বিয়ের পর থেকেই সংসার গুছিয়ে নিন আপনার ইচ্ছে মতন..

আপনি যখন একটা মেয়েকে বিয়ে করবেন,তখন বাসোর রাত থেকেউ বলে দেয়া উচিত যে..

আমি তোমার বন্ধুর মতো, তুমি আমাকে স্বামীর মতো সম্মান করবে,
আর বন্ধুর মতো সব কিছু শেয়ার করবে।
আর দুইজনেরি উচিত হবে যার যার অতীত যদি সেটা খারাপও হয়,
তাহলে তা টেনে না আনা।
সব সময় ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করা।

মাঝে মাঝে আপনি আপনার ওয়াইফ কে নিয়ে কোথাও থেকে ঘুরে আসবেন।
ছুটির দিনে এক সাথে সময় কাটাবেন,
এক সাথে মধ্য রাতে তাহাজ্জুত এর নামাজ পরবেন।
আর আল্লাহর কাছে সুখে থাকার জন্য দোয়া করবেন।

মাঝে মাঝে আপনার ওয়াইফ যদি ভুল করে তাকে
ধমকের সুরে বা রেগে কথা না বলে সুন্দর ভাবে
যতটা সম্ভব বুঝাবেন।

বেশির ভাগ ওয়াইফ চেষ্টা করে তার হাসবেন্ড কে ভালভাবে রান্না করে খাওয়াতে,
একটু রান্নার প্রশংসা শুনতে,
যদি রান্না ঝাল, পানসে, নোনতা হয়ে যায়,
তারপরেও আপনার উচিত হবে চিল্লা ফাল্লা না করে চুপ চাপ খেয়ে উঠে যাওয়া,
আর পারলে একটু প্রশংসা করা।

যখন আপনার ওয়াইফ সেই খাবার খাবে,
তখন তিনি নিজ থেকেই চিন্তা করবেন যে কি রান্না করলাম আমি?
অথচ আমার হাসবেন্ড তা কষ্ট করে খেয়ে উঠে গেল,
আবার প্রশংসাও করলো।
এতে আপনার প্রতি আপনার ওয়াইফ এর ভক্তি,
শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা অনেক বেড়ে যাবে।

মাঝে মাঝে একি প্লেটে দুইজনে খাবেন।
একে অপরকে খাইয়ে দিবেন,
এতে দুইজনের মাঝেই মুহাব্বত টা অনেক বেশিই জোড়ালো
হবে।

প্রতিদিন না পারলেও অন্তত সপ্তাহে একটা দিন হলেও ফুল দিন।
একটা দিন হলেও ফুলটা দিয়ে বলুন,
অনেক বেশি ভালোবাসি তোমায়।
আর অবশ্যই ফুল দিয়েই বলবেন।
কারন ফুল হচ্ছে ভালোবাসার প্রতিক।
এতে মেয়েরা অনেক বেশিই খুশি হয়।
.
দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া হওয়াটা স্বাভাবিক,
ঝগড়া হলে আপনার উচিত হবে রাগ করে বসে না থেকে
আপনার ওয়াইফ এর দোষ থাকলেও নিজের দোষ
তুলে ধরা,
নিজ থেকে ক্ষমা চাওয়া,
এতেছোটো হওয়ার কিছু নাই।
কারন এতে আপনি অহঙ্কার থেকে মুক্ত হয়ে বড় মনের পরিচয় দিলেন।

আর আপনার আরও একটি গুরত্বপূর্ণ করণীয় কাজ
হচ্ছে আপনার ওয়াইফ কে সিরিয়াল দেখতে না দেয়া,
কারন এতে সংসারে শুধু অশান্তিই সৃষ্টি হয়।

আপনার ওয়াইফ যখন অসুস্থ হয়ে যাবে,
তখন শুধু ডাক্তার দেখিয়েই ভাব্বেন না যে আপনার কাজ
শেষ, সেটা আপনার উচিত হবেনা।
আপনি অসুস্থ হলে,
আপনার ওয়াইফ যদি আপনার কাপড় ধুয়ে দিতে পারে, মাথায় পানি দিতে পারে,
মাথা টিপে দিতে পারে,
তাহলে আপনি কেন তার সেবা করতে পারবেন না?
আপনারও উচিত হবে যতটা সম্ভব তার সেবা করা।
রান্না বান্নায় তাকে যতটা সম্ভব হেল্প করা।

এভাবে যদি চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেন,
তাহলে দেখবেন দাম্পত্য জীবনে আপনাদের ভালোবাসা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে,
এক চুলও কমছেনা
এতে আপনারা সুখেই থাকবেন আশা করি।

(ধন্যবাদ)

Related Posts

11 Comments

মন্তব্য করুন