যালেন আ্যলটার কম্পিউটারের জন্য তৈরি করা সফটওয়্যার ধরে রাখতে এম আই টি এর নতুন মালিক কে আইনত অভিযুক্ত করেন।মাইক্রোসফট অন্যান্য কম্পিউটার কোম্পানী জন্য প্রীথক প্রীথক ফরম্যাট এর সফটওয়্যার বানান শুরু করে.১৯৭৯ বিল গেটস তার কোম্পানীকে ওয়াশিংটনে স্থানান্তর করে।আ্য্পল,ইন্টেল,আই বি এম এর মত কোম্পানী গুলো যখন উন্নতির দিকে যাচ্ছে বিল গেটস তখন মাইক্রোসফট সফটওয়্যার এর বিভিন্ন সমস্যার অপর নজর রাখতেন।এই কাজে মাঝে মাঝে তিনি তার মাকে সাথে নিতেন।তার মায়ের সাথে আই বি এম কোম্পানীর সম্পর্ক ছিল।তাই গেটস তার মায়ের সুবাদে আই বি এম কোম্পানির প্রেসিডেন্ট এর সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পায়.১৯৮০ সালে আই বি এম তাদের ব্যাক্তি গত কোম্পানী চালানোর জন্য সফটওয়্যার খুজছিল।মাইক্রোসফট এই সুযোগ টি কাজে লাগায়।এ সময় বিল গেটস আই বি এম কম্পিউটারের শাথে মিল রেখে একটি অপারেতিং সিস্টেম কিনে।গেটস এই নতুন কেনা সফটওয়্যার এর সাথে আই বি এম এর কম্পিউটারের সাথে খাপ খায়ানোর চেষ্টা করে।ঠুক ৫০ হাজার ডলারের বিনিময়ে কাজ টি করেন তিনি।অন্যদিকে তার তৈরি সফটওয়্যার থেকে তিনি একই অর্থ পান।আই বি এম এই সফটওয়্যার সৌর্চ কোড কিনতে চান যা তাদের ওপারেতিং সিস্টেম সম্পর্কে অবগত করবে।বিল গেটস এতে আপত্তি জানান এবং আই বি এম এর কাছে বিক্রি কৃত প্রতিটি সফটওয়্যার এর জন্য আলাদা আলাদা লাইসেন্স ফি দাবি করেন।এর ফলে মাইক্রোসফট তাদের লাইসেন্স পায় এবং তারা এটির নাম দেয় এম এম ডোস.১৯৭৯ থেকে১৯৮১ সালের মধ্যে মাইক্রোসফট এর ব্যাবসা বিপুল ভাবে ছড়িয়ে পরে।কর্মীর সংখ্যা ২৫ থেকে ১২৮ এ চলে যায়।আয় ২.৫ মিলিয়ন ডলায় থেকে ১৬ মিলিয়ন ডলারে চলে যায়.১৯৮১ সালে আ্য্পল ম্যাক ইন্ডোজ কম্পিউটারের সফটওয়্যার তৈরির জন্য মাইক্রোসফট কে আমন্ত্রন যানায়।এই কাজ করার অভিজ্ঞতা মাইক্রসফট কে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে বিপুল পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে.১৯৮৫ সালে ভিসি কপ্স নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে উদ্দিপনা কমে যায়।তার দুই বছর পর মাইক্রোসফট বাজারে উইন্ডোজ নিয়ে আসে।সে সময় মাইক্রোসফট এর কোন প্রতিদ্দন্দি ছিল না। ১৯৮৬ সালে মাইক্রোসফট পুজি বাজারে প্রবেশ করে এবং এক একটি শেয়ার ২১ডলারে বিক্রি করে।এটি কোম্পানির ৪৫শতাংশ শেয়ার ধরে রাখে এবং বিল গেটস ৩১ বছর বয়সে মিলিয়ানিয়ার হয়ে যায়।১৯৯৪সালের ১লা জানুয়ারি বিল গেটস মাইক্রোসফট এর প্রোডাক্ট ম্যানেজার ম্যালিন্ডা কে বিয়ে করে।১৯৯৯ সালে পুজি বাজারে মাইক্রোসফট এর শেয়ারের দাম প্রায় ৮গুন বেড়ে জায়।এর ফলে বিল গেটস ১০১ ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক হয়ে যান।২০০০সালে স্ত্রী মেলিন্ডাকে নিয়ে মেলিন্ডা গেজ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে।শুরুয়ের এটি ২৮ বিলিয়ন ডলারের ফান্ডিং পায়।ঐ বছ্র এ গেটস মাইক্রোসফট এর সকল কাজের নিবির তদারকি শুরু করে।তিনি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী ব্যাক্তি।উচ্ছা বিলাশী এবং দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত হলেন বিল গেটস।নিজ চেষ্টায় অর্জিত এ বিপুল সম্পদ সন্তানদের জন্য রেখে যাবেন না বিল গেটস ও তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস। গেটস দম্পত্তি বিল এবং মিলিন্ডা ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপুর্ণ ব্যাক্তি.২০১২ সালে বৈশিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে গেটস দম্পত্তি ১৯০ কোটি ডলার দান করে।গেটস পরিবার গত কয়েক বছরে প্রায় ২হাজার৮শ কোটি ডলার খরচ করেছেন।গেটস দম্পত্তি এর মতে সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে বিপুল ধন-সম্পদ রেখে যাওয়ার কোন অর্থ হয় না।এটি তাদের জন্য উপকারি নাও হতে পারে।ধন-সম্পদ চলার পথে চলতে বাধা সৃষ্টি করে।বর্তমানে গেটস দম্পত্তি ২মেয়ে ও ১ছেলের বাবা-মা।

আসা করি সবার ভাল লেগেছে।আপনারা আর কার সম্পর্কে জানতে চান তা কমেণ্টে লিখে আমাকে জানান।

<

Related Posts

13 Comments

মন্তব্য করুন