বিশ্বব্যাপি আতঙ্ক করোনা ভাইরাস

সারা বিশ্বব্যাপি এক আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস।করোনা ভাইরাস এমন এক বিরল প্রজাতির রোগ যার কোনো ধরনের প্রতিষেধক এখন অবধি আবিস্কৃত হয় নি। চীনের এই বিরল প্রজাতির রোগে এখন অবধি মৃত্যুবরণ করেছে অনেকে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে এই বিরল প্রজাতির রোগে। সর্বশেষ খবর অনুসারে উহান শহরে ছড়িয়ে পড়া এই মহামারী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে প্রায় ৩০৪ জন। উহান শহরে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দমনে বিমান বন্দর রেলষ্টেশনে রোগ শনাক্তকরণের জন্য বিশেষ ধরনের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া সারাবিশ্বব্যাপি এই রোগ দমনের জন্য বিশেষ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য চীনের অন্যান্য প্রদেশ থেকে প্রায় উহান শহরে তিন লক্ষ সাতশ জনের বেশি চিকিৎসক ও নার্স পাঠানো হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসার জন্য চীনে দশ দিনের মধ্যে হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে এই মহামারী রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।বিশ্বব্যাপি সাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী করোনা ভাইরাসে এখন অবধি আক্রান্ত হয়েছে প্রায় সতেরো হাজার দুইশ পাঁচজন। চীনের বাইরেও ২৪ টি দেশে প্রায় দুইশত পাঁচ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশে উহান শহরে আটকে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের দেশে ফেরত আনা হয়েছে। প্রায় তিনশ এর অধিক শিক্ষার্থীদের ২ সপ্তাহ আশকোনায় পরীক্ষানীরিক্ষার জন্য রাখা হয়েছে।ইতিমধ্যে জরে আক্রান্ত হয়ে ৭ জনকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এখন অবধি ছয়টি করোনা ভাইরাস শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। যা মানুষকে প্রভাবিত করে। সাধারণত করোনা ভাইরাস হলো এক গোএের অনেকগুলো ভাইরাস। যে ভাইরাসগুলো প্রাণী থেকে মানুষের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণত ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপে এই ভাইরাস দেখতে মুকুটের মত হওয়ায় এর নাম দেওয়া হয়েছে করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাসের লক্ষণসমূহ হলো : ১. সর্দি, কাশি, জর ২.গলা ব্যাথা, মাথা ব্যাথা ইত্যাদি। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই বয়স্ক মানুষেরা যদি এই বিরল রোগে আক্রান্ত হয় তাদের মৃত্যুঝুকি বেড়ে যায়। প্রতিরোধের থেকে প্রতিকার করাই উত্তম। করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধ করার উপায় নিচে তুলে ধরা হলো: ১.সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ২.সর্দি কাশির পর যথাসম্ভব হাত ধুয়ে ফেলা। ৩.শরীরে ঠান্ডা লাগলে যথাসম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। । ৪.হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার করা। ৫.সাবান দিতে ভালোভাবে হাত ধুয়ে ফেলা। ৬.কাচা মাংশ ও প্রাণীর খামার থেকে দূরে থাকা।

<

Related Posts