ব্যক্তিগত গাড়িতেই হবে ঈদযাত্রা

অবশেষে ব্যক্তিগত গাড়িতেই হবে ঈদযাত্রা:

কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভাল আছেন। সম্প্রতি দেশে অঘোষিত লকডাউন আজ থেকে শিথিল করা হল। আজকে থেকে ঈদের ছুটিতে নিজের প্রাইভেট গাড়ি করে আপনি যেতে পারবেন আপনার প্রিয় গ্রামের বাড়িতে বা আত্মীয়ৱ বাসায়। ব্যক্তিগত বন্ধ থাকবে গণপরিবহন। ইতিমধ্যে সকল জায়গা থেকে চেক পোস্ট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে পুলিশের তরফ থেকে।
পুলিশের তরফ থেকে আরও বলা হয়েছে যে ঈদের সময় পরিবারের সকল সদস্য যাতে একসাথে ঈদ পালন করতে পারে সেজন্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে ব্যক্তিগত বাহন হিসেবে কোন ধরনের বাহন কে বোঝাচ্ছে তারও ব্যাখ্যা দেন পুলিশের তরফ থেকে। বল হয়েছে যে ব্যক্তিগত গাড়ি বলতে কোন ভাড়ায় চালিত গাড়ি নয় নিজের গাড়ি আপনি শুধুমাত্র ব্যবহার করতে পারবেন যাদের নিজেদের নিজস্ব বাহন নেই তারা এই সুবিধা পাবেন না।
এই থেকে বোঝা যাচ্ছে যে গরিবের কাছে ঈদের আনন্দটা এবারের মতো কিছুটা হলেও ফিকে হয়ে উঠবে।
উল্লেখ্য যে এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞগণ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাদের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হয়ে উঠবে কারণ দেশে করোনা পরিস্থিতির চরম বিশৃঙ্খলার পথে আরে মধ্যে যদি ঈদ যাত্রার জন্য অনুমতি দেওয়া হয় তবে তা আরও ভয়ংকর। ইতিমধ্যে বিগত তিন দিন ধরে প্রায় 1 হাজার 600 জনের বেশি করে লোক করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হয়ে পরছে। আজ শুক্রবার এ ও এই সংখ্যার পরিমাণ প্রায়ই 1 800 এর কাছা কাছি। বিশ্বে আড়াই মাসের মাথায় করণা সংক্রমণ কমে আসলেও আমাদের দেশে তা দিন দিন বেড়েই চলছে।
এর আগে সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে উৎপাদনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল এবং একই সাথে এও বলা হয়েছিল যে যার যার কর্মস্থল কেও ত্যাগ করতে পারবেন না এই সাধারণ ছুটি চলাকালীন সময়ে। যদি কেউ এই নির্দেশনা না মানে তাহলে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এর সাথে সকল গণপরিবহন যেমন বাস ,টেম্পু ,ট্রেন ইত্যাদিও চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু প্রয়োজনের সাথে মালবাহী ট্রেন , ট্রাক ও সাধারণ পরিবহন যেগুলো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আনা-নেওয়ার কাজে প্রয়োজন সেই সকল বাহন এই আইনের আওতায় পড়বে না বলে জানানো হয়েছিল।
কিন্তু এত ব্যবস্থার পরে আবার সবকিছু খুলে দেওয়া খুবই দুঃখজনক।
তবে যাই হোক বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে করোনা সংক্রমণ এড়াতে যতটুকু সম্ভব সকল নিয়ম নীতি মেনে চলায় আমাদের কর্তব্য।

Related Posts