বেলা মামার হাসির গল্প

হাসির জোকস

১/ মুরগীর পায়খানা যখন চ্যাপা শুটকি ভর্তা।

গ্রামের বাড়ি শীত কাল বেলা মামা সেই সকাল বেলা গেছে হাল নিয়ে এখন প্রায় দুপুর, মামি এদিকে রান্না বান্না করে রেডি মামা আসার সময় হয়ে এসেছে । মামা বাড়ি এসে গরু গুলো বেধে গোসল করে আসলো

আর মামিকে ডেকে বল্লো আমাকে তারাতারি ভাতবেরে দে অনেক খিদে পেয়েছে । এ কথা বলে মামা গেছে শরিলে তেল মাখতে । শীত কাল তাই মামা সব সময় রান্না ঘরের বারান্দাতেই খায় সেখানে দুপুর বেলা  রোদ লাগে ।  এদিকে মামি প্লেটে করে ভাত এনে বারান্দায় রেখে আবার রান্নাঘরে গেছে তরকারি আনতে ঠিক সেই সময় রান্নাঘরে যে মুরগিটা দিম পারতে বসে ছিলো সেটা ক-ক-ক-ক-ক-ক-ক-ক-ক-ক-ক-ক–ক বেরিয়ে আসলো । আর পায়খানা করে দিলো তো দিলো তা গিয়ে পরলো ভাতের প্লেটের ঠিক সাইডে যে দিকটায় সচরাচর কোন ভার্তা বা লবন দিয়ে থাকে । ডিম পারা মুরগী তাই পায়খানাটা অনেক কালো আর আঠালো ঠিক যেন চ্যাপা শুটকির ভর্তার মত দেখতে ।  আর ক-ক-ক-ক-ক-ক-ক-ক-ক-  করতে করতে চলে গেলো  । মামি তখনো তরকারি আনতে ব্যস্ত । সেই সময় মামা মুরগীর ডাক শুনে তারাতারি করে বাইরে এসে মুরগিটাকে তারিয়ে  দিলো  আর মামিকে গালি দিয়ে বল্লো আমি না আসলে তো মুরগীটা ভাতের প্লেটে এখনি মুখ দিতো  এই বলে মামা  ভাত খেতে বসলো ।  তো সাইডে যে মুরগীটা পায়খানা করে রেখে গেছিলো সেটা কোন ভর্তা মনে করে ভাতের সাথে খুব যত্ন সহকারে মেখে যেই মুখে দিবে ঠিক তখন তার নাকে মুরগীর পায়খানার গন্ধ লাগলো তাই সে মামি কে জিজ্ঞেস করলো । এটা কিসের বর্তা এতো বাজে গন্ধ, একেবারে মুরগীর পায়খানার মত গন্ধ । তখন মামি বল্লো কোই আমি তো কোন ভর্তা করিনি তো তূমাকে কোথা থেকে দেবো ভর্তা । একথা শুনে মামি বাইরে এসে দেখলো আর তখন ও আসলে আমি যখন তরকারি আনতে ভিতরে গেছিলাম তখন যে মুরগীটা বেরিয়ে ছিলো এটা তারি কাজ হবে । মামাও তখন মনে করে হাসতে লাগলো যে মুরগী তো আমার প্লেটের ভাত খেতে আসে নী এসেছিলো আমাকে তার পায়খানা খাওয়াতে ।

 

২।

বেলা মামা কিছুদিনের জন্য স্কুলে তার স্ত্রীর অবর্তমানে সে  কালস টু -এর বাচ্চাদের শিক্ষা দান করবেন ।  তো সে একদিন স্কুলে যেতে যেতে রাস্ততায় বৃষ্টি শুরু হলো তাই ভিজে- ভিজেই স্কুলে পৌছালো । যখন স্কুলের বারান্দায় দারালো তখন ছাত্র-ছাত্রীরা তাকে দেখে বল্লো স্যার ভিজে স্কুলে এলেন যে, বেলা মামা তখন উত্তর দিলো কি আর করবো ছাতাটা আনতে মনে নেই তাছারা তুমাদেরও তো শিক্ষাদান করতে হয় দায়িত্য বলে একটা কথা আছে না । এ কথা শুনে ছাত্র ছাত্রীরা হাসি শুরু করলো আর বল্লো স্যার ছাতা তো আপনার সার্টের কলারে ঝুলালো তারপর বেলা মামা যখন দেখলো আসলে ছাতা তার পেছনে তখন চমকিত হয়ে বল্লো এ-এ-এ- দেখেছ আমী কেমণ মন ভুলা এখন যদি ছাতার যায়গায় বাঘ হতো তাহলে তো আমি নির্ঘাত বাঘের পাটে থাকতাম ।

Related Posts